Header Ads Widget

এনজিওতে চাকরি পাওয়ার সহজ উপায় |চাকরি পাওয়ার কৌশল | Job in NGO

 

                     ছবি : সংগ্রহীত 


বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের বেকার সংখ্যা অধিক হয়ে বেরে গেছে যার কারণে সরকারি চাকরি পাওয়া তো সোনার হরিণ পাশাপাশি বেসরকারি চাকরির মত রয়েছে সে চাকরি গুলো পাওনা এখন অনেক কঠিন হয়ে গেছে । একটা সময় ছিল যখন বেসরকারি চাকরি মানুষ ইচ্ছামত করতো  আবার  ইচ্ছামতো ছাড়তো । কিন্তু বর্তমান সময়ে পরিস্থিতি এতটাই কঠিন হয়ে গেছে এখন আপনার একটা বেসরকারি চাকরি জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ।


এখন একটা বেসরকারি চাকরি পাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রক্রিয়া অংশগ্রহণ করে তারপর যোগ্যতা অনুযায়ী একটা বেসরকারি চাকরি পাওয়া যাই । চাকরি  বিষয়টা এতটাই জটিল হয়ে গেছে আপনার যদি শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকে এবং আপনার কাছে যদি অভিজ্ঞতা থাকে তাও আপনি খুব সহজেই এখন একটি বেসরকারি চাকরি অর্জন  করতে সক্ষম হবেন না ।


আজকের পর্বে আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করব এনজিও প্রতিষ্ঠান চাকরি পাওয়ার সহজ উপায় অর্থাৎ আপনি কি প্রক্রিয়ার  গুলো মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই এনজিও প্রতিষ্ঠানে চাকরি পাইতে পারেন ।এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে এই বিষয়ে যারা জানতে আগ্রহী তারা অবশ্যই আজকের পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পরুন তাহলে আশা করি আপনার এই বিষয়ে একটা পূর্ণাঙ্গ ধারণা চলে আসবে আপনি সবকিছু বিস্তারিত বুঝতে পারবেন ।


বেসরকারি সেক্টরে চাকরির মধ্যে বাংলাদেশ এনজিও প্রতিষ্ঠান এই ধরনের এনজিও প্রতিষ্ঠান বর্তমান সময়ে খুবই জনপ্রিয় এবং এখানে অনেক বেকার ছেলে মেয়েরা চাকরি করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করছে । আপনি যদি একজন এনজিও কর্মী হিসেবে আপনার ক্যারিয়ার গড়তে চান একজন সফল এনজিও কর্মী হতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে এনজিও চাকরি পাওয়ার জন্য কিছু সঠিক পদ্ধতি  অবলম্বন করলে একমাত্র আপনি এনজিও চাকরি অর্জন করতে পারবেন ।


এনজিও চাকরি পাওয়ার জন্য আপনাকে যে কাজগুলো করতে হবে । 

নাম্বার (১)  শিক্ষাগত যোগ্যতা :-

এনজিও  চাকরিতে সাধারণত ডিগ্রি সমান অনার্স পাস ও মাস্টার্স পাস এই ধরনের যোগ্যতা সম্পন্ন লোকদের নেয়া হয় ।সে ক্ষেত্রে যদি আপনার কাছে এই ধরনের ডিগ্রী থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি এনজিও চাকরির জন্য আবেদন করতে সক্ষম হবেন ।

এক্ষেত্রে বিশেষ গ্রহণযোগ্য বেশি হয় যদি আপনার  (অর্থনীতি বিষয়ে সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে এনথ্রোপলজি বিষয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে  হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে  ব্যবস্থাপনা বিষয়ে  ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ  বিষয়ে ) অনার্স মাস্টার্স ডিগ্রী থাকে তাহলে কিন্তু এনজিও চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে আপনার অগ্রাধিকার বেশি  থাকবে  অন্য সাবজেক্টের তুলনায় ।



 নাম্বার (২) বয়স :-

আমরা সবাই জানি সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে একজন ছেলে এবং মেয়ের জন্য বয়সের সীমারেখা দেওয়া থাকে ৩০ বছর কিন্তু বেসরকারি চাকরি গুলোতে এবং এনজিও চাকরি গুলোতে সাধারণত ৩২ বছর সর্বশেষ ঘোষণা দেওয়া থাকে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতার আলোকে ৩৫বছর পর্যন্ত সময়সীমা দেওয়া থাকে । সেক্ষেত্রে আপনার বয়স যদি  তাদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি এনজিও চাকরি পেতে সক্ষম হবেন ।



