Header Ads Widget

সাদিকার প্রথম প্রেমের অভিজ্ঞতা ,ভুল মানুষের সাথে প্রেম করলে কষ্ট পেতে হয় | কি ঘটেছিল সাদিকার সাথে দেখুন

 

সাদিকার প্রথম প্রেমের অভিজ্ঞতা ,কি ঘটেছিল সাদিকার  সাথে দেখুন



আমার  নাম সাদিকা পারভিন কেয়া , আমার বয়স ২২ বছর । আমার বাসা নাটোর জেলার দীঘাপতিয়ার রাজবারীর পাশে। আমায় বাবা মায়ের ১ মাত্র মেয়ে । তাই আমি ছোট থেকেই তাদের অনেক আদরের ,আমি যা বলতাম আমার বাবা মা তাই শোনতো ।আমার কোন চাহিদার অভাব ছিলো না । ছোট বেলাই যখন নাটক সিনেমা দেখতাম তখন আমার মনে হতো আমিও একদিন বড় হবো,কলেজ পড়বো , আমার ও এমন একটা নায়কের মতো দেখতে সুন্দর একজন পেমিক থাকবে।এই স্বপ্ন নিয়েই  প্রাইমারি স্কুল থেকে হাইস্কুলে উঠলাম। এভাবে ৪  বছর কাটলো, আমি তখন কাল্শ ৯ এ পড়ি, আমি তখন দেখতে অনেকটাই সন্দুরী।


আমাকে দেখে তখন অনেক ছেলেরাই রাস্তাই দাড়িয়ে থাকতো  এবং রাস্তাই আমার পথে আমাকে দার করিয়ে পেমের অফার করতো। কিন্ত যারা আমাকে পেমের অফার করতো, তাদের কে আমার পছন্দ হতো না। তাদের এমন ঘটনায় বিরক্ত হয়ে অনেক বার আমার বাবাকে বলেছিলাম যে কয়েকটা ছেলে আমাকে রাস্তাই ডিসটাব করে। বাবাও তাদেরকে অনেক সময় শাষণ করেছিলো। আমার মামাতো ভাই মিজানুর (২৬)  আমাকে প্রেমের পস্তাব দিয়োছিলো কিন্ত আমিও রাজি হয়নি। কারন তাদের কাউকেই আমার পছন্দ হয়নি। আমি যেমন ছেলের স্বপ্ন দেখতাম তেমন ছেলে এখনো আমি দেখতে পাইনি তাকে ।


আমি তো স্বপ্ন দেখতাম এবং ভাবতাম আমার যে পেমিক হবে সে হবে সিনেমার নায়কের মতো। কিন্ত আমি এমন কাউকেই  মিলাতে পারলাম না। আমি যখন কাল্শ টেনে উঠলাম। তখন একদিন হঠাত করে নাটোর একটা শপিং মলে একটা ছেলের সাথে পরিচয় হয়ে যায়।।


আমার ছেলেটাকে ভালই লাগে  প্রথম দেখাতেই । আমি যেমন  নাটক সিনেমা দেখে স্বপ্ন দেখতাম রফিকুল দেখতে ঠিক সেরকম একদম নায়কের মত চেহারা এবং তার বডি ফিটনেস অনেক সুন্দর ।এর পর ২ মাস পরে আবারো সেই ছেলেটার সাথে আমার দেখা হয় নাটোর রাজবাড়ীতে বেড়াতে গিয়ে। সেখানেই তার সাথে অনেক গল্প হলো, তার বিষয়ে জানা শোনা হলো। সেই ছেলেটার নাম রফিকুল ইসলাম (২৪)। বাসা রাজশাহী জেলার  পুঠিয়া  থানাই। সে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ বষে পড়াশুনা করে। 



এর পরে আমাদের মোবাইল নাম্বার বিনিময় হলো, তার পর থেকে আমাদের নিয়মিত কথা হতে থাকলো। এর কিছু দিন পরে আমার সামনে এস এস সি পরিক্ষা তাই আমাদের মাঝে সেই সময় কথা একটু কম হওয়া শুরু হলো। আমাদের ১ মাস পরে পরে দেখা হতো, ও রাজশাহী থেকে নাটোর আসতো। আমরা নাটোরে রাজবাড়িতে দেখা করতাম।


আমি এস এস সি পরিক্ষাই ৫.০০ জিপিও পেয়ে পাশ করলাম। তারপরে আমি  নাটোর নবাব সিরাজউদ্দোলা কলেজে ভতি হলাম। তখন আমাদের পেম আরো গভীর হলো। কলেজে উঠার পরে কলেজের অনেক বড় ভাইদের থেকে ও আমি  প্রেমের অফার পেতে থাকলাম। কিন্ত আমি কাউকেই আর আমার মনে যায়গা দিই না।


