অবিবাহিত ছেলে মেয়েরা আবাসিক হোটেলে গিয়ে যেভাবে রুম ভাড়া করে

 অনেকেই দেখা যায় বিভিন্ন জায়গায় প্রশ্ন করে যে অবিবাহিত ছেলে মেয়েরা কি আবাসিক হোটেলে গিয়ে রুম ভাড়া করতে পারে বা অবিবাহিত ছেলে মেয়েদের কি আবাসিক হোটেলে গেলে একসাথে থাকার জন্য রুম ভাড়া দেয় ।

 যাদের মনে ধরনের প্রশ্ন থাকে বা যারাই বিষয়টি জানতে চান আজকের এই পোস্টটি শুধুমাত্র তাদের জন্যই এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়লে আপনারা জানতে পারবেন একটা ধারণা পাবেন ।যে আসলে কি বাংলাদেশের যে আবাসিক হোটেলগুলোর রয়েছে সেখানে অবিবাহিত ছেলে মেয়েরা কি আবাসিক আবাসিক হোটেলে গিয়ে একসাথে রাত্রি যাপন করতে পারি ।

আবাসিক হোটেল কি :- 

আগে আমাদের জানতে হবে আবাসিক হোটেল কি আবাসিক হোটেলগুলো তৈরি করা হয় যেন মানুষ প্রয়োজনে সেখানে গিয়ে রাত্রি যাপন করতে পারে । অনেক মানুষ বিভিন্ন কাজে বিভিন্ন প্রয়োজনে এক শহর থেকে অন্য শহরে যাওয়ার দরকার হয় তখন সেই মানুষগুলোর রাতে থাকার জায়গা থাকে না তখন সে মানুষগুলো আবাসিক হোটেলে থাকে ।এই  আবাসিক হোটেলগুলো যদি না থাকতো তাহলে কিন্তু মানুষ রাতে থাকার জায়গা পেত না ।আবাসিক হোটেল মূলত মানুষের সেবা করার জন্য তৈরি করা হয় কিন্তু এর মধ্যেও কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে অনেক আবাসিক হোটেল অসাধু আবাসিক হোটেল মালিকরা আবাসিক হোটেলের নামে সেখানে দেহব্যবসা সহ অনেক  খারাপ কাজ করে থাকে ।এই বিষয়গুলো কিন্তু আমরা পেপার পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারি আর যেগুলো ভালোমানের আবাসিক হোটেল সেখানে মানুষ থাকতে পারে নিরাপদে ।

আবাসিক হোটেলে কেন মানুষ রুম ভাড়া  করে :-

** দেখা গেল আমি একজন মানুষ আমার পরিবারের কেউ একজন অসুস্থ হলো আমি তাকে নিয়ে ঢাকা শহরে চলে গেলাম । কিন্তু আমার ঢাকা শহরে পরিচিত কেউ নাই আমার রাতে থাকতে হবে পরদিন আবার ডাক্তার দেখাতে হবে ।তখন আমার সেই রোগীকে নিয়ে আবাসিক হোটেলে গিয়ে রাত কাটাতে হবে ।

**এভাবে অনেক সময় দেখা যায় যারা চাকরির পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ঢাকা শহরে আসে তাদের যদি কারো থাকার জায়গা না থাকে তারা কিন্তু সেখানে গিয়ে আবাসিক হোটেলে রুম ভাড়া করে থাকে ।

আরো দেখুনঃ   সাদিক পারভীন  শাপলা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য | খুলনার  সুন্দরী মেয়ে  | 

** অনেকেরই দেখা যায় যারা সফর  করতে ভালোবাসে বিভিন্ন দর্শনীয় জায়গা দেখতে ভালোবাসে তারা সেখানে বেড়াতে গিয়ে তারা তখন রাতে আবাসিক হোটেলে রাত্রি যাপন করে ।

