গ্যাস্ট্রিক সমস্যা থেকে মুক্তি পান চিরতরে ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করে gastric problems slove esy way

গ্যাস্ট্রিক সমস্যার চিরস্থায়ী সমাধান

বর্তমান সময়ে একটি বিষয় লক্ষ্য করা যায় সেটা হল আমাদের মানব শরীরে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা । বর্তমান সময়ে বেশি  ভাগ মানুষের এই গ্যাস্ট্রিক সমস্যা ।আমি আরো অবাক হয়েছি যে এইটা দেখে যে অনেক ছোট ছোট সন্তান যাদের বয়স ২ বছর বা ৫ বছর এরকম ছোট বাচ্চাদের এই গ্যাস্ট্রিক সমস্যা । বর্তমান সময়ে প্রকট আকার ধারণ করার কিছু কারণ রয়েছে আমরা বর্তমান সময়ে যে ধরনের খাদ্যদ্রব্য গ্রহণ করে আমরা আমাদের  জীবন পরিচালনা করছি আসলে এই খাবারগুলো কতটুকু নিরাপদ বা কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত এ বিষয়গুলো আমরা  জানিনা ।

আমরা বাংলাদেশের বিভিন্ন নিউজ রিপোর্ট বিভিন্ন টেলিভিশনে খবর গুলো দেখলে  বোঝা যাই যে আসলে আমরা খাদ্যের নামে কী খাচ্ছি কারণ । বর্তমান বাজারে বেশিভাগ পণ্যের মধ্যে ভেজাল দেওয়া এবং সেখানে অনেক ক্ষতিকর জিনিস ব্যবহার করা হয় আমরা সাধারন মানুষ সেই খাবারগুলো ক্রয় করে রান্না করে খাচ্ছি আমরা জানি না যে আমরা টাকা দিয়ে বিষ কিনে খাচ্ছি ।বর্তমান সময়ে এমন একটা পরিস্থিতি  হয়ে গেছে যে আপনি যখন বাজারে যাবেন কোন কিছু কেনার জন্য কিন্তু আপনি সেখানে যে বুঝতে পারবেন না যে কোনটা ভাল পণ্য আর কোনটা খারাপ পণ্য চেনার কোন উপায় নেই । কারণ ভেজাল পণ্যের গায়ে সেই আসল পণ্যের লেভেল লাগানো মোড়কজাত করা যার কারণে আমরা খুঁজে বের করতে পারি না আসলে কোনটা ভেজাল পণ্য ।

মূলত আমাদের এই খারাপ ভেজাল খাদ্য হিসেবে খাওয়ার জন্য কিন্তু আমাদের গ্যাস্ট্রিক সমস্যা বেড়ে যায় আপনি যে তেল ব্যবহার করে রান্না করেন সে তেলে যদি ভেজাল থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার ১০০র্সেন্ট আপনি গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় ভুগবেন । বর্তমান সময়ে আমরা বিভিন্ন নিউজপেপার এবং টেলিভিশনের মাধ্যমে দেখতে পায় সে কি পরিমাণ ভেজাল মেশানো হচ্ছে যা ভাবলেই গা শিউরে ওঠে ।যে আমরা ২০০ টাকা লিটার সয়াবিন তেল কিনছে না ২০০ টাকা দিয়ে  আমাদের  জন্য বিষ কিনে আনছি বাড়িতে ।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিভাবে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন আসুন জেনে আসি :-

