প্রথম পেম কখনো যাই না ভুলা।আমিও ভুলতে পারি নি।
আমি শাইলা শারমিন । বয়স ২৪ বছর। মানুষে বলে প্রথম পেম কখনো ভুলা যায় না। আমিও এই কথা সাথে একমত,কারন আমিও আমার প্রথম পেমকে এখনো ভুলতে পারি নি। আজ আমি আমার সেই প্রথম পেমের গল্পটা শোনাবো। আমি যখন কাল্শ সিক্স এ পড়ি, দেখতে অনেক সন্দুরী ছিলাম আমি। এই কারনে সব ছেলেরাই আমার দিকে তাকিয়ে থাকতো।
এসব দেখে আমার ভালো লাগতো, কখনো রাগ হতো না। কারন সামনা- সামনি এসে কখনো কেউ কিছু বলতো না,সবাই চুপি চুপি লুকিয়ে লুকিয়ে দেখতো আমাকে।তখন তো আর এসব পেম ভালোবাসা বুঝতাম না,ওসব কোন চিন্তাভাবনাও ছিলো না। সেই সব ছেলে গুলোর মাঝে একটা লাজুক ছেলে ছিলো, তার নাম ছিলো রিপন, সে গোপনে লুকিয়ে লুকিয়ে আমাকে দেখতো, কখনো আমার চোখে চোখ পড়লেই লজ্জাই মাথা নিচু করে রাখতো।
এভাবে ১ বছর, ২ বছর, ৩ বছর, ৪ বছর কেটে গেলো চোখের সামনেই। এখন আমি কাল্স টেনে সবে মাএ উঠেছি, নাটক সিনেমা দেখের ফলে পেম ভালোবাসা তখন বুঝতে শিখি। সেই ছেলে গুলোর মধ্য থেকে ২-৩ জনে পেমের অফার ও দেই আমাকে। আমি তাদের কে হা বুলিনি আবার নাও বলিনি ঝুলিয়ে রেখেছিলাম। তারা ৩ জনই আলাদা আলাদা ভাবতো, যে তাদের সাথে আমার পেম রয়েছে। স্কুলের সবাই গোপনে আলোচনা করতো আমার পেম নিয়ে। এত কিছুর মাঝেও সেই লাজুক ছেলেটা এখনো গোপনে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখতো আমাকে, কিন্ত কখনো সামনে এসে কিছু বলার সাহস ছিলো না ।
তার এসব কান্ড আমার ভালই লাগতো, আমার বান্দুবীরা বলতো তোকে মনে হয় ওই লাজুক ছেলেটা চয়েজ করে খুব। আমি একদিন তাকে একা পেয়ে সামনে গিয়ে বললাম, আচ্ছা তুমি কি আমাকে পছন্দ করো, লুকিয়ে লুকিয়ে আমাকে দেখো কেন তুমি। তখন ছেলেটা মাথা নিচু করে বললো তুমি তো বাবুর সাথে পেম করো,( বাবু) মানে আমার কথিত পেমিক। আমি তাকে বললাম তো কি হয়েছে, তুমি পছন্দ করো নাকি সেটা বলো আমাকে। তখন ছেলেটি বললো কি যানেন, তাহলে সবাই কি বলবে, তোমাকে সবাই খারাপ মেয়ে বলবে, যে কয়জনের সাথে পেম করো তুমি।
আমি বুঝতে পারলাম ছেলেটা সত্যিই আমাকে মন থেকে পছন্দ করে। কিন্ত ভয়ে বলতে পারছে না, এভাবে ২ মাস কেটে গেলো, এরই মাঝে আমি তার সাথে নিজেই কথা বলার চেষ্টা করতাম, ২ মাস পরে আস্তে আস্তে তার লজ্জা কেটে গেলো। অনেকটাই ফি হয়ে গেলো, তার সাথে আমার পেমের সম্পক শুরু হতে থাকলো। তার সাথে মিশে দেখলাম, তার মন কত পরিস্কার,পবিএ,সন্দুর একটা মনের মানুষ। এভাবে আরো ৬ মাস পেরিয়ে গেলো, আমাদের এস এস সি পরিক্ষা হয়ে গেলো।
রিপন চলে গেল শহরের কলেজে পড়তে, আর আমি থানার কলেজে পড়তে শুরু করলাম। এর কারনে আমাদের মাঝে একটা দূরত্ব তৈরি হয়ে গেলো। কলেজে আসার ৩ মাস পরে কলেজের এক বড় ভাইরের সাথে আমার একটা সম্পক তৈরি হলো( পেম নই)। রিপনের সাথে শুধু মাএ মোবাইলে কথা হতো,দেখা হতো অনেক দিন পর পর। কলেজের সেই ভাইটা আমাকে চয়েজ করতো, কিন্তু আমি তাকে বলেছিলাম আমি রিপনকে ভালোবাসি।
1 Comments
ভালো লাগল
ReplyDelete