Header Ads Widget

বাগমারা কৃষকরা পেঁয়াজের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছে, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলছে তাদের কার্যক্রম

বাগমারা কৃষকরা পেঁয়াজের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছে, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলছে তাদের কার্যক্রম
                          ছবি :-চেউখালী,বাগমারা 

 স্টাফ রিপোর্টার ,বাগমারা রাজশাহী:-

রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার একটি সর্ববৃহৎ এলাকা । এই এলাকায় এই মৌসুমে প্রচুর পরিমাণ পেঁয়াজের ফসল উৎপন্ন হয়ে থাকে যা বিভিন্ন সময় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পেঁয়াজের চাহিদা পূরণ করতে বিরাট ভূমিকা বজায় রাখে । এই বাগমারার পেঁয়াজের আলাদা একটা চাহিদা রয়েছে দেশের বিভিন্ন জায়গার মানুষদের কাছে ।


বর্তমান সময়ে বাগমারা উপজেলার যারা কৃষি কাজের সাথে যুক্ত তারা সবাই এখন এই পেঁয়াজের চারা লাগানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে । সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলছে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই পেঁয়াজ লাগানোর কাজ । কৃষকরা অনেকটাই উৎসাহ নিয়ে কাজ করছে সবাই সবাই আশাবাদী যদি এবারে পেঁয়াজের দাম টা যদি একটু ভালো হয় তাহলে তাদের জন্য অনেকটাই উপকার হবে ।


আমরা গোটা বাগমারার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে দেখেছি বিভিন্ন জায়গাতেই কমবেশি পেঁয়াজের চারা লাগানোর কাজে সবাই ব্যস্ত বলতে গেলে গোটা বাগমারা জুড়েই এই পেঁয়াজের ফসল তৈরি হয় ।


                                                        ছবি :-চেউখালী,বাগমারা 


এই পেঁয়াজ চারা লাগানোর কাজে অনেক স্কুলপড়ুয়া এবং কলেজ পড়ুয়া ছেলেরা  এই কাজগুলো করে থাকে | তাদের সাথে কথা বলে জানা যায় তারা বলেন এই সময় একটু পড়াশোনার চাপ কম থাকে তার উপর করোনার কারণে নিয়মিত স্কুল-কলেজ হচ্ছে না সে ক্ষেত্রে তারা তাদের অবসর সময়টাকে কাজে লাগিয়ে কিছু টাকা ইনকাম করছে , পেঁয়াজের চারা লাগানোর কাজটা অনেকটাই সহজ তাই যে কেউ চাইলেই এই কাজ করতে পারে ,আর তাদের ভালো লাগছে এই ধরনের কাজ করতে পেরে ।


তাদের সাথে আরো কথা বলে জানা যায় তারা ৩ ঘন্টার জন্য ১৫০ টাকা কাজের মজুরি হিসাবে পাচ্ছে ,তারা বলেন যে একটা দিনে তারা ৩ ভাগে কাজ করে থাকেন ,একটা সকাল ৭ থেকে সকাল 10 টা পর্যন্ত ১৫০ টাকা ,এবং সকাল  দশটার পর থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত ১০৫ টাকা ,আবার বিকাল দুইটার পর থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত ১৫০ টাকা এভাবে কাজ গুলো করছে তারা ।


আমরা স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেছি, তো একজন কৃষক ভাই বলেন যে তাদের এই পেঁয়াজের ফসল তৈরি করতে বিঘাপ্রতি প্রায় 40 হাজার টাকার মতো খরচ হয়ে যায় ,সে ক্ষেত্রে  ফসল পরিপন্ন হয়  যখন ঘরে উঠায় তখন পেঁয়াজের দাম বেশির ভাগ সময়ই কম যায় হয়তো 2-1 বছর একটু বেশি হয় দাম । 



কৃষকরা বলেন এখন যেটা তারা চারা রোপণ করতেছেন সেটাকে বলা হয় চেচা  পেঁয়াজ ,কিন্তু বর্তমানে একটা পেঁয়াজ এর ফসল তাদের ঘরে উঠেছে সেটাকে বলে লাইলা পেঁয়াজ, এই লাইলা পেঁয়াজ বর্তমান সময়ে দাম অনেকটাই কম ।এক মণ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০টাকায় কৃষকরা বলেন তাদের এক মণ পেঁয়াজ উৎপাদন করতে ১২০০ টাকার মতো খরচ হয়েছে কিন্তু বর্তমান সময়ে দাম অনেকটাই কম সেই কারণে তাদের লস দিয়েই এই লাইলা পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে ।অনেকে বলেন এই লাইলা পিঁয়াজ বিক্রি করে তাদের লাভ হবে না মানে যে টাকা খরচ করেছে সেই খরচের টাকায় তারা উঠাতে পারবে না ।



এভাবেই চলছে তাদের চাষবাস ,তো যে পরিমাণ টাকা  খরচ হয় সেই পরিমাণ টাকা উঠাতে  অনেকটা কষ্টকর হয়ে যায় কৃষকদের জন্য ।যেহেতু এটা তাদের  বাপ-দাদার আদি পেশা এই কারণে তারা এই পেশাটাকে ছাড়তে পারে না এইভাবে চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে । তারা বলেন যদি সরকার কৃষকদের এই ধরনের সমস্যার সমাধান করে দিতেন অর্থাৎ খরচের সাথে সামঞ্জস্য রেখে যদি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিতেন তাহলে কৃষকদের জন্য খুবই উপকৃত হতো ।


তারা বলেন এমনিতেই তো জমিতে চাষ আবাদের জন্য সার কীটনাশক এসবের দাম অনেকটাই বেড়ে গেছে তারপর আবার নতুন করে তেলের দাম বৃদ্ধি হওয়ার কারণে কৃষকদের ফসল উৎপাদন খরচ অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু ফসল বিক্রি করতে গেলে পেঁয়াজের দাম কম, আলুর দাম কম ,কৃষকরা এই নিয়ে বিপাকে পড়ে গেছে ।


এভাবেই চলছে তাদের চাষবাস ,তো যে পরিমাণ টাকা  খরচ হয় সেই পরিমাণ টাকা উঠাতে  অনেকটা কষ্টকর হয়ে যায় কৃষকদের জন্য ।যেহেতু এটা তাদের  বাপ-দাদার আদি পেশা এই কারণে তারা এই পেশাটাকে ছাড়তে পারে না এইভাবে চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে । তারা বলেন যদি সরকার কৃষকদের এই ধরনের সমস্যার সমাধান করে দিতেন অর্থাৎ খরচের সাথে সামঞ্জস্য রেখে যদি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিতেন তাহলে কৃষকদের জন্য খুবই উপকৃত হতো ।


Post a Comment

0 Comments