প্রেমিকা নিয়ে থাকা যায় শহরের যে সব আবাসিক হোটেলে জানুন শিখুন

 

যারা প্রেম-ভালোবাসা করেন অনেকেই নিরাপদ জায়গা পান না প্রেমিকাকে নিয়ে একটি গল্প করার একটু দুঃখের কথা বলার । এ বিষয়টি নিয়ে অনেকের মনে একটা দুঃখ

 থাকে তাদের মনে থাকে আফসোস থাকে যে  আমার প্রেমিকা আছে কিন্তু প্রেমিকাকে নিয়ে সময় কাটানোর মত কোন জায়গা নেই । যদি আমারও এমন প্রেমিকা কে নিয়ে সময় কাটানোর মত জায়গা থাকতো তাহলে আমাদের প্রেম টা একদম পরিপূর্ণ হয়ে যেত । কিন্তু জায়গা না থাকার জন্য আমাদের প্রেম টা এখন অসম্পন্ন হয়ে আছে । অনেককেই দেখা যায় বিভিন্ন জায়গায় জানতে চান প্রেমিকা নিয়ে থাকার মতো আবাসিক হোটেল কোনগুলো । 

প্রেমিকা নিয়ে থাকার মতো আবাসিক হোটেল ঢাকা শহরে কোথায় আছে বা প্রেমিকা নিয়ে থাকার মতো আবাসিক হোটেল রাজশাহী শহরে কোনগুলো প্রেমিকা নিয়ে থাকা যায় এমন আবাসিক হোটেল খুলনা শহরের কোনগুলো । এই হোটেলের ভাড়া কত টাকা হয় হোটেল ভাড়া করতে কি কি কাগজপত্র লাগে ।এই বিষয়গুলো দেখি   অনেকেই ফেসবুক গ্রুপে বিভিন্ন প্রশ্ন-উত্তর সম্বলিত ওয়েবসাইটে আপনারা জানতে চান ।যাদের এই  বিষয়গুলো জানার আগ্রহ আজকের এই পোস্টটি শুধুমাত্র তাদের জন্য আশা করি আপনাদের মাঝে যে প্রশ্নগুলো রয়েছে সবকিছু জানতে পারবেন আমাদের এই পোস্টের মাধ্যমে ।

আরো দেখুনঃ অপরিচিত সুন্দরী মেয়ের মন জয় করার সহজ উপায় | যে কাজগুলো করলে সুন্দরী মেয়েরা প্রেমে পাগল হয়

আমরা অনেক কেই দেখেছি যারা প্রেমিক-প্রেমিকা তারা আবাসিক হোটেলে গিয়ে সময় কাটায় । এই ঘটনাগুলো আমরা কখন জানতে পারি যে যখন দেখি সে আবাসিক হোটেলে পুলিশের রেট হয় তারা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে খবরের নিউজ হয়েছে আজকে আবাসিক হোটেল থেকে প্রেমিক-প্রেমিকা জুটি আটক হয়েছে ।  আবাসিক হোটেলে তারা নিজেদের কে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে রুম ভাড়া করেছিল । আবার অনেকেই দেখা যায় যে তারা নিজেদেরকে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে  রুম ভাড়া করেছে এবং পরে দেখা যায় রাতে একজন কোন কারনে মারা গেছে তখন পরেরদিন পুলিশ এসে যখন তাদের ধরে তখন দেখা যায় যে তারা আসলেই স্বামী স্ত্রী না প্রেমিক প্রেমিকা ।

এই ধরনের ঘটনা আমরা পেপার পত্রিকার মাধ্যমে অনেক দেখেছি অনেক শুনেছি যার কারণে আমরা ধারণা করতে পারি যে আবাসিক হোটেলে প্রেমিকা নিয়ে থাকা যায় । অনেকেই থাকে যদি তারা না  থাকতো তাহলে কিন্তু এ ধরনের ঘটনা ঘটতো না । আবার আমরা অনেকেই আমাদের বন্ধুরা তাদের প্রেমিকাকে নিয়ে আবাসিক হোটেলের নিয়ে সময় কাটায় এটা জানি বা শোনেছি ।