 নাম্বার (৩)অভিজ্ঞতা :-

বাংলাদেশের বিভিন্ন এনজিও প্রতিষ্ঠান এ অনভিজ্ঞদের কে সুযোগ দিয়ে থাকে কারণ একজন সদ্য পড়াশোনা শেষ করছেন সে ক্ষেত্রে আপনার তো অভিজ্ঞতা থাকবে না এটা স্বাভাবিক তাই বাংলাদেশের অনেক এনজিও প্রতিষ্ঠান অনভিজ্ঞতাকে সুযোগ দেয় সেক্ষেত্রে আপনার যদি পড়াশোনা সার্টিফিকেট থাকে নির্দিষ্ট বয়স থাকে তাহলে কিন্তু আপনি এনজিও তে আবেদন করে একটা চাকরি পেতে সক্ষম হবেন । আর যদি আপনাদের কোন অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে তাহলে সেটা বোনাস পয়েন্ট আপনি ভালো পদবীতে  ভালো একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি অর্জন করতে সক্ষম হবেন ।



এখন আমরা আলোচনা করব এনজিও প্রতিষ্ঠান চাকরি পাওয়ার সহজ উপায় :-

প্রথম  ধাপঃ  চাকরির আবেদন : -

এনজিওতে চাকরি পাওয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সেটি হলো চাকরির আবেদনপত্র কারণ এনজিওতে চাকরির আবেদনপত্র লিখিত আকারে ঘামের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়ে থাকে। যার কারণে অনেকেই আবেদন পাঠানোর সময় ভুল করে থাকে যার কারণে অনেকেই কিন্তু আবেদন  পাঠায় সেটা তাদের আবেদন প্রক্রিয়া সঠিক হয় না । যার কারণে তাদের আবেদন গ্রহণ করা হয় না তার ফলাফলে তাদেরকে পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়না ।এমন ধরনের ঘটনা কিন্তু অনেকের সাথে ঘটে অনেককে বলতে শোনা যায় আরে আমি এই প্রতিষ্ঠানে আবেদন করেছিলাম ৫ মাস বা ৬ মাস এক বছর হয়ে গেল কিন্তু আমাকে কখনোই ডাকলো না এটা কি জন্য ।এই ধরনের ঘটনা হওয়ার কারণ আপনার আবেদন প্রক্রিয়ায় কোনো না কোনো ভুল ছিল যার কারণে তারা সেদিকে রিজেক্ট করে দিয়েছে ।



আপনি যদি সিরিয়াসলি এনজিও তে চাকরি  করতে আগ্রহী হন তাহলে অবশ্যই আপনার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল খুব সুন্দর করে দক্ষতার সাথে সাজিয়ে গুছিয়ে আপনাকে একটি চাকরির আবেদনপত্র লিখতে হবে এবং খুব সুন্দর ভাবে আপনার সিভি  লিখতে হবে এবং তাদের কাছে যথাসময়ের আগেই পাঠানোর চেষ্টা করতে হবে । আপনার আবেদন আপনার সিভি দেখে যদি তারা আকৃষ্ট হয় তারপরে কিন্তু আপনাকে তারা পরীক্ষার জন্য ডাকবেন তাই  এনজিও চাকরি পাওয়ার জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । তাই এই বিষয়টা সবাই খুব সুন্দরভাবে দক্ষতার সাথে আবেদন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করবেন ।


দ্বিতীয় ধাপঃ পরীক্ষা :-

বাংলাদেশের অনেক এনজিও প্রতিষ্ঠান এ  লিখিত পরীক্ষা এবং মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে থাকে  ।আবার কিছু কিছু এনজিও প্রতিষ্ঠান এ  শুধুমাত্র মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে কর্মী বাছাই করা হয়ে থাকে । পরীক্ষায় কিছু সাধারণ ইংরেজি কিছু গণিত  কিছু সাধারণ জ্ঞান কিছু কম্পিউটার বিষয়ক প্রশ্ন এবং এনজিও প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করা হয়ে থাকে । বিশেষ করে আপনি যে প্রতিষ্ঠানের জন্য পরীক্ষা দিচ্ছেন মূলত সেই প্রতিষ্ঠান উপর কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করা হয় এবং বিভিন্ন ধরনের এনজিও বিষয়ক প্রশ্ন করা হয়ে থাকে । তো আপনাকে অবশ্যই এই পরীক্ষায় পাস করার জন্য ভালো প্রস্তুতি নিতে হবে যেহেতু বর্তমান সময়ে অনেক পরীক্ষার্থী এই ধরনের এনজিও প্রতিষ্ঠানে চাকরি পাওয়ার জন্য অংশগ্রহণ করে ।সেক্ষেত্রে কিন্তু সেখানে অনেক কঠিন হয়ে গেছে যার কারণে আপনাকে একটি সাজানো গোছানো এবং সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করতে হবে আপনি যদি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করেন তাহলে কিন্তু আপনি এনজিও চাকরি পেতে সক্ষম হবেন ।



