Header Ads Widget

পাট ক্ষেতে প্রেম । ইমরান ও মাহির গ্রামের পাট ক্ষেতে প্রেম কাহিনীর ঘটনা Love in jute fields

 

পাট ক্ষেতে প্রেম । ইমরান ও মাহির গ্রামের পাট ক্ষেতে প্রেম কাহিনীর  ঘটনা Love in jute fields

আমার নাম ইমরান আমার বয়স ২৫ বছর । আমি অবিবাহিত আমি  ঢাকা শহরে চাকরি করি একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে । ঢাকা শহরে আমি একাই থাকি আমার বাবা-মা গ্রামের বাড়িতে থাকে ।  আমি দুই তিন মাস পর পর আমার গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যাই বাড়িতে গেলে বাবা-মার সাথে দেখা হয় আবার আমার প্রেমিকা মাহির সাথেও  দেখা হয় । যার কারণে আমার  অফিসের বস একটু রাগারাগি করলে আমি তিন মাসের বেশি ঢাকা শহরে থাকতে পারিনা তিন দিনের জন্য হলেও ছুটি নিয়ে গ্রামের বাড়িতে চলে যায় ।


ঢাকা শহরে দেখি সবাই প্রেমিক প্রেমিকারা রমনা পার্ক ও বোটানিকাল গার্ডেন সহ বিভিন্ন জায়গায় কত সুন্দর করে প্রেম করে কেউ দেখার নেই কেউ বিরক্তি করার নেই  আর নেই মনে কোনো ভয় ।এ বিষয়গুলো দেখলে আসলেই আমার খুব কষ্ট হয় কারণ শহরে  অঞ্চলের প্রেম আর গ্রাম অঞ্চলের প্রেম এ কত পার্থক্য । গ্রামে প্রেম করতে হলে ভয় থাকে এইবুঝি কেউ দেখে ফেলল কেউ বুঝি বাড়িতে গিয়ে বলে দিবে এলাকার মানুষের কাছে বলে দেবে । এসব ভয়  ঠিকমত প্রেমিকার সাথে দেখা করা যায়না ।


আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার জীবনের বাস্তব গ্রাম এলাকার প্রেমের ইতিহাস আপনাদের সাথে তুলে ধরবো । তাহলে আপনারা বুঝতে পারবেন যে যারা গ্রাম এলাকায় প্রেম করে তাদের কষ্ট কত কষ্ট করে প্রেম করতে হয় । তাহলে চলুন আমার প্রেম কাহিনী শুরু করি ।


আমি যখন আমার এলাকায় কলেজে পড়াশোনা করতাম তখন আমাদের পাশের গ্রামে একটা মেয়ের সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয় । মেয়েটার নাম মাহি ,মাহির বয়স ১৬ বছর মাহি দেখতে অনেক সুন্দরী মাহির ফিগার অনেক সুন্দর ।আমি যখন অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়ি তখন মাহি একাদশ শ্রেণীতে পড়ে । একটি বিয়ে বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে আমার মাহির  সাথে পরিচয় হয় ।এরপর আস্তে আস্তে আমাদের মাঝে মোবাইলে কথা শুরু হয় । যেহতো আমরা দুজনেই গ্রাম এলাকার আমরা চাইলেই দেখা করতে পারতাম না । তাই আমাদের বেশিরভাগ মোবাইলে কথা হতো । কলেজে যাওয়ার পথে চোখাচোখি  করে দেখা হত ।


আরো দেখুনঃ অপরিচিত সুন্দরী মেয়ের মন জয় করার সহজ উপায় | যে কাজগুলো করলে সুন্দরী মেয়েরা প্রেমে পাগল হয়



 কিন্তু আমরা একটু সময় নিয়ে কোথাও কথা বলার সেভাবে সুযোগ পায় না । কারণ আমাদের মনে একটা ভয় থাকে যে কে কখন কাকে দেখে ফেলে দেখে বাড়িতে গিয়ে বলে দিবে । তখন একটা ঝামেলার সৃষ্টি হবে এই ভয়ে আমরা একটু নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখতাম । কিন্তু আমাদের প্রতিদিন মোবাইলে কথা হতো যার কারণে আমাদের মাঝে গভীর একটা প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয়ে যায় । আমরা একে অপরকে ছাড়া বাঁচবো না আমরা সারা জীবন একসাথে থাকতে চাই আমরা একে অপরকে বিয়ে করতে চাই এ ধরনের শপথে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছিলাম ।



