Header Ads Widget

TMSS এনজিও চাকরির ভাইভা প্রস্তুতি | TMSS এনজিও তে চাকরির ভাইভা পরীক্ষায় যে ধরনের প্রশ্ন করা হয় | TMSS NGO Job Viva Exam Preparation

TMSS এনজিও চাকরির ভাইভা প্রস্তুতি |  TMSS এনজিও তে  চাকরির ভাইভা পরীক্ষায় যে  ধরনের প্রশ্ন করা হয় |




 টি এম এস এস বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য বেসরকারি এনজিও প্রতিষ্ঠান । এই এনজিও প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের ৬৪ টি জেলা এবং বিভিন্ন উপজেলা পর্যায়ে সহ গ্রাম এলাকার সর্বস্তরে প্রতিষ্ঠানটি ছড়িয়ে রয়েছে । এই প্রতিষ্ঠান মূলত বাংলাদেশের দরিদ্র অসহায় মানুষদের নিয়ে কাজ করে থাকে । এই প্রতিষ্ঠানে আমাদের দেশের অনেক ভাই ও বোনেরা চাকরি করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করছে ।



 এই প্রতিষ্ঠান তাদের কার্যক্রমকে আরো বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে তারা বছরের বিভিন্ন সময়ে নতুন কর্মচারী নেওয়ার জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রদান করে থাকে । এ প্রতিষ্ঠানে যদি আপনি চাকরি করতে আগ্রহি  হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই লিখিত পরীক্ষা এবং ভাইবা পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে হবে । লিখিত এবং ভাইভা পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে পারলে  আপনি এই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার জন্য যোগ্য হবেন । 



যারা পড়াশোনা শেষ করেছেন সরকারি চাকরির পরীক্ষা দিচ্ছেন কিন্তু সরকারি চাকরি কপালে জুটছে না ।  তাই  এনজিও প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার জন্য আগ্রহী কিন্তু অনেকের মনের প্রশ্ন থাকে যে আমি তো কখনো এনজিও তে ভাইভা পরীক্ষা দেইনি ।  সে ক্ষেত্রে টিএমএসএস এনজিও প্রতিষ্ঠানে ভাইভা পরীক্ষায় কি ধরনের প্রশ্ন করা হয়ে থাকে অনেকেই জানতে চান । আজকের এই পোস্টের  মাধ্যমে আমরা আপনাদের সাথে টি এম এস এস এনজিও প্রতিষ্ঠানের একটি  রিয়াল ভাইভা তুলে ধরার চেষ্টা করব । 



আপনি যদি এই ভাইভা টি শেষ পর্যন্ত দেখেন আশা করি আপনিও টিএমএসএস এর প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষা সম্পর্কে একটা ধারণা পেয়ে যাবেন এবং এখান থেকে অনেক কিছু শিখতে পারবেন অনেক কিছু জানতে পারবেন এবং এই ভাইভা  অভিজ্ঞতা বাস্তব জীবনে কাজে লাগিয়ে আপনিও টিএমএস এনজিও সহ বিভিন্ন এনজিও পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারবেন ।


টি এম এস এস এনজিও চাকরির ভাইবা প্রস্তুতি ,টিএমএসএস এনজিও  তে ভাইভা পরীক্ষায় যে ধরনের প্রশ্ন করা হয়ে থাকে :-


চাকরিপ্রার্থী : আসসালামু আলাইকুম স্যার ,আমি কি ভিতরে আসতে পারি ?

ভাইভা বোর্ড :ওয়ালাইকুম আসসালাম, জ্বি ভেতরে আসেন বসেন ।


ভাইভা বোর্ড : আপনার নাম কি ?

চাকরিপ্রার্থী :  জাহিদুল ইসলাম মিঠু ।


ভাইভা বোর্ড : আপনার পরিবারে কে কে আছেন ?

চাকরিপ্রার্থী :  আমার পরিবারের মোট ৭ জন  সদস্য । আমার বাবা, আমার মা, আমার বড় ভাই, ভাবী, এবং আমার ছোট বোন এবং আমার দাদী ।


ভাইভা বোর্ড : আপনার সার্টিফিকেট দেখে যা বুঝলাম আপনার প্রত্যেকটা পরীক্ষার রেজাল্ট অনেক ভালো ।তো আপনি সরকারি চাকরিতে ট্রাই না করে আপনি এনজিও চাকরিতে কেন আসলেন ?

