Header Ads Widget

ঈদের ছুটি কাটিয়ে কর্মস্থলে ফেরা হলো না বাগমারার রাজশাহীর শাহীনের ,দুর্ঘটনা কেরে নিলো ২৭ বছরের যুবকের প্রাণ ।




ঈদের ছুটি কাটিয়ে কর্মস্থলে ফেরা হলো না বাগমারার রাজশাহীর শাহীনের ,দুর্ঘটনা  কেরে নিলো ২৭ বছরের যুবকের প্রাণ ।

শাহীন আলম। ছবি: সংগৃহীত


বাগমারা ,রাজশাহী :-  আমাদের সবারই একটা স্বপ্ন থাকে মনের জমানো গোপন কিছু ইচ্ছা থাকে । আমরা সবাই ভাবি যে  কিভাবে আমাদের ভবিষ্যতকে আরো ভালো করা যায় নিজের ক্যারিয়ারকে কিভাবে উন্নত করা যায় এসব বিষয় নিয়ে  কিন্তু আমরা বর্তমান দুনিয়াতে সবাই ব্যস্ত থাকি ।  আমরা কখনো ভাবতেই পারিনা যে একটা সময় আমাদেরকে এই দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে কবরের জীবন আখিরাতের জীবন অতিবাহিত করতে হবে|। 


আমরা হয়তো অনেকেই ভাবি যে আমরা এই রঙিন দুনিয়ায় অনেক বছর বেঁচে থাকব আমাদের বয়স মাত্র ২০  বছর কারো ২৫ বছর কারো আবার ৩০ বছর ।আমরা সবাই ভাবি আমরা  সামনে আরো ৩০বছর ৪০ বছর বেঁচে থাকব এই ধারণাকে সামনে রেখেই আমরা দুনিয়াতে কিভাবে ভালোভাবে উন্নয়ন ভাবে আমাদের জীবনকে পরিচালনা করতে পারব এটা নিয়েই আমরা সবাই প্রতিযোগিতায় নেমে আছি । আমরা কখনো দেখি না কোনটা হালাল আর কোনটা হারাম আমরা কখনও এসব বাচ _ বিচার করার সময় পায়না ।


আমরা সবাই ভাবি এখন তো ইনজয় করার বয়স এখনই যদি নামাজ কালাম ইসলামের পথে চলি তাহলে তো আমরা আমাদের জীবনকে ইনজয় করতে পারব না , যখন বয়স শেষ হয়ে যাবে বুড়া হয়ে যাব তখন সবকিছু আল্লাহর ক্ষমা নিয়ে নিবো তখন আল্লাহর এবাদত বন্দেগী করবো এখন জীবনটা ইনজয় করেই কাটায় ।


 এই ধরনের চিন্তাভাবনা করে আছেন আজকের নিউজ সেই সব ভাইদের জন্য কারণ আপনাদের সাথে আজকে যে ঘটনাটি শেয়ার করবো সেটা আপনারা দেখলেই বুঝতে পারবেন যে আমি এতগুলো কথা কেন বললাম ।


আমরা যারা ঢাকা শহরে চাকরি করি আমাদের সবারই স্বপ্ন থাকে ঈদের সময় আমরা সবাই এক বুক আশা নিয়ে আমাদের পরিবারের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের জ্যাম জেলি এবং জীবনের ঝুঁকি নিয়েই ঢাকা থেকে আমাদের নিজ নিজ গন্তব্যে দেশের বাড়িতে চলে আসি ।সবারই একটা স্বপ্ন থাকে বাবা-মা আত্মীয়-স্বজন সবার সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করার ঠিক তেমনি স্বপ্ন নিয়ে গত পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে বাবা-মায়ের সঙ্গে ঈদ করতে গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার পাইকপাড়ার শাহিন আলম (২৭) ।