 আমাদের গভীর প্রেম হলেও আমরা যেহেতু ঠিকভাবে কথা ও দেখা করতে পারতাম না যার কারণে আমাদের মধ্যে কোনো শারীরিক কোনো মেলামেশা হয়নি এখনো । কিন্তু আমার ফোনে অনেক ধরনের কথা বলতাম কিন্তু আমরা সুযোগের অভাবে কখনো মেলামেশা করতে পারিনি । আমি দেখতাম আমার অনেক বন্ধুরাই তারাও প্রেম করত এবং তারাও  গ্রামে যার কারণে তারা সেভাবে সময় কাটাতে পারেনা । অনেকেই দেখতাম তারা শহরের আবাসিক হোটেলে প্রেমিকাকে নিয়ে বেড়াতে যেত এবং তারা সেখানে তাদের ব্যক্তিগত সময় কাটাতো ।


আরো দেখুনঃ ফ্লেক্সিলোড সিম বানিয়ে ফেলুন মাত্র ৫০ টাকায় Make flexiload SIM 


আমি একদিন সাহস করে মাহিকে কে বলে ফেললাম ।  আমার বন্ধুরা তো তারা প্রেম করে তারা তো বিয়ে করবে দেখো না সেদিন জামাল রিপাকে নিয়ে  শহরের আবাসিক হোটেলে গিয়ে দেখা করল সময় কাটালো ।  তাহলে চলো না আমরাও একদিন শহরের আবাসিক হোটেলে যাই একটু সময় কাটায় আমরাও তো  বিয়ে করবো তাহলে সমস্যা কি । বিয়ের আগে যদি তুমি আমাকে আমি তোমাকে একটু ভালোভাবে দেখাশোনা করে তাহলে আমাদের মাঝে সম্পর্ক আরো ভালো হবে । 



আমার কথা শুনে মাহি বলল না বাবা আমার ভয় করে আমি ওসব জায়গায় যাইতে পারবোনা । আমার শহরে মামা চাচারা আছে কেউ দেখে ফেললে তখন মান-সম্মান নষ্ট হয়ে যাবে আমার তখন আত্মহত্যা করা লাগবে । আমি আবাসিক হোটেলে যাইতে পারবোনা মাহি সরাসরি আমাকে না বলে দিলো । আমি মাহির কথা শুনে রাগ করলাম না কারণ আমি জানি  শহরে মাহির একটা চাচা এবং মামা থাকে যদি ভুলবশত আমাদের এখানে দেখে ফেলে বা মাহির চাচার বা মামার পরিচিত কেউ যদি দেখে ফেলে তাহলে মাহির হয়তো সমস্যা হয়ে যাবে । আবার আমি শুনেছি আবাসিক হোটেলে অনেক সময় পুলিশ রেট করে প্রেমিক-প্রেমিকাকে আবাসিক হোটেলে পেলে  পুলিশ ধরে নিয়ে যায় সব মিলিয়ে দেখলাম যে মাহিকে  নিয়ে আবাসিক হোটেলে যাওয়া ঠিক হবে না । আমি চাইনা আমার জন্য মাহির কোন সমস্যা হোক আমি মাহি কে বললাম ঠিক আছে আমি আবাসিক হোটেলে যাব না ।



