কম দামে রাজশাহীর ভালো মানের কেমিক্যাল মুক্ত আম কিনবেন যেভাবে ,বিস্তারিত দেখুন এবং জানুন rajshahir mango low price Purchase tips

 

শায়লা শারমিন ,রাজশাহী :-   রাজশাহীর আমের একটা আলাদা সুনাম রয়েছে সারা বাংলাদেশে , আমের এই মৌসুমে রাজশাহী অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে আমের উৎপাদন হয়ে থাকে । এই আম গুলো দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহর এবং জেলা শহরের চাহিদা পুরণ করে থাকে। রাজশাহীর আমের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষদের কাছে । এই আম গুলো যখন দেশের বিভিন্ন এলাকার সাধারন মানুষেরা বাজার থেকে কিনে তখন এই আম গুলো একটু বেশি দামেই তাদের কিনতে হয় ,কারণ রাজশাহী থেকে এই আমগুলো ক্রয় করা এবং সেগুলো পরিবহন করা তারপর সেগুলো খুচরা মার্কেটে বিক্রি করা এই সব মিলিয়ে আমের দাম গুলো বেশি হয়ে যায় খুচরা গ্রাহকদের কাছে ।

 আজকে আমি আমার এই লিখার মাধ্যমে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব যে কিভাবে আপনারা রাজশাহীর আম কম দামে এবং কম খরচে ভালো মানের কেমিক্যাল মুক্ত আম আপনারা কিনতে পারবেন সেই বিষয়টা নিয়েই আজকে আমি আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করবো । আপনারা সবাই আমার এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন তাহলে আপনারা এ বিষয়ে বিস্তারিত বিষয়গুলো জানতে পারবেন ইনশাআল্লাহ ।

রাজশাহীর আম কম দামে এবং কেমিক্যাল মুক্ত আম কিভাবে কিনবেন :-

আপনারা যারা ঢাকা শহরে বসবাস করেন বা চট্টগ্রাম শহরে বসবাস করেন বা দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে বসবাস করেন এই আমের মৌসুমে আপনারা সবাই রাজশাহীর আম স্থানীয় বাজার থেকে কিনে খান । কিন্তু আপনাদের অনেক দামে  স্থানীয় খুচরা মার্কেট থেকে এই আমগুলো ক্রয় করতে হয় ।  আপনারা চাইলেই কিন্তু এই আমগুলো খুব কম দামে এবং কেমিক্যালমুক্ত আম আপনারা কিনতে পারবেন এর জন্য আপনাদের যে কাজটি করতে হবে এটা খুবই সহজ কাজ আপনারা সবাই এই কাজটি করতে পারবেন । এই কাজটি করলে আপনাদের এক ডিলে দুই পাখি মারা যায় একটা প্রবাদ বাক্য রয়েছে সে জিনিসটা এখানে কাজে লাগবে। তাহলে আসুন কিভাবে এই কাজটি সম্পন্ন করবেন আপনাদের সাথে আলোচনা করি ।

 পদ্ধতি (১):-  ধরন আপনি ঢাকা শহরে বসবাস করেন,আপনার দেশের বাড়ি সিলেট বা খুলনা শহরে  আপনার সাথে আরো ১০ জন পরিবার বা ২০ জন্  পরিবার বসবাস করে ,এই আমের মৌসুমে আপনারা সবাই তো কম-বেশী আম কিনে থাকেন । আপনারা  যখন  ঢাকার বাজার থেকে এই আম গুলো কিনেন তখন কিন্তু অনেক চড়া দামে আম কিনতে হয় । এমত অবস্থায় আপনারা সবাই মিলে ২০ জন পরিবার থেকে কোন একজনকে নির্দিষ্ট করে রাজশাহীতে পাঠিয়ে দেন টাকা দিয়ে সরাসরি আম কেনার  জন্য।

  তাহলে একজন রাজশাহীতে চলে আসলেন এবং রাজশাহীতে এসে সরাসরি বাগানে এসে নিজ হাতে দেখে নিজ চোখে দেখে কেমিক্যালমুক্ত সুস্থ এবং সবল আম খুব কম দামে আপনারা ক্রয় করতে পারবেন স্থানীয়ভাবে ।আপনার আসা-যাওয়া ও আম পরিবহন বাবদ যে টাকা খরচ হবে ,ঢাকা শহরের আমের যে মূল্য তার তুলনায় কিছুই না, আপনার অনেক টাকা সেভ হবে ,সাথে ভালো মানের কেমিক্যালমুক্ত আম নিজে কিনতে   পারবেন স্থানীয় বাগান থেকে । সরাসরি বাগানে এসে নিজে আম কিনা ,এটা একটা আলাদা ফিল নিতে পারবেন আপনি এবং এই আম কেনার উসিলায় আপনার এই সুন্দর রাজশাহী শহর টা 2-1 দিন  থেকে ভ্রমণ  করারও একটা সুযোগ  হয়ে যাবে ।এটাকে বলা হয় এক ঢিলে দুই পাখি মারা ।