শহরে যে সব আবাসিক হোটেলে প্রেমিকা নিয়ে   থাকা যাই  :- 

আমাদের দেশের হাজার হাজার আবাসিক হোটেল রয়েছে হোটেলগুলো দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে জেলা শহরে অবস্থিত । কিন্তু আপনি আমাদের দেশের কোন আবাসিক হোটেলে সরাসরি গিয়ে যদি পরিচয় দেন যে আমরা অবিবাহিত আমরা প্রেমিক প্রেমিকা আমরা  সময় কাটানোর জন্য এসেছি আমাদের একটা রুম ভাড়া দিতে হবে ।তাহলে কিন্তু কোন হোটেল মালিকপক্ষই আপনাদেরকে রুম ভাড়া দেবে না কারণ এটা আমাদের দেশীয় আইনে একটি অবৈধ কাজ হিসেবে ধরা হয় যার কারণে হোটেল মালিক আপনাদেরকে ভাড়া দেবে না  ।

এটা যদি বিদেশ এর  ঘটনা হতো তাহলে আপনি আপনার ইচ্ছামত আপনি যেকোন আবাসিক হোটেলে গিয়ে আপনার প্রেমিকাকে নিয়ে সময় কাটাতে পারেন কিন্তু এটা আমাদের বাংলাদেশ এই বিষয়গুলো আমাদের সামাজিকভাবেও মেনে নেওয়া হয়না আমাদের রাষ্ট্রীয় ভাবে মেনে নেয়া হয় না যার কারণে আপনি কিন্তু এত সহজেই করতে পারবেন না ।

যারা এমন প্রেমিক-প্রেমিকা তারা যে কাজটা করে তারা নিজেদেরকে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে আবাসিক হোটেলের রুম ভাড়া করে ।এখন ছেলে মেয়েরা যদি নিজেদেরকে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে আবাসিক হোটেলে রুম ভাড়া করে সে ক্ষেত্রে তো আর হোটেল মালিকদের এখানে তেমন দায়বদ্ধতা থাকে না । কারণ যদি কোন ক্ষেত্রে আবাসিক হোটেলে পুলিশের রেট হয় তখন হোটেল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে বলতে পারবে যে  তারা আমাদেরকে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে হোটেলের রুম ভাড়া  করেছে আমরা  কিছুই জানিনা । কিন্তু আপনি যে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে আপনার প্রেমিকাকে নিয়ে গিয়ে আবাসিক হোটেলে রুম বুক করলেন পুলিশ তখন আপনাদের দুজনকে ধরে থানায় নিয়ে যাবে আপনাদের পরিবারকে জানাবে যে দেখুন আপনাদের ছেলে মেয়েরা আবাসিক হোটেলে কি করছে ।এমন যদি ঘটনা ঘটে তাহলে দেখুন তো কতটা একটা সম্মানহানিকর বিষয়ে আপনাদের জন্য আপনার পরিবারের  মানুষদের জন্য ।

আরো দেখুনঃ  আবাসিক হোটেলে প্রেম । শাকিব ও পপির আবাসিক হোটেলের প্রেম কাহিনী

এখন আপনারা প্রেমিক-প্রেমিকা আপনার এখন যদি চিন্তা করেন যে আবাসিক হোটেলে গিয়ে আমরা নিরাপদে সময় কাটাবো । তাহলে আপনারা তাদের মতোই নিজেদেরকে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে আপনারা আবাসিক হোটেলে রুম বুক করতে পারেন । এটা আপনি দেশের যেকোনো আবাসিক হোটেলে যে কোনো জেলার আবাসিক হোটেলে ঢাকা,রাজশাহী,খুলনা ,সিলেট,বরিশাল ,রংপুর,কস্কবাজার ,কুয়াকাটা সব খানেই এভাবে রুম ভাড়া করতে করতে পারবেন ।এটা কিন্তু আপনার নিজ দায়িত্বে করতে হবে কারণ হোটেল কর্তৃপক্ষ  জানবেন যে আপনার স্বামী স্ত্রী ,আবাসিক হোটেলের খাতায় আপনাদের কে স্বামী স্ত্রী হিসাবে নাম লিপিবদ্ধ করা থাকবে । কিন্তু শুধু আপনারা দুজন জানবেন যে আপনারা বিবাহিত না অবিবাহিত আপনারা প্রেমিক-প্রেমিকা মিথ্যা কথা বলে আপনার হোটেলে রুম বুক করেছেন ।

আবাসিক হোটেলের ভাড়া কেমন হয় :-

আমাদের দেশের যেসব আবাসিক হোটেল রয়েছে আবাসিক হোটেলগুলো সাধারণত তিন ধরনের হয়ে থাকে 

***নরমাল আবাসিক হোটেল 

***মিডিয়াম আবাসিক হোটেল 

***ভিআইপি আবাসিক হোটেল 

***নরমাল আবাসিক হোটেল ভাড়া সাধারণত ৩০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে হয় এ ধরনের হোটেলগুলোতে নিম্নআয়ের মানুষ সাধারণত তারাই বেশি থাকে ।