এভাবে আমাদের প্রেম কাহিনী প্রায় এক বছর পার হয়ে গেল কিন্তু আমরা এখনো কেউ কারো কাছে আসতে পারেনি জড়িয়ে ধরতে পারিনি কিস  করতে পারেনি ।শুধুমাত্র গ্রাম এলাকা হওয়ার কারণে আমরা সেভাবে কোন সুযোগ পাচ্ছিলাম না । আমার এমন কষ্ট দেখে আমার একজন বন্ধু আমাকে বুদ্ধি দিলো আরে বোকা তুই যখন আবাসিক হোটেলে যাইতে ভয় করতেছিস  তাহলে এক কাজ কর এখন যেহেতু গ্রাম এলাকায় পাট ক্ষেত আছে এটা কিন্তু একটা ভালো জায়গা নিরাপদ জায়গা হতে পারে । কারণ মানুষ  মানুষ সাধারণত পাট খেতে যায় না কারণ পাটক্ষেত গুলো গভির অরন্যের মত হয়ে থাকে কিন্তু তই এই সুযোগটা কাজে লাগাতে পারিস মাহিকে রাজি করিয়ে পাট খেতে নিয়ে যা ।  



 বন্ধুর এমন কথা শুনে আমার মাথায় বিষয়টা গ্রহণযোগ্য মনে হলো আমিও ভাবলাম বন্ধু তো ঠিক কথাই বলেছে । গ্রাম এলাকায় তো এখন অনেক পাট ক্ষেত এক কথায় গভীর অরণ্যের মত । যেদিকে যাই শুধু পাট ক্ষেত আমি বললাম  বন্ধু ঠিক আছে তুমি ভালো কথাই বলেছ । তাহলে আমার সাথে আজকে চলো আমার তো একা যেতে ভয় করছে তুমি আমার সাথে চলো একটু পর্যবেক্ষণ করে আসি  আসলেই মানুষ থাকে বা মানুষ থাকলেও কখন চলে যায় । বন্ধু আমার কথায় রাজি হয়ে গেল আমরা দুজন পাট খেতে চলে গেলাম দেখার জন্য পরীক্ষা করার জন্য নিরাপদ জায়গা ঠিক  করার জন্য । আমরা দীর্ঘ ২ ঘণ্টা অবস্থান করে যাচাই করলাম যে কোথায় পরিবেশটা ভালো হবে নিরাপদ হবে  দেখলামএবং সেখানে কোন মানুষ আসতে পারবে না এটাও শিওর হলাম ।


আমি বাসাই  এসে মাহির কাছে ফোন দিলাম  মাহিকে বললাম দেখো মাহি এবার কিন্তু তুমি না করতে পারবে না । তখন মাহি বলল আরে কি হয়েছে বিষয়টা খুলে বলো । আমি বললাম মাহি আমি খুব সুন্দর একটি জায়গা দেখেছি যেখানে আমরা নিরিবিলিতে নিরাপদে দেখা করতে পারবো । আমাদের মনের ইচ্ছা গুলো পূরণ করতে পারবো । কেউ জানতে পারবে না তখন মাহি বল কোথায় সে জায়গা আমাকে বল । আমি তখন বললাম আমাদের গ্রামের তোমাদের গ্রামের মাঝে যে পাটক্ষেত রয়েছে সেই পাটক্ষেতে । গতকাল  আমি আর আমার বন্ধু  পাট খেতে গিয়ে দেখেছি নিরাপদ একটি জায়গা ঠিক করে রেখেছি আর দেখেছি কৃষকরা দুপুরের টাইমে সেখানে থাকে না এক কথায় কোনো ভয় নেই ।


আমার কথা শুনে মাহি এবারও বলো না আমার ভয় করে যদি কেউ দেখে ফেলে আর পাট খেতে যাওয়া কি নিরাপদ কেউ যদি একবার ভুলে দেখতে পায় তাহলে মান সম্মান সব শেষ ।মাহি কিছুতেই রাজি হয়না । তখন আমি চিন্তায় পড়ে গেলাম যে আমাদের আর কখনো দেখা হবে না কি করা যায় ।আমি তখন বললাম মাহি তুমি বোরকা পড়ে কলেজে যাওয়ার সময় যেভাবে যাও  এভাবে তুমি চলে আসো তোমার সাথে দেখা করে একসাথে নিরাপদ জায়গায় চলে যাব তাহলে কেও বুঝতে পারবে না ।