চাকরিপ্রার্থী : স্যার আমি পড়াশোনা শেষ করার পর কয়েকটা সরকারি চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলাম কিন্তু বর্তমান দেশের যে পরিস্থিতি এবং আমাদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা এ দুটো বিষয় বিবেচনা করে আমার মনে হয়েছে যে সরকারি চাকরির পেছনে না ঘুরে বেসরকারি একটা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা টা সবচেয়ে উত্তম হবে । যার কারণে অনেক চিন্তা-ভাবনা করে এই এনজিও প্রতিষ্ঠান এ আবেদন করি এবং আজকে অনেক স্বপ্ন নিয়ে ভাইভা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছি । 





ভাইভা বোর্ড : বাংলাদেশের তো অনেক এনজিও প্রতিষ্ঠান রয়েছে এদের মধ্য থেকে আপনি কেন আমাদের টিএমএসএস এনজিও প্রতিষ্ঠানকে বেছে নিলেন এবং এখানে চাকরি করবেন বলে আবেদন করেছেন ?

চাকরিপ্রার্থী :  আমি যতদূর জানি টি এম এস এস বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠান । এই প্রতিষ্ঠানের অনেক স্বনাম রয়েছে । যার কারণে আমার মনে হয়েছে এই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলে নিজেকে ভালো একটা অবস্থানে নিয়ে যাওয়া সম্ভব যার  কারণ  এ আমি এই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার জন্য আগ্রহী হয়েছি ।


ভাইভা বোর্ড :  আমাদের এই এনজিও প্রতিষ্ঠান এ আপনার পরিচিত কোন আত্মীয়-স্বজন চাকরি করে ?

চাকরিপ্রার্থী :  জি স্যার আপনাদের এই এনজিও প্রতিষ্ঠান এ আমার দুর সম্পর্কের খালাতো ভাই চাকরি করে ।


ভাইভা বোর্ড :  আপনি যে পোস্ট এর জন্য আবেদন করেছেন আপনি কি জানেন এই পোষ্টের জন্য আপনার কি ধরনের দায়িত্ব পালন করতে হবে এবং কি ধরনের কাজ করতে হবে ?

চাকরিপ্রার্থী :জি স্যার আমি যে পোষ্টের জন্য আবেদন করেছি আমি বিভিন্ন ধরনের মাধ্যম ব্যবহার করে জানার চেষ্টা করেছি যে এই পোস্টের  জন্য কি ধরনের দায়িত্ব পালন করতে হয় এবং কি ধরনের কাজ করতে হয় ।






ভাইভা বোর্ড : টিএমএসএস এনজিও প্রতিষ্ঠান এর প্রতিষ্ঠাতার নাম কি ?

চাকরিপ্রার্থী : প্রফেসর ডঃ হোসনে আরা বেগম ,বগুড়ায় টিএমএসএস এনজিও প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন ।


ভাইভা বোর্ড :  টি এম এস এস এনজিও কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ?

চাকরিপ্রার্থী  :১৯৮০সালে টিএমএসএস এনজিও প্রতিষ্টান বাংলাদেশের বগুড়ায় প্রতিষ্ঠা করা হয় ।


ভাইভা বোর্ড :  একটা অচেনা মানুষকে ঋণ দেওয়ার আগে আপনি সেই  মানুষটা সম্পর্কে কিভাবে যাচাই বাছাই করবেন যে এই মানুষটাকে ঋণ দিলে ঋণ পরিশোধ করার ক্ষমতা আছে কি না ?

