Header Ads Widget

আবাসিক হোটেলে প্রেম । শাকিব ও পপির আবাসিক হোটেলের প্রেম কাহিনী

আবাসিক হোটেলে প্রেম । শাকিব ও পপির আবাসিক হোটেলের প্রেম কাহিনী


 অনেকে কেই দেখা বিভিন্ন জায়গায় প্রশ্ন করে থাকেন যে আবাসিক হোটেলে কি প্রেমিকা নিয়ে গিয়ে রুম ভাড়া করা যায় বা কোন ধরনের আবাসিক হোটেলে প্রেমিকা নিয়ে যাওয়া যায় । প্রেমিকা নিয়ে আবাসিক হোটেলে গিয়ে থাকতে হলে কি ধরণের কাগজপত্র লাগে ।

এই  ধরনের প্রশ্ন যাদের মনে রয়েছে তাদের জন্যে আজকে একটি বাস্তব ঘটনা তুলে ধরব আপনাদের সাথে আশা করি এই ঘটনাটি থেকে আপনারা আপনাদের প্রশ্নের উত্তরগুলো পেয়ে যাবেন ।


 আমার নাম শাকিব আমার বয়স ২৪ বছর আমি অনার্স চতুর্থ বর্ষে পড়াশোনা করছি । আমি পড়াশোনা তেমন একটা ভাল না । যার কারণে আমার কলেজের সুন্দরী মেয়েরা আমাকে পাত্তা দেয় না । আমাদের সাথে অনেক সুন্দরী বান্ধবীরা আছে কিন্তু আমার পড়ালেখাই  ভালো  না তাই আমি তাদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করতে পারেনি । দু-একজন বান্ধবীকে সাহস করে প্রেমের কথা বলেছিলাম কিন্তু তারা আমাকে রিজেক্ট করে দিয়েছে আমার চেহারা তেমন  ভালো না যার কারণে আমার প্রেম করা হয়নি ।


আমি যখন অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশোনা করি তখন ফেসবুকের মাধ্যমে আমাদের পাশের জেলা একটা মেয়ের সাথে আমার পরিচয় হয় ।মেয়েটার নাম ছিল পপি । পপির বয়স ১৮ বছর পপি এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিল ।

আমাদের মাঝে প্রথমে বন্ধুত্ব শুরু হয় এরপর আস্তে আস্তে ছয় মাস পর আমাদের মাঝে একটা প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় ।এর মধ্যে আমরা সামনাসামনি কেউ কাউকে দেখিনি শুধুমাত্র আমাদের মেসেঞ্জারে কথা হত ।আমরা একে অপরের পিকচার দেখেই আমাদের মাঝে একটা প্রেমের সম্পর্ক তৈরী হয়ে যাই ।  পপি গ্রামের মেয়ে তাদের এলাকার স্থানীয় কলেজের পড়াশোনা করত ।


এভাবেই আমাদের প্রেম চলছিল আমি দেখতাম যে আমার সব বন্ধুরা প্রেম করে তারা তাদের বান্ধবীদের সাথে রুমডেট করে পার্কে বেড়াতে যায় আবাসিক হোটেলে বেড়াতে যায় । আমি এই বিষয়টা পপির সাথে শেয়ার করলাম বললাম দেখো আমাদের মাঝে এখন প্রেম হয়ে গেছে আমার ভবিষ্যতে বিয়ে করবা । তাহলে আমার বন্ধুরা আমার বান্ধবীরা  আবাসিক হোটেলে যায় বিভিন্ন পার্কে যাই  বাসায় গিয়ে রুমডেট করে তাহলে চলো না একদিন আমরা এমন কিছু করি। পপি বলল না আমাদের এটা গ্রাম এলাকার আমাদের এখানে ধরনের কিছু করা যাবে না তাহলে মানুষ জানাজানি হলে আমার কেলেঙ্কারি হবে ।তখন পপিকে বললাম ঠিক আছে তোমাদের জেলা শহরে আমার দেখা করব সেখানে কোন আবাসিক হোটেলে গিয়ে দেখা করব আমরা ভালোবাসা বিনিময় করব ।


