Header Ads Widget

শাশুড়ির সাথে জামাইয়ের প্রেম | শাশুড়িকে পালিয়ে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করলো জামাই | কেয়ামতের আলামত


শিরোনাম দেখে কি আপনি অবাক হচ্ছেন না | একদমই না কারণ এটি একটি বাস্তব ঘটনা যা আপনাদের সাথে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিস্তারিত আলোচনা করা হবে : 

 ছেলেটির নাম মতিন ।মতিন তার এলাকার স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় দাখিল পর্যন্ত পড়াশোনা করে । মতিন (১৬)যখন ক্লাস ৯এ পড়ে  তখন তাদের পাশের গ্রামের একটি মেয়ে যার নাম ছিল সাবিনা (১৪) একই মাদ্রাসায় ক্লাস এইট এ পড়তো ।তাদের মাঝে   একটি গভীর প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়, কিন্তু তাদের এই গভীর প্রেম ছয় মাস যাওয়ার পরে সাবিনার পরিবার অন্য একটি ছেলের সাথে সাবিনার বিয়ে দেয় । কারণ সাবিনা যেই সাথে প্রেম করে অথাৎ মতিন যার বয়স কম বেকার এই প্রেম পরিবারের  কেউ কখনো মেনে নেবে না । তাই সাবিনা কে  সাবিনার পরিবার অন্য একটি প্রতিষ্ঠিত ছেলে মজিদ যার বয়স (৩৪) তার সাথে বিয়ে দেয় ।এদিকে মতিন প্রেমে ব্যর্থ হয়ে মনে খুব কষ্ট পায় এবং কোনরকম এসএসসি পরীক্ষা টা দিয়ে মতিন (১৮)প্রবাসে চলে যায় | মতিন ১৮ বছর বয়সেই মালয়েশিয়া চলে যায় ।



 মতিন সেখানে দীর্ঘ ১৪  বছর কঠোর পরিশ্রম করার মাধ্যমে অনেক টাকা পয়সা ইনকাম করে । মতিনের দীর্ঘ ১৪ বছরে একবারও বাংলাদেশে আসে নাই । দীর্ঘ ১৪ বছর পর অনেক টাকা পয়সা মালিক হওয়ার পর এ মতিন বাংলাদেশে আসার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে । মতিন  যখন দেশে আসে তখন মতিনের পরিবার মতিনকে বিয়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন এলাকায় পাত্র পাত্রী দেখা শুরু করে অনেক ঘটকের মাধ্যমে । এভাবে দেখতে দেখতে মতিনের বাড়ি থাকে  ৫ কিলোমিটার  দূরে একটি গ্রামে একটি সুন্দরী মেয়ে সানজিদা বয়স (১৪) সন্ধান পাওয়া যায় । মতিনের পরিবারসহ সে মেয়েকে দেখার জন্য মেয়ের  বাড়িতে যায় তারা।



পাত্রীকে দেখে মতিনের  পছন্দ হয় । মতিন  প্রবাসী তাই মতিনের ৩২ বছর বয়সটা তাদের কাছে কোন বিষয় হল না ।তারা এই বিয়েতে রাজি হল ,কিন্তু এখানে একটা ঘটনা ঘটে গেল মতিন অবাক হয়ে গেল একটি বিষয় থেকে কারণ মতিন যে মেয়েকে বিয়ে করার জন্য পাত্রী হিসেবে পছন্দ করেছেন সেই মেয়েটির মা মতিনের ক্লাস এইট এর প্রেমিকা সাবিনা ।


এই বিষয়টি মতিন  এবং সাবিনা তারা নিজেদের মধ্যে গোপন রাখল এই কথাটা তারা কারো কাছে শেয়ার করলো না ।একমাস পরে মতিন (৩২) এবং সানজিদার (১৪)বিয়ে হল বিরাট অনুষ্ঠান করে অনেক লোককে দাওয়াত করে অনেক ধুমধাম করে । মতিন এবং সানজিদার বিবাহ হওয়ার পরে ছয় মাস তাদের বিবাহিত জীবন ভালই চলতেছিল কারণ মতিনের অনেক টাকা-পয়সা ছিল যার কারণে তাদের সংসারে কোন অভাব ছিল না তাদের সংসার ভালোবাসায় পূর্ণ ছিল ।


এদিকে মতিনের শাশুড়ি সাবিনা তার বয়স এখন ৩১ বছর এবং মতিনের শশুর মজিদ যার বয়স এখন প্রায় ৪৮ বছর ।সাবিনা এবং মসজিদের মধ্যে তাদের বৈবাহিক শারীরিক সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না কারণ মসজিদ বুড়ো হয়ে গেছে আর সাবিনা এখনো যুবতী একটি মহিলা ।