এভাবে আমাদের প্রেম আরো একবছর কেটে গেলে আমি তখন দ্বাদশ শেনিতে সামনে আমার এইচ এস সি পরিক্ষা। একদিন আমাকে রফিকুল বললো, যে আমরা তো অনেক দিন ধরে পেম করলাম, সামনে আমরা বিয়েও করবো। তাহলে কেন আমরা এই সময় গুলো নষ্ট করছি। চলো  না আমরা একদিন রুমডেট করি। তাহলে আমাদের পেম আরো গভীর হবে, দুজুন দুজুন কে আরো বেশি জানতে পারবো।


আমি রফিকুলের মুখে এমন কথা শুনে অবাক হলাম গেলাম ,কি বলছে এসব রুম ডেট। আমি বললাম দেখো বিয়ের আগে এসব করা ঠিক নই। আর আমিও এসব করতে পারবো না। সরাসরি রফিকুলকে না বলে দিলাম এবং মন খারাপ করে বাই বলে চলে এলাম বাড়িতে। বাড়িতে এসে ভাবছি যে আমি কি মানুষ চিনতে ভুল করলাম, ভুল মানুষকে ভালোবাসলাম। রাতে আমাকে কল দিলো রফিকুল, আবারো একই কথা রুমডেট করতে চাই। আমি তাকে বুঝানোর চেষ্টা করলাম। কিন্ত কোন কাজ হলো না। তার একই কথা রুম ডেট করতেই হবে। না হলে সম্পক থাকবে না আর আমাদের ।


এই কথা শুনে আমার মনটা খারাপ হয়ে গেলো, এতদিন কাকে বিশ্বাস করলাম আমি, যার মনে এই কথা ছিলো। কল কেটে দিলাম। অনেক কান্না করলাম, সেই রাতে দরজা লাগিয়ে দিয়ে রুমে সারারাত কান্না করলাম।


পরে দিন সকালে রফিকুল আবারো কল দিলো আমাকে, আবারো সেই একই কথা বললো রুমডেট করতে হবে। আমি এবার তাকে বললাম তুমি যে নোংরা মনের ছেলে আমি জানতাম না। তমি শুধু দেখতেই সুন্দর কিন্তু তোমার মন ভালো না । আগে জানলে তোমার সাথে আমি কখনোই পেম করতাম না। তুমি আমার জীবনের ভুল সিদ্ধান্ত, যার কারনে আজ আমাকে এত কষ্ট পেতে হচ্ছে। সে কলটা কেটে দিলো, আমিও তখন রফিকুলের নাম্বার টা বক্ল করে দিলাম। এমন ছেলের সাথে পেম করার চাইতে একা থাকা অনেক ভালো।


এইচ এস সি পরিক্ষার  ডেট হলো, পরিক্ষা দিলাম,রেজাল্ট ভালো হলো না  আমার। আমি এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৪.১০ পেয়ে পাশ করলাম ।একটা পেম আমার জীবনের সব কিছু নষ্ট করে দিলো। রেজাল্ট খারাপ হলো আব্বুর কাছে আম্মুর কাছে অনেক বুকা খেলাম। আত্নীয়স্বজনের কাছে অপমানিত হলাম আমি অনেক ।



এইচ এস সি পরিক্ষাই ভালো রেজাল্ট না হওয়াতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেলাম না ,আমার অনেক বন্ধু বান্ধবী তারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেল কিন্তু আমি চান্স পেলাম না যার কারণে আবারো বাবা-মায়ের কাছে অনেক গালি খেলাম। পরে রাজশাহী কলেজে অনাসে ভতি হলাম,সেখানে অনেক পেমের অফার পেলাম, কিন্ত আর কাউকে বিশ্বাস করতে পারলাম না। বিয়ের আগে আমার আর পেম করার ইচ্ছা নেই।


এই হলো আমার জীবনের  প্রথম পেমের অভিঙ্গতা। সবার হয়তো এমন হয়না, অনেকেই সুখে আছে। কিন্ত আমি অনেক কষ্ট পেয়েছি আমার জীবনে। সব ছেলেরাই খারাপ হয় না, তাই মানুষ চিনতে ভুল করবেন না। সঠিক মানুষ চিনতে পারলে জীবন সুখী হয়।


আপনাদের প্রথম পেম কেমন ছিলো জানিয়ে কমেন্ট করুন সবাই।

Post a Comment

0 Comments