পপি প্রথমে রাজি না হলেও আমি বিভিন্নভাবে পপিকে বুঝিয়ে-সুজিয়ে রাজি করি একদিনের জন্য শহরে আসতে । যথারীতি আমার ডেট ফাইনাল যে ৩ দিন  পরে শহরে গিয়ে দেখা করব । আমি দেখা করার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে ফেলি । এদিকে পপি তার বাড়িতে মিথ্যা কথা বলে বান্ধবীর বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে শহরের চলে আসে ।এরপর আমি আমার বাড়ি থেকে তাদের জেলা শহরে চলে যাই । আমি আর পপি  সর্বপ্রথম বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা করি । এটাই আমাদের প্রথম সামনাসামনি দেখা । আমরা একে অপরের ছবি দেখেছিলাম যার কারণে আমাদের চিনতে সমস্যা হয়নি এরপর আমরা স্থানীয় একটি হোটেলে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করি ।  


তারপর আমাদের পরিকল্পনা মতো আমরা চিন্তা করি যে কোন একটা আবাসিক হোটেলের রুম বুক করবো ।  আমি পপি  কে নিয়ে একটি আবাসিক হোটেলে চলে যায় । তারপর সেখানে গিয়ে বলি যে আমাদের একটা রুম লাগবে তখন হোটেল মালিক আমাদের জিজ্ঞেস করে যে আপনারা কে পরিচয় কি । আবাসিক হোটেল সম্পকে আমার তেমন ধারণা  ছিল না যার কারণে আমি সত্য কথাই বলে ফেলি ।আমি দেখতাম যে আমার বন্ধুরা  প্রেমিকাকে নিয়ে আবাসিক হোটেলে যেত । তাই আমিও ভাবতাম  আবাসিক হোটেল প্রেমিকা নিয়ে রুম ভাড়া করা যায় । আমি হোটেল ম্যানেজার কে বললাম আমরা প্রেমিক প্রেমিকা আমরা এখানে বেড়াতে এসেছি আমাদের একটা রুম দরকার । আমার এ কথা শুনে হোটেল ম্যানেজার সরাসরি আমাকে না বলে দিল । যে  ভাই আমাদের হোটেলে এভাবে অবিবাহিত ছেলে মেয়েদেরকে রুম ভাড়া দেই না । আপনারা চলে যান হবে না আপনাদের রুম ভাড়া দিয়ে ঝামেলায় পড়তে চাই না ।


কি আর করা অবশেষে মন খারাপ করে সেই আবাসিক হোটেল থেকে পপি কে নিয়ে বের হয়ে চলে আসলাম ।এরপর আরেকটা আবাসিক হোটেলে গেলাম সেখানে গিয়ে বললাম যে আমরা প্রেমিক প্রেমিকা বেড়াতে এসেছি আমাদের একটা রুম লাগবে । সেখানে সেই ভাবে আমাদেরকে না করে দেওয়া হলো ম্যানেজার বললো  অবিবাহিতদের কে রম ভাড়া দেই না । কি আর করা মন খারাপ করে সেখান থেকে বের হয়ে গেলাম।


পপির মুখের দিকে তাকিয়ে দেখলাম আমার এই এমন কার্যক্রম থেকে পপি  রাগ করছে । আমি তখন আমার যে বন্দু  আবাসিক হোটেলের প্রেমিকা নিয়ে যেত তার  কাছে আমি কল দিলাম এবং জানতে চাইলাম যে আমিতো এভাবে একটা জায়গায় আসছি কিন্তু আমিতো হোটেল ভাড়া করতে পারতেছি না কি করব । তখন আমার বন্ধুটি বলল আরে বোকা প্রেমিক-প্রেমিকা বললে কি কোন আবাসিক হোটেলে ঘর ভাড়া দিবে ,জীবনেও দেবেনা ।তুই এবার গিয়ে বলবি  যে আমরা স্বামী-স্ত্রী । স্বামী স্ত্রীর কথা শুনে ম্যানেজার যদি বিয়ের কাগজ চায় তাহলে বলবি যে আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে মেডিকেলে এসেছিলাম ডাক্তার এর কাছে ।ডাক্তার  অনেকগুলো টেস্ট দিছে যার কারণে ডাক্তার বলেছে আজকে রাতে কোথায় থেকে সকালে যেন এই টেস্ট দেখাতে  হবে এখন আমাদের একটা রুম লাগবে। আমরা তো এখানে বেড়াতে আসেন যে বিয়ের কাগজপত্র সাথে নিয়ে ঘুরবো ।আমরা এখানে মেডিকেলে এসেছি বিপদে পড়ি এখন আপনি যদি এই ধরনের কথা বলেন তাহলে আমরা কীভাবে এই অচেনা শহরের রাতে থাকবো । 