মতিন যখন  শ্বশুরবাড়িতে যেত তখন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সাবিনার  সাথে মতিনের চোখাচোখি হতে  এবং তখন তাদের সেই ১৪ বছর আগের অতীতের গভীর প্রেমের কথা তাদের মনে পড়ে যেত । এভাবে আস্তে আস্তে  ১-২ মাসের  মধ্যে মতিন ও সাবিনা তারা আবারো আগের মত ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করল তারা যে জামাই এবং শাশুড়ি এ বিষয়টি তারা মনে হয় ভুলেই গেল । মতিন এখন সুযোগ পেলেই তার শ্বাশুড়ীর বাড়ীতে চলে আসে বেড়াতে অনেক সময় তাঁর বউ সানজিদাকে  সাথে নিয়ে আসে না একা একাই তার শ্বশুরবাড়িতে চলে আসে ।মতিনকে এভাবে আবারো ফিরে পেয়ে সাবিনা  নতুন জীবন ফিরে পেল,যে সাবিনা  আগে মনমরা হয়ে থাকত সেখানে এখন অনেক হাসিখুশি থাকে ।এই বিষয়টা নিয়ে বুড়া শশুর মজিদের মনে  একটা সন্দেহ সৃষ্টি হয় কিন্তু মজিদ  কি করবে কিছুই বুঝতে পারে না ।


এখন মতিন এবং সানজিদার  বিয়ের এক বছর পার হয়ে গেল । ৬  মাসে মতিন এবং সাবিনা  তারা অনেক ঘনিষ্ঠ এবং গভীর প্রেমে জড়িয়ে পড়ে তারা যেমনটা ক্লাস এইটে পড়ার সময় প্রেম করতো ঠিক সেরকম ভাবেই ।


একদিন শশুর অনেক দূরে হাটে  গেছে বাজার করতে ।এদিকে মোবাইলে সাবিনা মতিনকে ডেকে আনে বাড়িতে ।সাবিনার ফোন পেয়ে  মতিন  খুশিতে আত্মহারা হয়ে শাশুড়ি বাড়িতে চলে আসে তখন বাড়িতে কেউ ছিল না । শ্বশুর মজিদ  ২০ কিলোমিটার দূরে হাটে  গেছে বাড়িতে আসতে অনেক সময় লাগবে ।এই সুযোগটা কাজে লাগানো তারা শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হল । কিন্তু শশুর মজিদ কোন একটি কারণে সেদিন ঘাটে যায়নি বাড়িতেই ফিরে আসে কিন্তু বাড়িতে ফিরে এসে যা  দেখল তাতে  শশুর মজিদ অবাক হয়ে গেল এবং নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারলো না যে সে এটা কি দেখলাম এটা কিভাবে সম্ভব মেয়ের জামাই শাশুড়ির সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেছে ।এই বিষয়টা কি কাউকে কখনো বলা যাবে বা জানানো যাবে মজিদ মাটিতে বসে পরলো এবং অনেক কান্না করলো কারণ এই বিষয়টাকে কখনোই শেয়ার করা যাবেনা তাহলে তার নিজের মান-সম্মান চলে যাবে এবং তার মেয়েরও সংসারে অশান্তির সৃষ্টি হবে মান-সম্মান চলে যাবে তাই মসজিদের ঘটনা দেখে নিজে নিজেই চুপ হয়ে গেল ।


মতিন এবং সাবিনা  সম্পর্ক এত  দূর গড়িয়েছে এটা সানজিদা কখনো ভাবতেই পারেনি কারণ সাবিনা তার   নিজের মা আর নিজের মা এমন কাজ করবে সানজিদা  কখনো ভাবতেই পারেনি ।এই বিষয় নিয়ে কখনো সানজিদার  সন্দেহের চোখে দেখেনি ।কিন্তু সানজিদার একদিন অবাক হয়ে গেল সানজিদা কিছু বাজার করার জন্য স্থানীয় বাজারে গিয়েছিল এই সুযোগে মতিন এবং সাবিনা  সানজিদার বেডরূমে  শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয় । সানজিদা বাজার  থেকে খুব তাড়াতাড়ি বাড়িতে চলে আসে এসে যা দেখল তা দেখে সানজিদা হতবাক হয়ে গেল কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলল ।সানজিদা তার নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারল না যে তার নিজের মা হয়ে  তার মা কিভাবে কাজটা করতে পারল শাশুড়ি হয়ে মেয়ের জামাইয়ের সাথে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে পারল |


সানজিদা যে বাসায় এসে গেছে এবং সানজিদা যে তাদের এসব অবৈধ নোংরা কাজ দেখতে পেয়ে গেছে সব বিষয়টি মতিন ও সাবিনা  বুঝতে পারল । তারা দুজনেই সানজিদার কাছে ক্ষমা চাইলো বলল আমরা ভুল করে ফেলেছি তাদের ১৪ বছর আগে অতীতের প্রেম কাহানি তখন তারা দুজনেই সানজিদার   কাছে সব খুলে বলল যার কারণে ১৪ বছর পরেও আমরা একে অপরকে ভুলতে  পারেনি আমরা আবারও গভীর প্রেমে হারিয়ে গেছি ।