বাড়িতে আসার পরে খুব  আনন্দের সাথেই পবিত্র ঈদ বাবা-মা আত্মীয়-স্বজন সবার সাথেই কাটিয়েছিলেন । তার সময়টা খুবই ভালো গিয়েছিলো কিন্তু যখন ছুটি শেষ হয়ে গেল তাকে তো আবারো সেই ঢাকার উদ্দেশ্যে ব্যস্ত জীবনে ফিরে যেতে হবে ।  গত ০৭/০৫/২০২২ ইং  শাহিন আলম ঢাকার উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে নিল এবং মোটরসাইকেল যোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হল । রাজশাহী থেকে টাঙ্গাইল যখন পৌছালো সবকিছু ঠিকই ছিল কিন্তু হঠাৎ করে ঘটে গেল একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা একটি বাস  শাহিন আলমের মোটরসাইকেল টিকে সজোরে ধাক্কা দিল সেই বাসের ধাক্কায় শাহিন আলমের তরতাজা প্রাণ  ঝরে গেলো । শাহিন আলম 27 বছরের একজন সদ্য বিবাহিত জীবন শুরু করেছে এই দুর্ঘটনার কারণে তার জীবনের সমাপ্তি ঘটে গেল ।


এখন আপনাদের কিছু কথা বলি  , শাহিন আলম যখন বাড়ি থেকে বের হয়েছিল ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে সে কি কখনো ভাবতে পারছিল বুঝতে পারছিল এই যে আমি এখন বাড়ি থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে চলে যাচ্ছি পরিবার-পরিজনকে রেখে আমি আর কখনো আমার পরিবারের মানুষদের সাথে সাক্ষাৎ করতে পারবোনা আমি আর কখনো কোনো ঈদ উদযাপন করার জন্য আবার আমি বাড়িতে আসতে পারবো না । এই কথা কিন্তু শাহিন আলম কখনোই ভাবেনি কিন্তু দেখেন ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় 27 বছরের টগবগে যুবক শাহিন আলম মারা গেলেন ।

শাহিন আলম বছর দুয়েক আগে রাজশাহী কলেজ থেকে সমাজকর্ম বিষয়ে অনার্স এবং মাস্টার্স ডিগ্রী কমপ্লিট করে। তারপর জীবিকার তাগিদে একটি বেসরকারী ওষুধ কোম্পানিতে যোগদান করেন । বিগত দুই বছর ধরে তিনি সেই ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করছিলেন চাকরিতে যোগদানের পর থেকে শাহিন আলম ঢাকাতেই বসবাস করেন । শাহিন আলম সাম্প্রতিক সময়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে তাদের এখনো কোনো সন্তান হয় নাই । শাহিন আলমের স্ত্রী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একটি বেসরকারি সংস্থায় নার্সের চাকরি করে ।


 শাহিন আলম তার বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান ছিলেন ,সড়ক দুর্ঘটনা নির্মম অতর্কিত খবরে তাদের পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া কারণ এই ধরণের মৃত্যু কোন পরিবার এলাকার মানুষজন মেনে নিতে পারে না । কারণ শাহিন আলমের  বয়স মাত্র 27 বছর এবং সে সবেমাত্র নতুন বিবাহিত জীবনে প্রবেশ করেছে তার জীবনে এখনো অনেক কিছু বাকি ছিল । কিন্তু আল্লাহর হুকুম হয়েছে তাই সবকিছু ফেলে শাহিন আলম চলে যেতে হল  । শাহিন আলমের কত স্বপ্ন ছিল কত চিন্তা ভাবনা ছিল ভবিষ্যৎ জীবনে কি করবে কিভাবে তার জীবন পরিচালনা করবে তাদের বিবাহিত  জীবন কিভাবে পরিচালনা করবে কত কি চিন্তা ভাবনা ছিল । কিন্তু দেখেন সবকিছুর অবসান ঘটিয়ে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেল রঙিন রঙের দুনিয়া ছেড়ে তাকে চলে যেতে হল ।



Post a Comment

0 Comments