আমি বন্ধুর কথামতো পপি কে নিয়ে পাশের আরেকটা আবাসিক হোটেলে নিয়ে চলে গেলাম সেখানে গিয়ে বললাম যে আমাদের একটা রুম লাগবে । তখন সে হোটেল ম্যানেজার বলল আপনাদের পরিচয় কি ।তখন আমি বললাম যে আমরা স্বামী-স্ত্রী মেডিকেলে আসছিলাম ।ডাক্তার অনেকগুলো টেস্ট দিয়েছে যার কারণে কালকে সকালে আবার ডাক্তারের সাথে দেখা করতে হবে যার কারনে আমাদেরকে আজকে রাতে কোথাও থাকতে হবে  আমাদের একটা  রুম লাগবে । তখন হোটেলের ম্যানেজার বলল যে আপনারা যে বিবাহিত আপনাদের বিয়ের কাগজ দেন । তখন আমি হোটেল ম্যানেজারকে বললাম দেখেন ভাই আমার প্রয়োজনে এসেছিলাম আমরা কি বিয়ের কাগজপত্র সাথে করে নিয়ে এসেছি নাকি । আমাদের কাছে ভোটার আইডি কার্ড আছে এটা হবে না তখন হোটেল ম্যানেজার বললো ঠিক আছে কি আর করা আপনারা যেহেতু বিপদে পড়েছেন আমি আপনাদেরকে একটা রুম  দিচ্ছি । তখন আমি আমার ব্যাগ থেকে  আমার ভোটার আইডি কার্ড এবং পপির আইডি কার্ড ম্যানেজারের কাছে দিলাম ।তিনি আমাদের নাম ঠিকানা সব কিছু লিপিবদ্ধ করলেন  তারপর আমাদেরকে একটি ডাবল বেড রুম দেওয়া হল থাকার ভাড়া ছিল ১৬৮০ টাকা । 



রুম ভাড়া পাওয়ার পরে মনে একটা শান্তি ফিরে পেলাম ।তারপর আর দেরি না করে পপি কে নিয়ে রুমে চলে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দিলাম ।প্রথমে ফ্রেস হয়ে নিলাম তারপর আমরা আমাদের ভালোবাসা বিনিময় করলাম আমাদের এত দিনের ইচ্ছা আকাঙ্ক্ষা গুলো পূরণ করলাম আমরা সারারাত প্রেম বিনিময় করলাম । রাতে জেগে থাকার কারণে রাত ২টার পরে আমাদের খুব ক্ষুধা লাগে তখন আমি হোটেল ম্যানেজারকে বলে বাইরে গিয়ে কিছু খাবার কিনে নিয়ে আসি তারপর আমরা সে খাবার খাই ।  আমরা একটু সময়ের জন্য হলেও রাতে ঘুমায়নি ,আমরা সারারাত জেগে থেকে ভালোবাসা বিনিময় করি ।


তারপর সকালে আমরা গোসল  করে ফ্রেশ হয়ে রুম থেকে বের হয়ে পড়ি ।তারপর আমরা একটা  হোটেলে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করি । তারপর পপি কে নিয়ে শপিং মলে গিয়ে কিছু ড্রেস কিনে দিলাম তারপর গাড়িতে তুলে পাঠিয়ে দিই এবং আমি একটি গাড়িতে করে  আমার বাড়িতে চলে আসি । এর পরে আমরা এভাবে অনেকবারই আবাসিক হোটেলে গিয়ে আমাদের প্রেম ভালোবাসা বিনিময় করি ।


আরো দেখুনঃ অপরিচিত সুন্দরী মেয়ের মন জয় করার সহজ উপায় | যে কাজগুলো করলে সুন্দরী মেয়েরা প্রেমে পাগল হয়

আরো দেখুনঃ যে ৫ টি কাজ করলে প্রেমিকা খুশি হয় ভালোবাসার মানুষ খুশী হয়

আরো দেখুনঃ   সাদিক পারভীন  শাপলা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য | খুলনার  সুন্দরী মেয়ে  | 

Post a Comment

0 Comments