**আবার অনেকেই দেখা যায় অবিবাহিত ছেলে মেয়েরা আবাসিক হোটেলে গিয়ে রুম ভাড়া করে তারা তাদের মনের ইচ্ছা পূরণ করে ।

**আবার যারা বিবাহিত তারা হানিমুনে কোথাও ঘুরতে গিয়ে আবাসিক হোটেলে রুম ভাড়া করে  থাকে ।

এক কথায় বলতে গেলে যেটা বলা যায় মানুষ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় বিভিন্ন দরকারে আবাসিক হোটেলগুলোতে গিয়ে রুম ভাড়া করে থাকে। আবাসিক হোটেলে কেউ যায় ভালো উদ্দেশ্যে আবার কেউ চায় খারাপ উদ্দেশ্যে ।

অবিবাহিত ছেলে মেয়েদেরকে কি আবাসিক হোটেলে রুম ভাড়া দেয় :- 

আমি যতদূর জানি যে সকল আবাসিক হোটেলে দেহ ব্যবসা হয় ঐ সকল আবাসিক হোটেলে অবিবাহিত ছেলেদের  ও মেয়েদের কে এক সাথে থাকার রুম ভাড়া দেয় । কারণ এই ধরনের হোটেলগুলোতে অনৈতিক কাজ হয় এখানে পতিতা মেয়েদেরকে টাকার বিনিময়ে ভাড়া পাওয়া যায়  কিন্তু যে আবাসিক হোটেলগুলো ভালো মানের যে আবাসিক হোটেলগুলো নিরাপদ সে আবাসিক হোটেলগুলোতে কখনোই অবিবাহিত ছেলে মেয়েদেরকে একসাথে রাত্রি যাপন করার জন্য রুম ভাড়া দেয় না । কারণ আমাদের দেশ আমাদের দেশের আইন এই বিষয়টাকে অবৈধ মনে করে বিয়ের আগে একটা ছেলে এবং একটা মেয়ে এভাবে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করবে এটা আমাদের দেশীয় আইনের পরিপন্থী যার কারণে আপনি এই ধরনের ভালো মানের কোন আবাসিক হোটেলে গিয়ে নিজেদেরকে অবিবাহিত পরিচয় দিলে কখনো একসাথে থাকার জন্য রুম ভাড়া  দেবে না । এখন হয়তো আপনি বলতে পারেন যে না আমি তো দেখি আমার বন্ধু বান্ধবীরা অনেকেই  ভালো মানের আবাসিক হোটেলে গিয়ে রাত্রিযাপন করে একসাথে তারা তো অবিবাহিত ।

আরো দেখুনঃ আবাসিক হোটেলে প্রেম । শাকিব ও পপির আবাসিক হোটেলের প্রেম কাহিনী

হ্যাঁ আপনি যেটা শুনেছেন ঠিকই শুনেছেন বা যেটা দেখেছেন সেটা ঠিক দেখেছেন ।  হা  আমিও এমন দেখেছি অনেকেই ভালো মানের আবাসিক হোটেলগুলোতে ও অবিবাহিত ছেলে মেয়েরা রুম ভাড়া করে একসাথে রাত্রিযাপন করে কিন্তু সেটা তারা বিভিন্ন কৌশল এর মাধ্যমে এই কাজটি করে থাকে । তারা আবাসিক হোটেলে গিয়ে তাদের যখন আবাসিক হোটেলের ম্যানেজার জিজ্ঞেস করে আপনাদের পরিচয় কি তখন তারা নিজেদেরকে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দেয় । এখন অবিবাহিত ছেলে মেয়েরা গিয়ে যদি নিজেদেরকে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে তাদের ভোটার আইডি কার্ড দেখায় সে ক্ষেত্রে হোটেল কর্তৃপক্ষ কি বা করতে পারে তখন তারা তাদের কথা বিশ্বাস করেই  তাদেরকে রুম ভাড়া দেয় । আপনাদের কাছে ভোটার আইডি কার্ড থাকা মানে আপনাদের দু'জনার বয়স কিন্তু ১৮ বছরের উপরে আপনারা সাবালক যার কারণে হোটেল কর্তৃপক্ষ আপনাদের ভোটার আইডি কার্ড দেখে আপনাদের কথা বিশ্বাস করি কিন্তু আপনাদের কে হোটেল রুম ভাড়া দেয় ।