বর্তমান বাজারে তো সব খানেই ভেজালে ভরপুর আপনি যেটা কিনবেন সেখানেই ভেজাল ভালো পণ্য পাওয়াটাই মুশকিল । সে ক্ষেত্রে আমাদের তো খেয়ে বেচে থাকতে হবে আমার  যদি ভেজাল মনে করে না খায় তাহলে তো আমরা মরে যাব । যার কারণে আমাদেরকে খাইতেই হবে এবং বেঁচে থাকতেই হবে কিন্তু গ্যাস্ট্রিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য তাদের বিশেষ কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হবে এবং নিজেকে একটু সংযত রাখতে হবে ।  কারণ   গ্যাস্ট্রিকে আক্রান্ত হলে আপনার কোন কিছুই ভালো লাগবে না আপনি অশান্তিতে ভোগেন অনেক সময় ওষুধ খেয়েও কাজ হয়না তাহলে একবার ভাবেন  এটা করা বা কত বড় সমস্যা এই গ্যাস্ট্রিক সমস্যা যার আছে সেই এর  বেদনা বুঝে ।

আর বর্তমান বাজারে আপনি যে ওষুধ সেবন করবেন সেই ওষুধদের মধ্যেও ভেজাল এ বিষয়গুলো আমরা বিভিন্ন নিউজপেপার এবং খবরে মাধ্যমে জেনেছি।  যে ওষুধ মধ্যে কত ধরনের ভেজাল দেওয়া আছে আর এক গবেষণায় দেখা গেছে যে আমরা গ্যাস্টিকের জন্য যে ওষুধটা খাই এটা দীর্ঘদিন খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো না পরবর্তীতে এখান থেকে ক্যান্সার সৃষ্টি হতে পারে । আপনি যদি এভাবে ভেজাল ওষুধ খেতে থাকেন নিয়মিতভাবে তাহলে কতটা বিপদের সম্মুখীন হবেন আপনি পরবর্তী জীবনে । তাই এর পদ্ধতি গুলো বাদ দিয়ে ঘরোয়া ভাবে কাজ করতে হবে যেন শরীর সুস্থ থাকে ভালো থাকে ।

আমরা তো সবাই ভাত খায় আমরা বাংলাদেশী আমরা ভাতের উপর বেশি নির্ভরশীল কিন্তু আমাদের  ভাত এর পাশাপাশি তরকারি রান্না করার সময় তরকারিতে প্রচুর পরিমাণে মসলা ব্যবহার করা হয় তেলের ব্যবহার করা হয় যার কারণে কিন্তু গ্যাস্টিকের সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করে । কিন্তু একটু কষ্ট করলে খাদ্যভ্যাসে পরিবর্তন আনলে তাহলে কিন্তু গ্যাস্ট্রিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে তখন ।

 

নাম্বার ( ১) ---যখন তরকারি রান্না করবেন তখন তরকারিতে বেশি মসলা ব্যবহার করা বাদ দিন এবং তেলের পরিমাণ খুবই কম এভাবে যদি আপনি এক মাস দুই মাস খেতে পারেন তাহলে কিন্তু আপনার অভ্যাসে পরিণত হবে হয়তো প্রথম এক মাস একটু খারাপ লাগবে খাইতে ভাল লাগবে না কিন্তু দুই মাস পর থেকে আপনার খাওয়ার রুচি চলে আসবে এবং ওই কম মসলা  তেলের রান্না করা তরকারি  তাই আপনার ভালো লাগবে ।এতে করে আপনার গ্যাস্টিকের সমস্যা অনেকাংশেই কমে যাবে এভাবে যদি চালাতে পারেন তাহলে দেখবেন আপনার গ্যাস্টিক  সমস্যা কমে যাবে চিরতরে ।

নাম্বার ( ২) ---আমাদের আরেকটি সমস্যা সেটা হচ্ছে আমরা বেশিরভাগ ভাজাপোড়া খাদ্যদ্রব্য গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর এই ভাজাপোড়ার তরকারি রান্না করতে কিন্তু প্রচুর পরিমাণে তেল এর ব্যবহার করা হয় । তাতে যদি ভেজাল তেল ব্যবহার হয়  তাহলে বুঝেকি  অব্যবস্থা হবে ।তাই আমাদের এই খাবারগুলো পরিহার করতে হবে এবং তাই আমাদেরকে তরকারি রান্না করার সময় তরকারিতে প্রচুর পরিমান  ঝোল  রাখতে হবে আপনি যদি এই ঝোল খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন তাহলে দেখবেন একটা সময় আপনার গ্যাস্ট্রিক সমস্যা চিরতরে চলে যাবে এটা পরিক্ষিত একটি পদ্ধতি ।

