Header Ads Widget

আর এফ এল কোম্পানির চাকরির ভাইবা পরীক্ষায় যা প্রশ্ন করা হয় RFL Company Job Viba Exam




আরএফএল কোম্পানি আমাদের দেশের একটি স্বনামধন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ।এখানে মূলত বিভিন্ন ধরনের পণ্য তৈরি করা হয়ে থাকে এবং এ পণ্যগুলো দেশে ও বিদেশে রপ্তানি করা হয়েছে । তাদের এই বিশাল কর্মযজ্ঞ কে পরিচালনা করার জন্য আমাদের দেশের অনেক ছেলেমেয়েরাই আরএফএল কোম্পানিতে চাকরি করে জীবিকা নির্বাহ করছে ।আপনিও যদি এই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে একটা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানে চাকরি পাইতে হবে ।



এখানে আপনাকে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে এবং তার পরে যারা লিখিত পরীক্ষায় পাস করবে তাদেরকে ভাইভা পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে ।অনেকের মনে ভয় থাকে যে ভাইভা তে  কি ধরনের প্রশ্ন করা হবে ।আমার তো কোন ভাইভা পরীক্ষা দেওয়ার অভিজ্ঞতা নেই ।আমি  কিভাবে ধারণা পাব ।আজকের এই পোস্টটি শুধুমাত্র তাদের জন্যই যারা আরএফএল কোম্পানিতে ভাইবা পরিক্ষা দিতে চান বা যেকোনো ধরনের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ভাইভা পরীক্ষা দিতে চান ।আপনারা যদি আমাদের এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে আশা করি আপনারা বেসরকারি যে কোন চাকরির ভাইভা পরীক্ষায় সফলতা লাভ করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ ।


তাহলে চলেন  আপনাদের সাথে একটি রিয়াল আরএফএল কোম্পানির ভাইবা বিস্তারিত তুলে ধরা চেষ্টা করি  আপনাদের সাথে । 


 *****আরএফএল কোম্পানির চাকরির  একটি রিয়েল ভাইভা :-




চাকরি প্রার্থী :-আসসালামু আলাইকুম, আমি কি ভেতরে আসতে পারি  স্যার ।

ভাইভা বোর্ড :- ওয়ালাইকুম সালাম ,জি ভিতরে আসুন বসুন।



ভাইভা বোর্ড :- আপনার নাম কি আপনার বয়স কত

চাকরি প্রার্থী :-আমি মোঃ জাহিদুল ইসলাম জীবন  ,আমার বয়স ২৪ বছর ।


আরো পড়ুন :- প্রাণ কোম্পানির চাকরির ভাইভা প্রস্তুতি | প্রাণ কোম্পানির চাকরি | 


ভাইভা বোর্ড :- আপনার গ্রামের বাড়ি কোথায়?

চাকরি প্রার্থী :- আমার দেশের বাড়ি গাইবান্ধা  জেলার  পীরগঞ্জ  উপজেলায় ।



ভাইভা বোর্ড :-আপনার বাবা কি করেন ?

চাকরি প্রার্থী :-আমার বাবা একজন কৃষক ।আমরা  গ্রামে বসবাস করি ।



ভাইভা বোর্ড :-আপনি কত দূর পড়াশোনা করেছেন ?

চাকরি প্রার্থী :-আমি আমাদের এলাকায় স্থানীয় কলেজ থেকে ডিগ্রী পাস করেছি ।


আরো পড়ুন :- প্রাণ আরএফএল কোম্পানির চাকরির বেতন কেমন হয়,জানুন বিস্তারিত


ভাইভা বোর্ড :- আপনি কি এখনো আর পড়াশোনা করতে চান ?

চাকরি প্রার্থী :- না স্যার আমি আর পড়াশোনা করতে চাইনা । আমার পারিবারিক অবস্থা খুবই খারাপ অর্থনৈতিকভাবে অসচ্ছল । আমার বাবার পক্ষে আমাদের পরিবারকে পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না । আমার ছোট ভাই আমার ছোট বোনের পড়াশোনা করাতে হবে ।তাই আমি পড়াশোনা বাদ দিয়ে চাকরি করার জন্য মনস্থির করেছি এবং আমিএই  চাকরি পেলে আমি মন দিয়ে কাজ করতে চাই ।


( বিশেষ দ্রষ্টব্য :আপনাকে যখন পড়াশোনা বিষয়ে জিজ্ঞেস করবে যে আপনি পড়াশোনা করতে চান কিনা ।তখন যদি বলেন যে না স্যার  আমি আর পড়াশোনা করতে চাই না তাহলে কিন্তু আপনার চাকরিটা হবে ।কিন্তু আপনি যদি বলেন যে আমি কাজের পাশাপাশি পড়াশোনা করতে চাই তাহলে কিন্তু আপনাকে তারা চাকরিতে নেবে না তাই কখনোই বলবেন না যে আমি পড়াশোনা করতে চাই | )




ভাইভা বোর্ড :- চাকরি পাওয়ার পরে আবার কষ্ট মনে করে চাকরি ছেড়ে পালাবেন না তো ?

