ছবি সংগ্রহ : মচমইল
স্টাফ রিপোর্টার : বাগমারা ,রাজশাহী
রাজশাহী বাগমারা উপজেলার মানুষেরা দীর্ঘদিন ধরে এই পান চাষের সাথে জড়িত আছে । রাজশাহী বাগমারা পান দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা হয় । রাজশাহী বাগমারা পানের সোনাম গোটা দেশ জুড়ে রয়েছে এই উপজেলায় প্রচুর পরিমাণে পানের চাষ হয়ে থাকে বাগমারার অনেক মানুষ এই পেশার সাথে জড়িত ।
বিগত বছরগুলোতে পান চাষীরা অনেক ভালো ভাবে জীবনযাপন করতে ছিল । কিন্তু গত দুই বছর থেকে করোনা মহামারী এর কারণে পানের দাম আগের তুলনায় অনেকটাই কমে যায় । যার কারণে পান চাষীরা পানের বরজ নিয়ে বিপাকে পড়ে । বর্তমান সময়ে পানের দাম অনেকটাই কম ,পান বিক্রি করেন পান চাষিদের ইনভেস্ট করা টাকায় (মানে আসল মূলধন )সেটা ইনকাম করা বিপদজনক হয়ে যাচ্ছে ,লাভ হওয়া তো দূরের কথা ।
বর্তমান সময়ে পানের দাম কম সাথে করোনা মহামারী সব মিলিয়ে কৃষকদের জীবন কাটছিল কোন রকম ভাবে । কিন্তু বর্তমান সময়ে বাগমারা উপজেলা বিভিন্ন জায়গায় আমরা খবর নিয়ে জানতে পারি বিভিন্ন পানের বরজে পান রক্ষা করতে ব্যর্থ হচ্ছে পান চাষীরা । কারণ পান প্রাকৃতিক আবহাওয়ার কারণে সব পান গাছ থেকে ঝরে যাচ্ছে লাল হয়ে যাচ্ছে হলুদ হয়ে যাচ্ছে এবং এর কারণে পান চাষীরা অনেকটাই ক্ষতির মুখে পড়ে যাচ্ছে ।
আমরা স্থানীয় একজন কৃষকের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেছি তো তিনি আমাদের বলেন যে শীত কালীন সময়ে প্রতিবছরই পানের বরজের কিছু পান এভাবে নষ্ট হয়ে যায় কিন্তু এবারের পরিমাণটা অনেক বেশি এবারে পান বেশি পরিমাণে ঝরে যাচ্ছে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে পান গুলো বিক্রির জন্য উপযোগী নয় এর কারণে কৃষকরা অনেকটাই লস খাবে এবার ।
আমরা আরও বিস্তারিত জানার জন্য বাগমারা উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন পানের বরজে ঘুরে দেখার চেষ্টা করেছি এবং সবখানেই আমরা এই ধরনের অভিযোগ শুনতে পেয়েছি যে পানের বরজ পান হলুদ হয়ে ঝরে যাচ্ছে পানের বোটা কালো হয়ে পান গাছ থেকে ঝরে পড়ছে । এমনিতেই পানের দাম অনেকটাই কম তার উপর আবার এইভাবে ভালো ভালো পান নষ্ট হয়ে মাটিতে পড়ে যাচ্ছে । এ নিয়ে কৃষকেরা বিপদে আছে তারা কি করবে ভেবে পাচ্ছে না বা এর থেকে মুক্তি পাবে কিভাবে সমাধান হবে কিভাবে কেউ কিছু বুঝতে পারছেনা ।
স্থানীয় আরও একজন কৃষকের সাথে আমরা কথা বলে জানতে পেরেছি যে তিনি বলেন শীতকাল শেষ হওয়ার পরে চৈত্র মাসে সাধারণত পানের দাম বেশি হয় সে কারণে সব পান চাষীরা শে চৈত্র মাস পর্যন্ত পান টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করে । কিন্তু বর্তমান যেভাবে প্রাণ গুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে গাছ থেকে এমনি এমনি ঝরে পড়ছে এতে করে চৈত্র মাস পর্যন্ত পান টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না বলে তিনি মনে করেন এতে করে এইবার পানচাষীদের অনেকটাই ক্ষতির ভিতর দিয়ে যেতে হবে সবাইকে ।
বাগমারা পান চাষীরা সবাই আশা করেন ,সরকার যদি এই খাতে একটু ভর্তুকির ব্যবস্থা করে দেন তাহলেই পানচাষীদের জন্য খুবই উপকার হতো । এভাবে যদি আর কিছুদিন চলতে থাকে তাহলে অনেকের পক্ষে এই পানের বরজ টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না । অনেকেই হয়তো পানের চাষ বাদ দিয়ে দিবে কারণ পান চাষ করে কোন ধরনের ই লাভ হচ্ছে না বরং এখানে অনেক টাকা ক্ষতির মুখে পড়ে যাচ্ছে পানচাষিরা ।
0 Comments