পদ্ধতি (২):- ধরুন আপনি ঢাকা শহরের একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন আপনার দেশের বাড়ি সিলেট বা খুলনা শহরে ।আপনাদের অফিসে ১০ বা ২০ জন কলিগ আছেন আপনারা ।এখন আপনাদের অফিসের কলিগ এরা সবাই তো এই আমের  মৌসুমী কমবেশি আম ক্রয় করে থাকে । সে ক্ষেত্রে আপনারা ১০ জন কলিগ বা ২০ জন কলিগ মিলে একটা সিদ্ধান্ত নিলেন যে আপনারা চাইলে একজন আসতে পারেন আবার সবাই মিলেও  আসতে পারেন রাজশাহীতে । আপনারা যদি একজন আসতে চান তাহলে যে কোন দিনই আপনারা আসতে পারবেন, আর যদি সবাই মিলে আসতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাদের যেদিন অফিস ছুটি থাকে সেদিন নির্ধারণ করে আসতে হবে।

  এতে করে আপনারা রাজশাহী শহরে ১-২ দিন থেকে রাজশাহীর বিভিন্ন আম  বাগানে ঘুরে বিভিন্ন মালিকদের সাথে কথা বলে  একদম তরতাজা টাটকা কেমিক্যাল মুক্ত আম বাগান  থেকে নিজ চোখে দেখে আপনারা ক্রয় করতে পারবেন অল্প দামে অর্থাৎ আপনারা এ বাগান মালিকদের কাছ থেকে পাইকারি মূল্যে এই আমগুলো আপনারা ক্রয় করে নিতে পারবেন, আপনারা সকলে একসাথে আম কিনার  পাশাপাশি আপনাদের এই সুন্দর  শহরটাকে ভ্রমণ করা হয়ে যাবে এবং খুব অল্প দামে আপনারা রাজশাহীর বিখ্যাত এবং ভালো মানের আম ক্রয় করতে পারবেন আপনারা স্থানীয় বাগান থেকে ।আপনাদের ঢাকা শহরে আম কিনতে যে টাকা খরচ হতো আপনারা রাজশাহী শহরে এসে দুইদিন ঘোরাফেরা করে যাওয়া আসা করা সহ আম পরিবহন খরচ বাদে আপনাদের টাকা-পয়সার সেভ হবে আশা করি এবং আপনারা  ভালো মানের কেমিক্যাল মুক্ত আম খাওয়ার আলাদা ফিল অনুভব করতে পারবেন । এটাকে বলা হয় এক ঢিলে দুই পাখি মারা ।

তো বন্ধুরা আমি আপনাদের মাঝে যে দুটি উপায়ে শেয়ার করলাম যদি আমার এই আইডিয়া গুলো আপনাদের কাছে ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই আমার এই পোস্টটি সবাই শেয়ার করে দেবেন আপনাদের বন্ধু-বান্ধবদের সাথে আপনার পরিচিত জনদের সাথে যেন তারাও এ বিষয়টি দেখতে পারে এ বিষয়ে জানতে পারে এবং তারাও এই ধরনের সুবিধা ভোগ করতে পারে সবাই এই পোস্টটি শেয়ার করে দিবেন বেশি বেশি । তো আমি আশা করি আপনারা যদি এই পদ্ধতি গুলো ব্যবহার করেন বাস্তবজীবনে তাহলে আপনারা খুবই অল্প দামে রাজশাহী শহরে এসে বাগান থেকে নিজ চোখে দেখে ভালো মানের কেমিক্যালমুক্ত আম ক্রয় করতে পারবেন খুব কম দামে ।আপনাদের ঢাকা শহর থেকে রাজশাহী শহরে আসা যাওয়া খরচ এবং  ক্রয়কৃত আম পরিবহন খরচবাদে ও আপনাদের অনেক টাকা সাশ্রয় হবে যদি এ পদ্ধতি বাস্তব জীবনে সবাই প্রয়োগ করে থাকেন ।