Header Ads Widget

রাজশাহীতে ৬ মাসের প্রেমের সম্পকে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক, অবশেষে জনগণের হাতে ধরা ,তার পরে বিয়ে

 

রাজশাহীতে ৬ মাসের প্রেমের সম্পকে  একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক, অবশেষে জনগণের হাতে ধরা ,তার  পরে বিয়ে

আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস করছি সেই সুবাদে আমাদের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন হয়েছে পাশাপাশি আমরা আরও বিভিন্ন ধরনের দিক থেকে এগিয়ে গিয়েছি । আমরা প্রযুক্তির ব্যবহার করছি এই প্রযুক্তির ভালো দিক রয়েছে তেমনি খারাপ দিকও রয়েছে যে ভাল কাজে ব্যবহার করছে সে জীবনে সফল হচ্ছে আবার যে অসৎ কাজে ব্যবহার করছে তারা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে । এইসব ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে বর্তমান সময়ের ছেলেমেয়েরা অল্প বয়সে অনেক কিছু জানতে পারছে ,অনেক কিছু বুঝতে পারছে এবং তাঁরা অল্প বয়সে অনেক কাণ্ডকারখানা গুটিয়ে ফেলছে আজকে আমরা তেমনি একটি বিষয় নিয়ে জানব । আজকের শিরোনাম এর টাইটেল দেখে অনেকে বুঝতে পারছেন আজকে কি বিষয়ে আলোচনা হতে চলেছে । ছয় মাসের প্রেমের সম্পর্কে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক তৈরি এবং পরিশেষে জনগণের হাতে ধরা পড়ে বিয়ে করতে হলো সেই প্রেমিক জুটিকে ।



 এমনই একটি রোমান্টিক ঘটনা ঘটেছে রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলায়, সবেমাত্র সেই প্রেমিক জুটি স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে কলেজ জীবনে প্রবেশ করে ।দুজনের বাড়ি আলাদা আলাদা জায়গায় হলেও কলেজে ভর্তির সুবাদে তাদের প্রথম পরিচয় হয় এরপর আস্তে আস্তে কথাবাত্রা বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা এভাবেই তাদের সম্পর্কে গভীরতা লাভ করে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় । তাদের সম্পর্কের বয়স মাত্র ছয় মাস কিন্তু এই ছয় মাসের ভেতরে তারা অনেক গভীরে চলে গেছে এই ছয় মাসের ভিতরে তারা একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছে ।


তাদের বয়স কিন্তু অনেক কম মাত্র তারা কলেজে পড়েন বয়স কতোই বা হবে এই ধরেন 16 বছর কিন্তু দেখেন তারা কত দূর এগিয়ে গেছে ।

তাদের মাঝে ছয় মাস ধরে যে একটি গভীর রোমান্টিক প্রেম চলছে এবং অবৈধভাবে শারীরিক সম্পর্ক চলছে এই বিষয়টা ছেলে এবং মেয়ের পরিবার কেউ বিষয়টা জানে না । এ বিষয়টা জানে শুধুমাত্র ছেলেটার নানি কারণ ওই ছেলেটা তার নানীর বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করত এবং তাদের মাঝে যে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে কয়েকবার এই শারীরিক সম্পর্ক গুলো ওই নানির বাড়িতেই হতো  এই কারণে ছেলেটার নানী  তাদের মাঝে সম্পর্কের বিষয়টি জানতেন ।


 যথারীতি তাদের প্রেম-ভালোবাসা চলছিল এবং নিয়মিত তাদের মাসে স্বামী-স্ত্রীর মতো শারীরিক সম্পর্ক চলে আসছিল । এরই ধারাবাহিকতায় গত শনিবার কলেজে যাওয়ার নাম করে ওই প্রেমিকা ছাত্রী তার বাসা থেকে বের হয় এবং কলেজের না গিয়েই সরাসরি  প্রেমিক ওই ছেলেটার সাথে তার নানীর বাড়িতে চলে যায় শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করার জন্য । এই বিষয়টা তাদের কলেজের বন্ধুরা বুঝতে পারে এবং জানতে পারে যে তারা কলেজ ফাঁকি দিয়ে প্রেম করছে এবং তারা অবৈধভাবে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করছে । তো বন্ধুরা ওই ছেলেটার নানীর বাড়িতে আসে দেখার জন্য আসলে ঘটনা সত্যি কিনা এবং তারা সেখানে গিয়ে  বুঝতে পারে যে আসলেই ঘটনা সত্যিই তারা সেখানে শারীরিক সম্পর্ক করছিল। তাদের এমন আনাগোনা এবং কথাবার্তা দেখে এলাকার সাধারন মানুষরা বুঝতে পারে এবং তারা ওই বাড়িতে আসে এবং এসে ওই ছেলে এবং মেয়ে কে অসামাজিক কার্যক্রম করা অবস্থায় ঘরের ভিতরে দেখতে পাই পরবর্তীতে তাদেরকে ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখা হয় ।


 মেয়েটির সাথে কথা বলে জানা যায় ,মেয়েটি  বলে যে তাদের এই সম্পর্কের বয়স মাত্র 6 মাস কিন্তু এই ৬  মাসে তাদের সম্পর্ক অনেক গভীরে চলে গেছে তারা অনেক কয়বার এই বাড়িতে এসেই অবৈধভাবে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছে । এমন ঘটনা যখন এলাকায় ঘটে বিষয়গুলো আরো মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান এর মাধ্যমে এবং পুলিশ প্রশাসনের মাধ্যমে দুই লাখ টাকা দেনমোহর এর মাধ্যমে ওই ছেলেকে এবং মেয়েকে বিয়ে পড়িয়ে দেয় এলাকাবাসী ।


যাই হোক এ ধরনের ঘটনা নতুন কোন বিষয় নয় এ ধরনের ঘটনা আমাদের শহর জীবনে আমাদের গ্রাম জীবনে বিভিন্ন জায়গায় ঘটে থাকে । কিছু কিছু ঘটনা যখন প্রকাশিত হয় তাহলে আমরা জানতে পারি এমন অনেক হাজারো ঘটনা গোপনে থেকে যায় আমরা জানতে পারি না আমরা বুঝতেই পারিনা আমাদের চোখের আড়ালে এধরনের ঘটনা অবৈধ শারীরিক সম্পর্কের ঘটনা  ঘটছে অনেক ।


এই কাজগুলো  আমাদের ইসলাম ধর্মে নাজায়েজ আমরা যে সমাজে বসবাস করি যে রাষ্ট্রে বসবাসকারী সেখানেও কিন্তু এ কাজগুলোকে সামাজিক ভাবে গ্রহন করা হয়না । মানুষ এ কাজগুলোকে খারাপ হিসেবেই দেখেন কিন্তু তারপরেও আমাদের সমাজে এই কাজগুলো ঘটে । হয়তো এর সঠিক ব্যবস্থা করা হয় না সঠিক বিচার করা হয় না যার ফলে এই ধরনের ঘটনা আমরা মাঝেমধ্যেই দেখতে পায় সবাই জানতে পারি ।


যাই হোক আপনাদের সাথে অনেক কথাই বললাম আল্লাহ তা'আলা আমাদের সবাইকে বোঝার তৌফিক দান করুন আমরা যেন এই ধরনের অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক যাবতীয় ইসলাম বহির্ভূত হারাম সম্পর্ক গুলো থেকে মুক্ত থাকতে পারে এবং ইসলামিক ভাবে আমরা সবাই যেন জীবন-যাপন করতে পারি এটাই আমাদের প্রত্যাশা সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ।

Post a Comment

0 Comments