চাকরিপ্রার্থী  :একটা অচেনা মানুষ আমার কাছে এসে ঋণ চাইলে আমি সর্বপ্রথম সেই মানুষটা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করবো । সেই মানুষটা কোন পেশার সাথে জড়িত এবং তার অতীত অন্য কোন এনজিও প্রতিষ্ঠান এর ঋণ বিষয়ে কোনো ঝামেলা আছে কিনা এবং সে মানুষটা ঋণ পরিশোধ করার ক্ষমতা আছে কি না ।এই বিষয়গুলো আমি জেনে শিওর হওয়ার পরে আমি সেই মানুষটাকে আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ দেওয়ার জন্য চিন্তাভাবনা করব ।






ভাইভা বোর্ড :  আপনি তো অবিবাহিত ,ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ঝাড়ি বা কোনো আদেশ পালন করতে গিয়ে রাগারাগি করে আবার চাকরি ছেড়ে চলে যাবে না তো । কারন একটা গবেষণায় দেখা গেছে যে বসদের সাথে রাগারাগি করার কারণে বিবাহিত পুরুষদের তুলনায় অবিবাহিত পুরুষদের চাকরি ছেড়ে দেওয়ার প্রবণতা বেশি হয় ।

চাকরিপ্রার্থী  : না স্যার আমি আশা করি এমন ধরনের ঘটনা ঘটবে না ।আমি চেষ্টা করব এই প্রতিষ্ঠানে যদি আমার চাকরি হয় আমি আমার নিজের যোগ্যতা আমার মেধা  কে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে প্রতিষ্ঠান এবং নিজের উন্নয়ন সাধন করা । আর আমি সবসময় চেষ্টা করবো আমার  ঊর্ধ্বতন বসের আদেশ ফলো করার । 


ভাইভা বোর্ড : আপনার ঊর্ধ্বতন বস যদি আপনাকে কোন অনৈতিক বা অবৈধ কাজ করার জন্য আদেশ করে আপনি তখন কি করবেন । আপনি কি আপনার বসকে খুশি করার জন্য অনৈতিক বা অবৈধ কাজ করবেন ?

চাকরিপ্রার্থী  :  আমার ঊর্ধ্বতন বস যদি আমাকে কখনো আমাদের প্রতিষ্ঠানের কোনো কাজে অবৈধভাবে বা অনৈতিক ভাবে কোন কাজ করতে আদেশ করেন  । আমি  সে অবৈধভাবে বা অনৈতিক  কাজটা করব না এবং আমি আমাদের অফিসের সর্বোচ্চ পদে রয়েছেন যিনি আমি  এই বিষয়টা নিয়ে সেই স্যার এর  সাথে আলোচনা করব । 


ভাইভা বোর্ড : আমাদের এনজিও প্রতিষ্ঠান এ যদি আপনার চাকরিটা হয়ে যায় তাহলে কিন্তু আপনাকে বাংলাদেশের  যেকোনো স্থানে গ্রামে গিয়ে কাজ  করতে হবে গ্রামের মানুষকে নিয়ে । আমাদের কার্যক্রম গ্রামের অসহায় দরিদ্র মানুষদের নিয়ে আপনি কি পারবেন গ্রামীণ পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে কাজ করতে ?

চাকরিপ্রার্থী  :আমার চাকরীটা যেহেতু খুবই প্রয়োজন । আমি সকল পরিস্থিতিকে মানিয়ে নিয়ে কাজ করব এবং নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দেওয়ার চেষ্টা করব ।


ভাইভা বোর্ড :  আপনি কি মোটরসাইকেল চালাতে পারেন এবং মোটরসাইকেল চালানোর জন্য বৈধ লাইসেন্স রয়েছে ?

চাকরিপ্রার্থী  : জি স্যার আমি মোটরসাইকেল চালাতে পারি এবং আমার কাছে মোটরসাইকেল চালানোর জন্য বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স রয়েছে ।



এনজিও চাকরি ভাইভা তে মূলত এই ধরনের প্রশ্ন করা হয়ে থাকে হয়তো কিছু কিছু এনজিও প্রতিষ্ঠান দু একটা ব্যতিক্রম ধরনের প্রশ্ন করতে পারে । তবে ভালো একটা প্রস্তুতি নিয়ে ভাইভা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলে অবশ্যই আপনি সফল ভাবে পাশ করতে পারবেন এবং একটি এনজিওতে চাকরি করার জন্য যোগ্যতা অর্জন করবেন ।

Post a Comment

0 Comments