বেশ কিছুদিন আগে একটা পেপারে নিউজ দেখেছিলাম যে সেখানে লেখা ছিল একটা ছেলে একটা মেয়ে তারা প্রেম করে তাদের বাড়ি আলাদা শহরে তো তারা রুম ডেট করার জন্য শহরে এসে একটা আবাসিক হোটেল থেকে নিজেদেরকে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে একটা রুম বুক করে । হোটেল ম্যানেজার তাদের বিয়ের কাবিননামা চাইলে তারা বলে যে আমরা অফিসের কাজে শহরে এসেছি তাই সাথে  কাবিননামা আমরা আনিনি।  তারা তো মূলত এসেছিল এখানে রুম ডেট করার জন্য তাদের খারাপ উদ্দেশ্য ছিল । যাই হোক হোটেল ম্যানেজার তাদেরকে বিশ্বাস করে তাদের আইডি কার্ড দেখে তাদের রুম ভাড়া  দেয় ।

 তারা রুমে গিয়ে তাদের যে  উদ্দেশ্য ছিল সেই কাজ করা শুরু করে ।তাদের এই সময়কে বেশি ইনজয় করার জন্য ছেলেটি উত্তেজক ওষুধ সেবন করে এবং তারা শারীরিক সম্পর্ক শুরু করে কিন্তু ছেলেটি উত্তেজক ওষুধ খাওয়ার কারণে মেয়েটির রক্তক্ষরণ হওয়া শুরু হয় এবং ছেলেটি বিষয়টা বুঝতে পারেনি যে এটা কারণে মেয়েটি মারা যাবে বেশি রক্তক্ষরণ হওয়ার কারণে মেয়েটি এক সময় মারা যায় । তারপর ছেলেটি ভয় পেয়ে মেয়েটিকে রুম এ রেখেই  আবাসিক হোটেলে রুমে তালা মেরে ছেলেটি পালিয়ে যায় । পরে যখন হোটেল রুম সার্ভিস হোম সার্ভিস করার জন্য যাই গিয়ে দেখে  রুম তালা বদ্ধ । দীর্ঘ চার ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরেও যখন ওই  রুমে কেউ আসেনা তখন হোটেল ম্যানেজার বাধ্য হয়ে রুমের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে তারপর তারা সেখানে ওই মেয়েটি রক্তাক্ত অবস্থায় লাশ দেখতে পায় ।তারা পুলিশকে খবর দেয় পুলিশ এসে মেয়েটির লাশ নিয়ে যায় । পরে পুলিশ অনুসন্ধান করে জানতে পারে যে তারা অবিবাহিত তারা বিবাহিত ছিল না তারা প্রেমিক-প্রেমিকা শহরে এসেছিল রুম ডেট করার জন্য ।ওই  ছেলেটি ১০দিন পরে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় গ্রেফতার হওয়ার পর এই কথাগুলো ছেলেটি পুলিশের কাছে স্বীকার করে ।

***অনেক ভালো মানের আবাসিক হোটেলগুলোতে সাইনবোর্ডে লেখা থাকে যে মিথ্যা কথা বলে কেউ রুম ভাড়া করবেন না । কারন আপনাদের তথ্যগুলো আমরা থানায় পাঠিয়ে দিই পুলিশে সেই তথ্যগুলো প্রতিদিন চেক করে দেখেন । এখন পুলিশের যদি সন্দেহ হয় তাহলে কিন্তু পুলিশ এসে আপনাদেরকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে চলে যাবে তাই কেউ মিথ্যা তথ্য দিয়ে রুম ভাড়া করবেন না ***

এখন যদি কোন অবিবাহিত ছেলে মেয়েরা আবাসিক হোটেলে গিয়ে নিজেদেরকে স্বামী-স্ত্রী মিথ্যা পরিচয় দিয়ে হোটেল রুম ভাড়া করে এক্ষেত্রে কিন্তু হোটেল কর্তৃপক্ষ তেমন কোনো ঝামেলা হবে না কিন্তু যদি বিষয়টা অন্য মানুষের জেনে যায় যে আপনারা আসলেই স্বামী-স্ত্রী না তখন কিন্তু আপনারাই সমস্যা করতে পারেন ।