আরো দেখুনঃ যে ৫ টি কাজ করলে প্রেমিকা খুশি হয় ভালোবাসার মানুষ খুশী হয়



এরপর ও মাহি রাজি হয়না তারপর মাহিকে কে অনেক বুঝালাম অনেক কথা বললাম শেষপর্যন্ত মাহি রাজি হল পাটক্ষেতে আমার সাথে দেখা করার জন্য । যাই হোক আমরা দুদিন পর যথা সময়ে আমরা পাট ক্ষেতে গিয়ে উপস্থিত হলাম । আমি আবারও চারিদিকে ভালো করে খেয়াল করে দেখলাম ঠিকই আছে কিনা বা কেউ আসতে পারে কিনা । তারপর আমারা  সেই কাঙ্খিত পাট খেতে চলে গেলাম সেখানে গিয়ে আমরা আমাদের এত দিনের ইচ্ছা আকাঙ্ক্ষা সবকিছু দুজনে পূরণ করলাম । আমরা সেখানে প্রায় ৩ ঘন্টা সময় কাটালাম । আমরা দুপুর ১২টার সময় সেখানে যায় এবং ৩ টার সময় সেখান থেকে বের হয়ে আসি । কারণ কৃষকেরা সাধারণত ১২ টার আগেই মাঠ থেকে চলে আসে আবার বিকাল ৩ টা ৪ টার দিকে তারা মাঠে ফিরে আসে । সেই চিন্তা করেই ৩ টা বাজতে আমরা আমাদের কাজ সেরে পাটক্ষেত থেকে বের হয়ে রাস্তা দিয়ে মাহি তার বাড়িতে চলে গেল আমি আমার বাড়িতে চলে আসলাম ।


এভাবেই দীর্ঘ ১৩ মাস প্রেমের সম্পর্ক করার পরে আমি সর্বপ্রথম মাহির সাথে একান্তে সময় কাটাতে পারলাম মাহিকে  জড়িয়ে ধরতে পারলাম মাহিকে  কিস করতে পারলাম এবং আরো অনেক কিছুই করতে পারলাম । আজ নিজেকে পরিপূর্ণ মনে হচ্ছে আসলে প্রেম কি জিনিস সেটা আজকে জানতে পারলাম বুঝতে পারলাম । মাহিকে  বাসায় এসে মাহি কে কল করে জিজ্ঞেস করলাম যে আজকের ঘটনা তোমার কাছে কেমন লাগলো মাহি  বলল যে তার কাছে অনেক ভালো লেগেছে । আমি তখন মাহি  কে বললাম আজকে তো দেখলে কোন সমস্যা হল না দুজনের ভালই লাগলো । আমি মাহি কে সাহস করে বললাম তাহলে কিন্তু আমরা মাঝে মাঝে কাজটা করব পাট খেতে গিয়ে তখন মাহি কিছু বলল না চুপ করে থাকলো আমি বুঝতে পারলাম যে  মাহি যখন কিছু বলছে না তারমানে মাহিও রাজি ।


এই ঘটনার পর এক মাসের মধ্যে মাহির সাথে আমি আরো ২ বার সেই পাট ক্ষেত এ  দেখা করি এবং আমাদের ভালোবাসা মনের ইচ্ছা আকাঙ্ক্ষা পূরণ করি । এরপর পাটক্ষেতে  মাঠে বন্যার পানি চলে আসলো কৃষকরা পাট ক্ষেত কেটে ফেলল যার কারণে আমাদের সেই প্রেমের সমাধি  মানে প্রেমের জায়গাটা নষ্ট হয়ে গেলো । আমরা আর দেখা করতে পারলাম না আমরা আবারও মোবাইলে কথা বলা রাস্তায় চোখের দেখা দেখি শুরু হল । আমাদের মনে এখন প্রবল ইচ্ছা   মিলিত হওয়ার কিন্তু জায়গার অভাবে আমরা  পারছিনা আমরা অপেক্ষায় আছি সামনে বছর যখন পাট ক্ষেত হবে  আমরা আবার সেখানে আবার মিলিত হবো একান্ত সময় কাটাবো ।



এই ঘটনাটি যদি আপনাদের কাছে ভাল লাগে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এটা একটি বাস্তব ঘটনা একটি গ্রামের প্রেম কাহিনী ঘটনা । 





Post a Comment

0 Comments