ত্রিতীয় ধাপঃ মৌখিক পরীক্ষা :-

এই ভাইবা পরীক্ষা নিয়ে অনেকের মাঝেই একটা ভয় কাজ করে যে সেটা সরকারি চাকরি হোক বা সেটা বেসরকারী কোন চাকরি হোক একটা ভয় কাজ করে ।যে কি জানি কি প্রশ্ন করে বসে আমি কি পারব সেগুলোর উত্তর দিতে তো এধরণের যাদের মনে ভয় কাজ করে । আমি তাদের বলতে চাই ভাইভাতে মূলত সেই ধরনের কঠিন কোন প্রশ্নই করা হয় না সেখানে আপনার ব্যক্তিগত কিছু বিষয় আপনার এলাকার সংক্রান্ত কিছু বিষয় আপনার মানসিক দক্ষতা এবং আপনি যে পদের জন্য আবেদন করেছেন সেই পদের বিষয়ে কিছু কথা আপনি যে প্রতিষ্ঠানের জন্য আবেদন করেছে সেই প্রতিষ্ঠান বিষয়ক কিছু কথা । এইতো এই কথাগুলো কিন্তু ভাইভা বোর্ডে জিজ্ঞেস করা হয়ে থাকে তো আপনি যদি লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং ভাইভা পরীক্ষার জন্য ডাক পান ভাইবা পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার আগে এই বিষয়গুলো নিয়ে সুন্দরভাবে ধারণা নিয়ে যাবেন ।যেন এ প্রশ্ন করলে আপনি সহজ সরল ভাষায় উত্তর গুলো করতে পারেন আর আপনি যদি সফলভাবে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর করতে পারেন তাহলে কিন্তু আপনি এনজিও চাকরি অর্জন করতে সক্ষম হবেন ।


আজকের পোস্টের মাধ্যমে যে বিষয়গুলো আপনাদের সাথে আলোচনা করলাম প্রত্যেকটা বিষয় কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ যেহতো বর্তমান সময়ে এনজিও চাকরি পাওয়াটা অনেক কঠিন বিষয় হয়ে গেছে । তাই এই বিষয়টাকে সহজভাবে নিলে হবে না আপনাকে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিতে হবে যেমনটা করে আমরা সরকারি চাকরি পাওয়ার জন্য প্রস্ততি নিয়ে থাকি  ঠিক এনজিও চাকরি পাওয়ার জন্য কিন্তু এখন সেরকম একটা ভালো মানের দক্ষ প্রস্তুতি আপনাকে নিতে হবে । আর আপনি যদি সফল ভাবে প্রস্তুতি গুলো নিতে পারেন তাহলেই কেবল আপনি একটি এনজিও চাকরির অর্জন করতে সক্ষম হবেন এবং এনজিও প্রতিষ্ঠানে আপনার ক্যারিয়ারটা গড়ে তুলতে পারবেন ।

আরো পড়ুনঃ  এনজিও চাকরির ভাইভা প্রস্তুতি । এনজিও চাকরির ভাইভা তে যে ধরনের প্রশ্ন করা হয়ে থাকে। জেনে রাখুন সবাই Viva preparation for NGO jobs


আরো পড়ুনঃ  এনজিও চাকরি।এনজিও চাকরির মাসিক বেতন কত। এনজিও চাকরির নিয়োগ পরীক্ষা কেমন হয় । দেখুন বিস্তারিত What is the recruitment test of NGO job


আরো পড়ুনঃ  একজন এনজিও কর্মীর না বলা কথাগুলো আজ শুনবো আমরা ,পাওয়া না পাওয়া কথা ,কষ্টের কথা

Post a Comment

0 Comments