Header Ads Widget

এনজিও চাকরি।এনজিও চাকরির মাসিক বেতন কত। এনজিও চাকরির নিয়োগ পরীক্ষা কেমন হয় । দেখুন বিস্তারিত What is the recruitment test of NGO job

 

এনজিও চাকরি।এনজিও চাকরির মাসিক বেতন কত। এনজিও চাকরির নিয়োগ পরীক্ষা কেমন হয় । দেখুন বিস্তারিত

বর্তমান  সময়ে চাকরির বাজার অনেক কঠিন একটি জায়গা আমরা পড়াশোনা শেষ করার পরে অনেকেই সরকারি চাকরি করার ইচ্ছা থাকলেও অনেকেরই সেই স্বপ্ন কখনো পূরণ হয়না কারণ বর্তমান সময়ে সরকারি চাকরি পাওয়া মানে সোনার হরিণ যা সবার কপালে জোটে না । তাই আমাদের বাধ্য হয়ে তখন বিভিন্ন বেসরকারি চাকরির পিছনে ছুটতে হয় , বাংলাদেশ বিভিন্ন ধরনের এনজিও প্রতিষ্ঠান রয়েছে অনেক বেকার যুবক-যুবতীদের এনজিও প্রতিষ্ঠান গুলোর মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে । বাংলাদেশের বিভিন্ন এনজিও প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের বেকার যুবক যুবতীদের কে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করে একটি যুগ উপযোগী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং বাংলাদেশের এনজিও প্রতিষ্ঠান মাধ্যমে দেশের দরিদ্র অসহায় ছিন্নমূল মানুষদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধন হয়েছে ।


 এই এনজিও প্রতিষ্ঠানগুলো দেশের বিভিন্ন জেলা শহর উপজেলা শহর এবং গ্রাম এলাকায় গড়ে উঠেছে । এনজিও প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজ দেশের অসহায় দরিদ্র মানুষদের আর্থিকভাবে ঋণ দানের মাধ্যমে তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধন করা তার পাশাপাশি তাদের কার্যক্রম পরিচালিত করার জন্য অনেক লোকের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করেছে । আজ এনজিও প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের কর্মরত হাজার হাজার বাংলাদেশি । আজ জানবে কিভাবে এনজিও প্রতিষ্ঠান চাকরি নিয়োগ পেতে হয়, কিভাবে এনজিও প্রতিষ্ঠান  চাকরিতে যোগদান করতে হয়, এনজিও প্রতিষ্ঠান প্রতি মাসে বেতন কত এবং এনজিও প্রতিষ্ঠান  কখন নিয়োগ করা হয়, আসুন বিস্তারিত তথ্য জেনে নিই।


এনজিও প্রতিষ্ঠান চাকরির খবর :-


আপনি যদি এনজিও প্রতিষ্ঠানে   চাকরি পেতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই এনজিও প্রতিষ্ঠানের  নিয়োগ সম্পর্কে জানতে হবে ,কারণ এনজিও প্রতিষ্ঠানে    চাকরিতে যতই রেফারেন্স থাকুক না কেন, আপনি যদি নিয়োগ পরীক্ষার ভালো করতে পারেন  তবেই আপনি এনজিও প্রতিষ্ঠানে    চাকরি পেতে পারেন। এনজিও প্রতিষ্ঠানে   চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জানতে বাংলাদেশ প্রতিদীনসহ বিডিজবসে নজর রাখতে পারেন  ।



এনজিও প্রতিষ্ঠানে   নিয়োগের জন্য কি কাগজ প্রয়োজন :-


1, এনজিও প্রতিষ্ঠানে   নিয়োগের জন্য যে কাগজটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তা হল আপনার আসল সার্টিফিকেট এসএসসি , এইচএসসি,অনার্স,মাস্টারর্স এর । 


2,   কপি সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে তবে প্রয়োজনের ক্ষেত্রে এর বেশি লাগতে পারে আপনি একটু বেশি ছবি সাথে রাখবেন তাহলে কোন ধরনের সমস্যা হবে না ।


3,সার্কুলারে বর্ণিত যদি অভিজ্ঞতার চায় তাহলে আপনাকে অভিজ্ঞতা সনদ সাথে আনতে হবে আর যদি শেষ সার্কুলারে অভিজ্ঞতা না চায় সে ক্ষেত্রে আপনার কোন ধরনের অভিজ্ঞতার দরকার হবে না


 4.আপনাকে অবশ্যই খুব স্মার্ট পদ্ধতিতে  নিয়োগ পরীক্ষার জন্য যেতে হবে, অর্থাৎ আপনি আপনার কাপড় এবং চুল সুন্দর করে কেটে ফেলতে পারেন,।