 আরো দেখুনঃ  পাট ক্ষেতে প্রেম । ইমরান ও মাহির গ্রামের পাট ক্ষেতে প্রেম কাহিনীর  ঘটনা 

***মিডিয়াম আবাসিক হোটেলগুলোর ভাড়া ১০০০ থেকে শুরু হয় ৫০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে ।এ ধরনের হোটেলগুলোতে মধবিত্ত আয়ের মানুষ সাধারণত তারাই বেশি থাকে ।

  ***ভিআইপি আবাসিক হোটেলের ভাড়া শুরু হয় ৫০০০থেকে ৫০০০০হাজার টাকা পর্যন্ত । এই হোটেল গুলোতে সাধারণত যারা অনেক টাকা পয়সার মালিক রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ বড় বড় অফিসার তারাই রাত্রিযাপন করে থাকে ।

*** এখন আপনার কাছে যেটা টাকার বাজেট থাকবে আপনি সেই ধরণের আবাসিক হোটেলে রুম ভাড়া করতে পারবেন ।

 

আবাসিক হোটেলে রুম ভাড়া করতে কি ধরনের কাগজ লাগে :-

সাধারণত মানুষদের জন্য আবাসিক হোটেলের রুম ভাড়া করতে ভোটার আইডি কার্ডেই  যথেষ্ঠ ।আপনি একজন পুরুষ মানুষ আপনার কাছে একটা ভোটার আইডি কার্ড থাকলেই  রুম ভাড়া করতে পারবেন বা আপনারা স্বামী-স্ত্রী আপনাদের কাছেও ভোটার আইডি কার্ড থাকলে আপনার রুম ভাড়া করতে পারবেন । কিন্তু আপনারা যখন প্রেমিক-প্রেমিকাকে নিজেদেরকে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিবেন  তখন হয়তো হোটেল কর্তৃপক্ষ আপনাদের কাছে বিয়ের কাগজপত্র চাইতে পারে । অনেকেই এমন   মিথ্যা কথা বলে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে রুম ভাড়া করে  যার কারণে এই নিয়মটা আবাসিক হোটেলে রয়েছে যে বিবাহিত হলে তাদের কাবিননামা কাগজপত্র লাগবে । 

 এখন দেখা যায় কত মানুষ কত বিপদে যায় সবার সাথে তো আর বিয়ের  কাগজ সাথে নিয়ে যাওয়ার সম্ভব না বা  মনে থাকে না সে ক্ষেত্রে তখন হোটেল কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে তাদেরকে ভোটার আইডি কার্ড দেখেই রুম ভাড়া দেয় ।  কারণ এভাবে যদি সবারই কাবিননামা চেক করতে যায় তাহলে তো তাদের হোটেলে থাকার মতো মানুষ পাবে না । তাই ব্যবসার খাতিরে বাধ্য হয়েই ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে রুম বুক করে থাকে । এখন যারা অবিবাহিত প্রেমিক প্রেমিকা তারা আবাসিক হোটেলে গিয়ে নিজেদেরকে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দেয় তারপর তাদের ভোটার আইডি কার্ড ব্যবহার করে হোটেলে রুম বুক করে ।

পরিশেষে :- 

যে কথাটি বলতে চাই এই কাজটি যেহেতু আমাদের ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে হারাম আমাদের সমাজের দৃষ্টিকোণ থেকে খারাপ ভাবা হয়  এবং আমাদের রাষ্ট্রীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও অবৈধ । এর পরেও অনেকেই এই  কাজগুলো করে থাকে ।এখন আপনি যদি এই কাজগুলো করে থাকেন বা করতে চান  এটা আপনার ব্যক্তিগত বিষয় । তবে আমাদের ব্যক্তিগত মতামত হলো এই  ধরনের কাজ না করাটাই উত্তম কারণ এটা যেহতো ইসলামবিরোধী কাজ সে ক্ষেত্রে আল্লাহতালা যদি আপনার উপর নারাজ হয় তাহলে অনেক খারাপ কিছুই  ঘটতে  পারে ।তাই অবশ্যই সাবধান থাকবেন সবাই আবাসিক হোটেলে প্রেমিকা নিয়ে রাত্রি যাপন করা থেকে বিরত থাকবেন সবাই । বিয়ে করে প্রবিত্র সম্পক্ক গড়ে তুলুন সবাই ।