আবাসিক হোটেলে অবিবাহিত ছেলে মেয়েদের কি ধরনের সমস্যা হতে পারে :-

অনেক সময় আবাসিক হোটেলে পুলিশের রেট হয় সেক্ষেত্রে আপনাদের রুমে যখন পুলিশ চেক  করতে আসবে । তখন আপনারা যদি অরজিনাল  স্বামী-স্ত্রী না হয়ে থাকেন যদি  অবিবাহিত হয়ে থাকেন তাহলে হয়তো পুলিশ আপনাদের কাছে বিবাহের কাগজপত্র পাইতে পারে । তখন আপনারা হয়ত বলে দিলেন যে আমাদের কাগজপত্র আমাদের বাড়িতে আছে বিয়ের  কাগজ পত্র কি  সব সময় সাথে করে নিয়ে ঘোরা যাই । তখন পুলিশ বলবে ঠিক আছে তাহলে আপনাদের বাবা মায়ের নাম্বার দেন আমি কথা বলে দেখি যে সত্যিই কি আপনারা বিবাহিত কিনা । এখন আপনারা কি বলবেন কারন আপনার বাবা-মা তো আর জানে না যে আপনি একটা মেয়েকে নিয়ে আবাসিক হোটেলে রাত্রি যাপন করছেন । তখন  পুলিশকে কি বলবে আপনি  তখন বাধ্য হয়ে যখন বাবার নাম্বার দিবেন তখন পুলিশ আপনাদের পরিবারের কাছে কল দিয়ে জানতে চাইবে যে  আপনাদের ছেলে কি বিবাহিত । তখন আপনার বাবা  বলবে  না আমার ছেলে তো  বিবাহিত না । তখনই কিন্তু আপনারা ফেঁসে যাবেন আপনাদের ধরে পুলিশে নিয়ে যাবে । আবার পুলিশ যখন আপনার কাছে পরিবারের নাম্বার চাইবে কিন্তু  আপনি পরিবারের  দিবেন না তখন পালিশ বুঝা যাবে যে আপনারা মিথ্যা পরিচয় দিয়ে এখানে রুম ভাড়া করে রাত্রি যাপন করছেন আপনারা আসলেই স্বামী-স্ত্রী না ।

আরো দেখুনঃ পাট ক্ষেতে প্রেম । ইমরান ও মাহির গ্রামের পাট ক্ষেতে প্রেম কাহিনীর 

এই ধরনের বিষয়গুলো ঘটে । তবে এটা সবার বেলায় ঘটে না   অনেকেই দেখা যায় দিনের পর দিন অবিবাহিত ছেলে মেয়েরা আবাসিক হোটেলে গিয়ে রাত্রি যাপন করছে রুমডেট করছে । মাসে হয়তো ২-১ দিন অনাকাঙ্খিত  পুলিশ  রেট এর  মতো  ঘটনা ঘটে যায় । তখন কিন্তু আমরা পেপার পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারি যে আজকে ঢাকা শহরের আবাসিক হোটেলে ১০ জন প্রেমিক-প্রেমিকা আটক হয়েছে । আজকে রাজশাহী শহরের আবাসিক হোটেল থেকে ৬ জন অবিবাহিত ছেলে মেয়ে  আটক হয়েছে । আজকে গাজীপুর শহরের আবাসিক হোটেল থেকে ১০জন ছেলেমেয়েকে আপত্তিকর কাজ করার জন্য আটক করা হয়েছে এ ধরনের ঘটনাগুলো কিন্তু আমরা দেখতে পাই ।

এরা কিন্তু সবাই নিজেদেরকে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়েই আবাসিক হোটেলের রুম ভাড়া করেছিল কিন্তু যখন পুলিশের রেট পড়ে তখন পুলিশের কাছে তো আর মিথ্যা কথা বলে পার পাওয়া যায় না তখন তারা ধরা পড়ে তখন তারা নিজেদেরকে প্রেমিক প্রেমিকা বা অবিবাহিত হিসেবে স্বীকার করে নেয় ।