5.এনজিও প্রতিষ্ঠানে  নিয়োগ পরীক্ষার সময় ভুল করে কখনো নকল বা নকল কাগজ নেবেন না, যদি কেউ এই ধরনের কাজ করেন তাহলে এটা আপনার জন্য ক্ষতির কারণ হবে বরং এটি আপনাকে অপমানিত করবে এবং আপনাকে বহিষ্কার করবে।



এনজিও প্রতিষ্ঠান চাকরির শিক্ষাগত যোগ্যতা :-

এনজিও প্রতিষ্ঠান এ এনজিও সেক্টরে শিক্ষাগত যোগ্যতা চাকরির ধরনের উপর নির্ভর করে। যেমন, মাঠকর্মী হিসাবে কাজ করার জন্য সাধারণত এইচএসসি পাশ হতে হয়। কিন্তু একটু উপরের দিকের চাকরি গুলোতে ন্যূনতম ব্যাচেলরস ডিগ্রি বা অনার্স ডিগ্রি এবং মাস্টার্স ডিগ্রি প্রয়োজন হয় । 

তবে কিছু বিষয়ে ডিগ্রি থাকলে আপনি এনজিওর চাকরিতে অন্যের থেকে বেশি প্রাধান্য পেতে পারেন। যেমন:


১. ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ।

২. অর্থনীতি।

৩. উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ।

৪. পিস অ্যান্ড কনফ্লিক্ট স্টাডিজ।

৫.সমাজবিজ্ঞান।

৬.অ্যানথ্রোপলজি।

৭.দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা।


এনজিও প্রতিষ্ঠান চাকরির বয়স কত :-

অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমাদের দেশের এনজিও প্রতিষ্ঠান গুলোতে এন্ট্রি লেভেলে যোগদান করার বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩২ বছর হয়ে থাকে। মাঝে মাঝে এ সীমা সর্বোচ্চ ৩৫ বছর পর্যন্ত হয়।


এনজিও প্রতিষ্ঠানে  বেতন কত :-

বাংলাদেশের বিভিন্ন ধরনের এনজিও প্রতিষ্ঠান আছে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান বিরাট আকারের কার্যক্রম পরিচালিত হয় ,আবার কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান ছোট আকারের কার্যক্রম প্রতিষ্ঠিত করেছে ,তাই বাংলাদেশ এনজিও প্রতিষ্ঠান চাকরির বেতনের ক্ষেত্রে ও ঠিক তেমনি কমবেশি রয়েছে যে প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাপক আকারে বড় প্রতিষ্ঠান তাদের বেতন কাঠামো একটু বেশি হয় ।যারা নতুন ছোট প্রতিষ্ঠান তাদের বেতন কাঠামো একটু কম হয় আপনি যদি একজন ফিল্ড অফিসার হিসেবে নিয়োগ পেয়ে থাকেন তাহলে মনে করেন ১৫ হাজার থেকে শুরু করে 22  হাজার টাকা পর্যন্ত বেতনের মধ্যে আপনার বেতন কাঠামো নির্ধারিত হবে আপনি যে প্রতিষ্ঠান নিয়োগ পান না কেন ।এনজিও প্রতিষ্ঠান ব্যাপ্তিকাল এবং আকারের ওপর তাদের বেতন কাঠামো নির্ধারিত হয়ে থাকে ।


এনজিও প্রতিষ্ঠান ভাইবা পরিক্ষা যেমন হয় :-


আপনি যদি এনজিও প্রতিষ্ঠান চাকরি করতে ইচ্ছুক হন ইচ্ছা থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাকে এনজিও বিষয়ক কিছু সাধারণ জ্ঞান অর্জন করতে হবে ।কারণ এনজিও চাকরি প্রতিষ্ঠান এনজিও বিষয়ক ঋণ কার্যক্রম বিষয়ক এই ধরনের প্রশ্নগুলো বেশির ভাগ করা হয়ে থাকে । আপনি যখন একটি প্রতিষ্ঠানে ভাইভা দিতে যাবেন  তখন অবশ্যই সেই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিবেন এবং ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম এই ধরনের কিছু বিষয়কে তথ্যগুলো জেনে নেবেন তাহলে আশাকরি আপনার ভাগ্য করে খুব সহজেই আপনি পাস করতে সক্ষম হবেন ।



এনজিওর প্রতিষ্ঠান চাকরিতে কোন ধরনের দক্ষতার দরকার হয় :-


আপনি যে এনজিও প্রতিষ্ঠানে  বা যে পদে চাকরি করতে চান না কেন, সেই বিষয়ে কিছু সাধারণ গুণ ও দক্ষতা আপনার কাছে চাওয়া হবে। যেমন:


১। আপনার মানুষের  সাথে সমস্যা অনুধাবন করার দক্ষতা কেমন তা যাচাই করবে ।

২. আপনার মানুষের  সাথে আন্তরিকতা কেমন তা যাচাই করবে ।

৩.আপনার মানুষের  সাথে ধৈর্যের সাথে কঠোর পরিশ্রম করার মানসিকতাকেমন তা যাচাই করবে ।

