মা, আমি বিয়ে করতে চাই, বয়স তো ২২ পেরিয়ে গেছে | Rajshahir News24

মা, আমি বিয়ে করতে চাই, বয়স তো ২২ পেরিয়ে গেছে |

 আজাদুর রহমান, বাগমারা রাজশাহী :- মা, আমি বিয়ে করতে চাই। বয়স 22 এর বেশি। আর কত? তুমি পড়ালেখার সময় ষাঁড়ের মত বসে আছো। আগে কিছু কর। বিয়ের পর আপনি আপনার স্ত্রীকে কি খাওয়াবেন? এই কথাগুলো শোনার পরও মা কিছু বলেনি। আমার মা শুধু বোকার মত আমার মুখের দিকে তাকাতে চেয়েছিল, আমি তার চোখের ইশারায় বুঝেছিলাম যে আমার মাও চায় আমি বিয়ে না করি |

আমার বন্ধুদের স্ত্রীরা যারা ছাত্র জীবনে প্রেম করে বিয়ে করেছিল তারা না খেয়ে মরেনি। তাহলে আমার প্রতি এত আপত্তি কেন? এমন সময় আমার বাবা এসে আমাকে জোরে চড় মারলেন। আমার আর কথা বলার ভাষা ছিল না। যতদূর আমি জানি, আমার বাবা 15 বছর বয়সে চাকরি পাওয়ার আগে বিয়ে করেছিলেন। 

আমার দাদা -দাদি বোকা ছিলেন তাই হয়তো আমার বাবা বিয়ে করতে পেরেছিলেন। কিন্তু আমার বাবা -মা বোকা নন তাই আমার যৌবনে বউ   পাওয়ার আশা ছেড়ে দেওয়া ভালো। কারণ আজ আমার বাবার মনে নেই তারুণ্যকে নিয়ন্ত্রণ করা কতটা কঠিন। তারা শুধু তাদের ছেলের আয় চায়। যখন তারা রাস্তায় হাঁটেন, তখন তারা তাদের বান্ধবীকে দুই ছেলের মা হিসাবে দেখেন। সে আমার দিকে তাকিয়ে বলল, কিরে, আমি আর কতদিন দাস থাকব? বয়স চলে গেছে।

 মরিয়ম, আমার প্রতিবেশীর মেয়ে। একদিন সাহস করে তার বাবাকে প্রপোজ করলাম। আমার কথা শুনে খালু রেগে গেল এবং বলল, "মেয়ের বাবা কি বেকার ছেলেকে বিয়ে করার জন্য গাঁজা সেবন করে?" আমি লজ্জা পেয়ে ওখান থেকে খুব তারাতারি নিরবে আমি বাড়িতে চলে আসলাম মন খারাপ করে।অতিরিক্ত মন খারাপের কারনে আমি হেটে হেটে বাড়িতে আসতে লাগলাম নদীর পাশ দিয়ে। বার বার শুধু অতীতের সুখের দিন গুলো মনে পড়ছিলো তখন। আগে কথ সুখে ছিলাম, আর এখন কি অবস্থা আমার।

 বাড়ি তে আসার পথে দেখি রাহানদের বাড়িতে অনেক লোকজন জড়ো হয়েছে।বাড়িতে গিয়ে শুনলাম আজ নাকি রায়হানের বিয়ে, বউ অনেক সন্দুরী,একটা ইয়ামাহা মোটর বাইক উপহার পেয়েছে। রায়হানের বিয়েটাও পারিবারিক ভাবেই হলো।রায়হান আমার চেয়ে ৭ বছরের ছোট ছিলো।যাইহোক, তার বাবা -মা তাকে বিয়ে করেছিলেন। কারণ রায়হান ভ্যানচালকের ছেলে, তথাকথিত শিক্ষিত পরিবারের সন্তান নয়। তাই তার স্ত্রী না খেয়ে মরবে না। 

শুধু পিতামাতার অনুগত ধনী লোকদের বেকার ছেলেরা না খেয়ে মারা যায়। আমি ভাবছি যদি আমি একজন শিক্ষিত ধনী পরিবারে জন্ম না নিয়ে একজন দিনমজুরের ঘরে জন্ম নিতাম, তাহলে আমি আমার যৌবনে একটি স্ত্রী পেতাম। আর বিয়ের পর স্ত্রীকে খাওয়ানোর ব্যাপারে চিন্তা করার দরকার ছিল না। কাউকে কিছু বলার বাকি রইল না, যখন বাবা -মা নিজেই তাদের সন্তানের অভিব্যক্তি বুঝতে পারলেন না, কাউকে বোঝানোর মতো কিছুই তাঁর কাছে ছিল না, আমি শুধু দাঁত মাজলাম এবং চোখের জল ফেললাম, দিনরাত চাকরির সমাধান পড়ছি।

 আমি তাদের বুকে নিয়ে অনেক কেঁদেছি। আমি একজন মানুষ বলেই আজ আমি অবহেলিত। আমার যৌবনের সমস্যা কেউ বুঝতে পারে না। সবাই শুধু আমাকে বলে আমি চাকরি চাই, চাকরি চাই। আমি মনে মনে ইসলামী সমাজকে খুব মিস করি। আজ যদি ইসলামী সমাজ থাকতো তাহলে আমাকে এত অল্প বয়সের সমস্যার মুখোমুখি হতে হতো না।