চাকরি প্রার্থী :-সার  বিশ্বাস রাখতে পারেন আমি চাকরি পেলে এখানে আমি বিশ্বস্ততার সাথে কাজ করার চেষ্টা করব এবং আমার যোগ্যতা কে প্রমাণ করার চেষ্টা করব ।



ভাইভা বোর্ড :- খারাপ কোন নেশার অভ্যাস আছে নাকি ?

চাকরি প্রার্থী :-   না সার  আমার এই ধরনের কোন খারাপ অভ্যাস নেই আমি কোন নেশা জাতীয় দ্রব্য গ্রহণ করি না ।




ভাইভা বোর্ড :- আমাদের এখানের কাজ গুলো অনেক পরিশ্রমের কাজ আপনি কাজ করতে পারবেন তো ?

চাকরি প্রার্থী :- জি স্যার ইনশাআল্লাহ পারব। কারন আমি কৃষক পরিবারের সন্তান আমি পড়াশোনার পাশাপাশি মাঠের কাজ করে অভ্যস্ত ।যার কারণে আমি যেকোনো পরিস্থিতি মানিয়ে নিয়ে কাজ করতে পারব ইনশাআল্লাহ ।



ভাইভা বোর্ড :- আচ্ছা বলুনতো স্কুল-কলেজে  ইংরেজি ,গণিত, বিজ্ঞান ,বাস্তব জীবনে কাজে লাগানোর জন্য শেখানো হয় কিন্তু স্কুল-কলেজে ইতিহাস কেন পড়ানো  হয়?

চাকরি প্রার্থী :-আমাদের স্কুল কলেজে ইতিহাস পড়ানো হয় যেন আমরা সেই ইতিহাস পড়ে শিক্ষা অর্জন করি এবং তাদের মত ভুল কোন কাজ না করি ।



ভাইভা বোর্ড :- যেমন একটা উদাহরণ দেন ?

চাকরি প্রার্থী :- যেমন আমরা যদি নবাব সিরাজদৌলা এবং মীরজাফর এর ইতিহাস না পড়তাম  তাহলে কিন্ত আমরা মীরজাফরের বিশ্বাসঘাতকতা সম্পর্কে জানতে পারতাম না ।ইতিহাস পড়ার কারণে কিন্তু আমরা জানতে পেরেছি মীরজাফর কিভাবে জাতির সাথে বেইমানি করেছিল এবং তার শেষ পরিণতি কি হয়েছিল ।



ভাইভা বোর্ড :- কাজের পাশাপাশি আমাদের প্রতিষ্ঠানের কিছু নিয়ম রয়েছে যেগুলো পালন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ আপনি পারবেন তো ?

চাকরি প্রার্থী :-  জি স্যার ইনশাআল্লাহ সকল নিয়ম কানুন মেনে চলার চেষ্টা করব ।আর একটি প্রতিষ্ঠান কাজের পাশাপাশি নিয়মকানুন মেনে চলাও আমাদের সবার কর্তব্য ।




ভাইভা বোর্ড :- ঠিক আছে ধন্যবাদ আপনি এবার আসুন ।

চাকরি প্রার্থী :-  আসসালামু আলাইকুম ।


আরো পড়ুন :-এনজিও চাকরির ভাইভা প্রস্তুতি । এনজিও চাকরির ভাইভা তে যে ধরনের প্রশ্ন করা হয়ে থাকে। 



বেসরকারি প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠানের মূলত এই ধরনের ভাইভা পরীক্ষা তে সহজ প্রশ্ন গুলো করা হয়ে থাকে । আপনি যদি খুব সহজেই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে পারেন তাহলে কিন্তু আপনি একটি চাকরি অর্জন করার যোগ্যতা সম্পন্ন হবেন ।তাই ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই আপনি চাকরি করতে চাইলে বেসরকারি যে কোন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে চাকরির জন্য আবেদন করুন ।


আর যদি কোন বিষয়ে জানার আগ্রহ থাকে তাহলে আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়ে দেন আমরা চেষ্টা করবো আপনাদের সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানানোর জন্য ।

Post a Comment

0 Comments