৪.আপনার মানসিক চাপ সামলানোর দক্ষতা কেমন তা যাচাই করবে ।

৫.আপনার ইতিবাচক মনোভাব কেমন তা যাচাই করবে ।

৬.আপনার যেকোন পরিস্থিতিতে দ্রুত খাপ খাইয়ে নেবার ক্ষমতা কেমন তা যাচাই করবে ।

৭.আপনার বিভিন্ন স্তরের মানুষের সাথে যোগাযোগ করার দক্ষতা কেমন তা যাচাই করবে ।


উল্লিখিত সাধারণ দক্ষতাগুলো ছাড়াও আপনার কিছু বিশেষ দক্ষতা থাকা প্রয়োজন। তারা আপনাকে আরও কিছু বিষয় দক্ষতা সম্পর্কে জানতে চাইবে যেমন: রিপোর্টিংয়ের কাজ থাকলে আপনাকে মাইক্রোসফট অফিসের ব্যবহার জানতে হবে। আবার আন্তর্জাতিক এনজিওতে কাজ পাবার জন্য ইংরেজি জানা জরুরি। একইভাবে আপনি যদি মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করতে চান, তাহলে আপনার থাকতে হবে যৌক্তিক ও নিরপেক্ষভাবে মূল্যায়ন করার দক্ষতা। তো অবশ্যই আপনি যদি এনজিও প্রতিষ্ঠান চাকরি করতে ইচ্ছুক হন তাহলে অবশ্যই বেড়াতে যাওয়ার আগে এই বিষয়গুলো যদি জানা না থাকে তাহলে অভিজ্ঞ কারও কাছ থেকে অবশ্যই জেনে নিবেন তাহলেই আপনি ভাইভা বোর্ডে সফল হতে পারবেন এবং আপনার কাঙ্খিত চাকরিটি আপনার হাতে ধরা দিবে ।


এনজিওতে নিয়োগ পরীক্ষার ধরন কেমন হয় :-

সাধারণত ঋণদানকারী এনজিও গুলোতে সিভিসহ আবেদন করার পর শুধুমাত্র মৌখিক পরীক্ষা মাধ্যমে কর্মী নিয়োগ করা হয়ে থাকে

। আবার আর্থসামাজিক উন্নয়নমূলক এনজিওগুলোতে কর্মী নিয়োগের বেলায় সিভিসহ আবেদন করার পর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকে। আপনি যদি লিখিত পরীক্ষা এবং মৌখিক পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হতে পারেন তবে এইমাত্র আপনি চাকরি পাবেন ।


এনজিও নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি কীভাবে নেবেন :-

১. আপনাকে প্রথমেই যে কাজটি করতে হবে সেটা হল,আপনার 

পছন্দের খাতে কোন ধরনের চাকরি রয়েছে, তা নিয়ে নিয়মিত খোঁজখবর রাখুন।


২.আপনি যে এনজিওতে আবেদন করতে চান ,কাজ করতে চান, সে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন।

৩.আপনি যে পদের জন্য আবেদন করছেন, সে পদের দায়িত্ব ও প্রয়োজনীয় যোগ্যতা সম্পকেজেনে  জেনে নিন।

৪. যদি আপনার সেই পদের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা বা যোগ্যতা না থাকলে তাহলে তা অর্জনের জন্য আপনি চেষ্টা চালান।

৫.এনজিও প্রতিষ্ঠান কাজ হতো মূলত মানুষদের সাথে নিয়ে সে ক্ষেত্রে আপনাকে মানুষের সাথে যোগাযোগ বাড়ানোর দক্ষতাকে বেশি

যোগাযোগের দক্ষতা বাড়ান।

এনজিওতে ভলান্টিয়ারিং বা ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ পেলে গ্রহণ করুন।

দেশ-বিদেশের সামাজিক-অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সম্পর্কে নিজেকে আপডেটেড রাখুন।

একটা বিষয় মাথায় রাখবেন। এনজিও একটি সেবামূলক সেক্টর। কাজেই এ সেক্টরে সফল ক্যারিয়ার গড়তে মানুষকে সাহায্য-সহযোগিতা করার মানসিকতা থাকা আবশ্যক।





এনজিও প্রতিষ্ঠান চাকরির অভিজ্ঞতা :-

এনজিও প্রতিষ্ঠান সাধারণত এন্ট্রি লেভেলের চাকরি গুলোতে খুব বেশি অভিজ্ঞতা প্রয়োজন পড়ে না। তবে আপনার অভিজ্ঞতা থাকলে আপনি বেশি সুবিধা পাবেন। 


আরো পড়ুন :-প্রাণ কোম্পানির চাকরির ভাইভা প্রস্তুতি | প্রাণ কোম্পানির চাকরি | Pran Company Job Viva Preparation 


Post a Comment

0 Comments