তাদের এসব নোংরা দেখে  সানজিদা চুপ থাকতে পারলো না তার বাবাকে কল করে সবকিছু বলল তার বাবা মজিদ বিষয়টা তো আগে থেকেই জানে কিন্তু মান-সম্মানের ভয়ে  এটা কারো কাছে শেয়ার করেন নি ।এই বিষয়টা নিয়ে তাদের মাঝে ঝামেলা শুরু হলো সানজিদা আর মতিনকে স্বামী হিসেবে মানতে পারছে না । কারণ যে লোকটার  চরিত্র এত খারাপ যে নিজের শ্বাশুড়ীর সাথে এ ধরনের কাজ করতে পারে সে কখনো ভালো মানুষ হতে পারে না । সানজিদা এ বিষয়টা নিয়ে রাগারাগি করে তার বাবার বাড়িতে চলে গেল । 


মতিন এবং সাবিনা তারা বিষয়টা দেখলা যে বিষয়টা খুব সিরিয়াস হয়ে গেছে হয়তো অনেক কিছুই ঘটতে পারে । মতিন সাবিনা কে বললো আমার তো অনেক টাকা পয়সা আছে আর তোমার মেয়ের সানজিদা তো মনে হয় না আমার সাথে সংসার করবে তাহলে চলো আমরা দূরে কোথাও পালিয়ে চলে যাই আমরা আবার নতুন করে সংসার তৈরি করব । মতিনের এমন প্রস্তাবে রাজি হয়ে গেল সাবিনা তারা পালিয়ে  শহরে চলে ।গিয়ে নতুন করে বিয়ে করে তারা সেখানে সংসার শুরু করলো ।মতিন ও সাবিনা  যখন পালিয়ে চলে গেল তখন বিষয়টা এলাকায় জানাজানি হল কারণ এতদিন বিষয়টা গোপন থাকলেও এখন তো আর গোপন রাখা সম্ভব না বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পরলো ।



আরো পড়ুন :-ঈদের দিনে পাট ক্ষেতের ভিতরে প্রেমিক প্রেমিকা ! পরে গ্রামবাসীর হাতে আটক 

 তখন কি করবে সানজিদা  সে তার বাবাকে বললো মতিনকে একটু শিক্ষা দিতে হবে তখন তারা থানায় গিয়ে     মতিন ও সাবিনার  নামে মামলা করে । কিন্তু মতিন ও সাবিনা এখন কোথায় আছে সঠিক লোকেশন কেউ জানে না ।এই ঘটনার দেড় বছর পরে মজিদ মনের দুঃখ কষ্ট আর সইতে না পেরে একটা সময় মারা যায় ।বাবার মৃত্যুর পরে সানজিদা  আরো একা হয়ে যায় তার বেঁচে থাকা যেন নরকের মত হয়ে যায় ।সানজিদা নিজেআত্মহত্যা করে নিজের জীবন বিসর্জন দেয় । 


এটা কোন কাল্পনিক গল্প কাহিনী নয় এটা একটি বাস্তব ঘটনা এই ধরনের কাজ যে সব মানুষেরা করতে পারে আসলে তারা মানুষ না তারা পশু ।এই কাজগুলো আমাদের সমাজে আমাদের দেশে অনেক জায়গায় ঘটছে এ ধরনের ঘটনাগুলো বেশি ভাগ গোপন থেকে যায় যার কারণে আমরা সবাই জানতে পারি না কিন্তু এই ঘটনাটি যখন প্রকাশে আসলো তখন আমরা সবাই জানতে পারলাম । আমরা মানুষ যখন ইসলামের বিধান থেকে বের হয়ে এসে বাস্তব দুনিয়ার মোহে পড়ে যায় তখন কিন্তু আমরা মানুষ এই ধরনের অসামাজিক এবং নোংরামী কাজ করতেও দ্বিধা করি না ।আমাদের সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত এ বিষয়টা আমরা ভুলে যাই ।

এই ঘটনা গুলো দেখলেই বোঝা  করা যায় যে আসলে কিয়ামত আমাদের খুব নিকটে কারণ আমরা এমন এমন ঘটনা গুলো দেখছি এই জামানায় যা কখনো ভাবা যায়নি ।হয়তো আমার আরো সামনে এর চেয়েও আরো ভয়াবহ কিছু বিষয় দেখতে পাব ।এখন হয়তো আমরা  সেটা কল্পনাতেই ভাবতে পারছিনা ।


আল্লাহ তা'আলা আমাদের সবাইকে বোঝার তৌফিক দান করুন এবং এই ধরনের অসামাজিক এবং নোংরামি কাজ আমরা যেন ভবিষ্যতে কেউ না করি সেই তৌফিক দান করুক আমিন ।


আরো পড়ুন :-  রাজশাহীতে ৬ মাসের প্রেমের সম্পকে  একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক, অবশেষে জনগণের হাতে ধরা ,তার  পরে বিয়ে 

Post a Comment

0 Comments