নাম্বার ( ৩) ---বেশিরভাগ মানুষেরই বলেন যারা বাহিরে খাওয়া দাওয়া করেন অর্থাৎ হোটেল-রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়া করেন  তাদের কিন্তু গ্যাস্ট্রিক সমস্যা বেশি হয়ে থাকে । কারন হোটেল রেস্টুরেন্টে খাবার মুখরোচক এবং আকর্ষণীয় করার জন্য সেখানে বেশি বেশি মসলা ব্যবহার করা হয় এবং তেলের ব্যবহার করা হয় যার কারণে ওই খাবারগুলো খেলে বেশিরভাগ মানুষই গ্যাস্ট্রিকে আক্রান্ত হয় ।কিন্তু আপনি যদি এই বাইরের খাবার গুলো এড়িয়ে চলেন তাহলে কিন্তু আপনি এই গ্যাস্টিক সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পাবেন ।

নাম্বার ( ৪ ) ---আমরা অনেক সময় মুদি দোকান থেকে বাহিরের  রেডিমেট কিছু খাবার খেয়ে থাকি আর বাইরে খাবারগুলো খাইলে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা বেশি হয় ।আমাদের উচিত হবে  বাহিরের উৎপাদিত সমস্ত রেডিমেট খাবার পণ্য বর্জন করা। উদাহরণ হিসেবে যদি বলতে হয় তাহলে আমি বলব এমন কিছু বিস্কিট রয়েছে যে বিস্কিট গুলো খাইলে গ্যাস্ট্রিক সমস্যার শুরু হয়ে যায় । জানিনা এই বিস্কিট তৈরি করার সময় কি ধরনের পণ্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে । তবে বিস্কিট   সহ আরো অনেক ধরনের রেডিমেট খাবার কিন্তু কিনে পাওয়া যায় আর আমরা মুখের সাধের জন্য এই খাবারগুলো কিনে খেয়ে থাকি আর এই খাবারগুলোর কারণেই কিন্তু আমাদের শরীরে গ্যাস্টিক বাসা বাঁধে । কারন এই খাবারগুলো বেশিভাগ ভেজাল পণ্য ব্যবহার করা হয় আর এই  ভেজাল পণ্য খাওয়ার কারণে আমাদের শরীরে খাদ্য গুলোকে মানিয়ে নিতে পারে না সহজেই হজম করতে পারে না যার কারণে আমাদের শরীরে গ্যাস্টিকের আকার ধারণ করে বেশি বেশি ।

গ্যাস্ট্রিক সমস্যা চিরতরে ধরে দূর করার জন্য আমাদের ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে ওষুধের ওপর বেশি নির্ভরশীল হওয়া যাবে না । আপনাকে প্রথম অবস্থায় একটু কষ্ট করতে হবে আপনি যদি কষ্ট মানিয়ে  নিতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি পরবর্তী জীবনে এই ধরনের গ্যাস্ট্রিক সমস্যা থেকে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন । 

যদি এই পোস্টটি থেকে আপনারা উপকৃত হয়ে থাকেন একটু হলেও তাহলে অবশ্যই সবার সাথে শেয়ার করে দিবেন

  আরো পড়ুন : কোন বয়সের মেয়েদের বিয়ে করলে ,বিবাহিত জীবন সুখের  হয় ,বিস্তারিত দেখুন 

  আরো পড়ুন :    সুন্দরী বউ বিয়ে করলে কি কি বিপদ হয় দেখুন একবার ,সাবধান হোন সবাই