Header Ads Widget

আবাসিক হোটেলের পতিতার সাথে হুজুরের বিয়ে কিন্তু কিভাবে | Residential hotel prostitutes

 



একটা আবাসিক হোটেলের পতিতা মেয়েকে বিয়ে করলো মসজিদের হুজুর । কি  শুনে অবাক হচ্ছেন এমন একটি  ঘটনা  ঘটেছে । তো আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের সাথে এই ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করব যে কেন একটা মসজিদের হুজুর আবাসিক হোটেলের পতিতা মেয়েটিকে বিয়ে করেছিল ।



শহরের পাশে একটা বড় মসজিদের একজন হুজুর ছিলেন । তিনি বয়সে যুবক ও অবিবাহিত ছিলেন । তিনি মসজিদে খুতবা দেওয়ার পাশাপাশি সপ্তাহের বিভিন্ন দিনে মসজিদের আশেপাশে মানুষদেরকে ইসলামের দাওয়াত দিতেন সবাইকে ভালো কাজের আহ্বান জানাতেন নামাজ পড়ার জন্য ডাকতেন ।


মসজিদের পাশে কিছু বখাটে ছেলেরা ছিল যারা রাস্তায় বসে শুধু মাত্র মেয়েদেরকে ইভটিজিং করত নেশা করত । এই মসজিদের হুজুর তাদের কাছে গিয়ে তাদেরকে বলতেন যে তোমরা যে কাজগুলো করছো এটা ঠিক না ।তোমরা এগুলো বাদ দিয়ে ইসলামের পথে এসো ভালো কাজ কর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ো আল্লাহ তোমাদের ভালো করবেন ।


এভাবেই হুজুর প্রতিদিন ওই ছেলেগুলোকে ইসলামের দাওয়াত দিতেন । তো এভাবে একদিন দাওয়াত দেওয়ার সময় ওই ছেলেগুলোর মধ্যে থেকে একজন বলে উঠলো এই যে হুজুর আপনি তো প্রতিদিন আমাদেরকে জ্ঞান দেন । আপনার জন্য একটা চ্যালেঞ্জ থাকলো আপনি যদি চ্যালেঞ্জে জয়লাভ করতে পারেন তাহলে আমরা কথা দিলাম আমরা ইসলামের পথে আসব আমরা এগুলো খারাপ কাজ ছেড়ে দেবো আমরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বো ।



তখন যুবক হুজুরটি খুব খুশি হয়ে বললেন ঠিক আছে তোমাদের কি চ্যালেঞ্জ আমি সেই চ্যালেঞ্জ জয় করব তাও যেন তোমরা ইসলামের পথে ফিরে এসো আল্লাহর পথে ফিরে এসো । তখন ওই যুবক ছেলেগুলোর মধ্য থেকে একজন বলে উঠল দেখুন হুজুর এই যে শহরের যে আবাসিক হোটেলটা রয়েছে এই আবাসিক হোটেলে দেহ ব্যবসা হয় ।আর এইখানে একটা সুন্দরী পতিতা আছে । আপনার জন্য চ্যালেঞ্জ হল আপনি যদি এই পতিতা  মেয়েকে ভালো পথে ফিরিয়ে আনতে পারেন এবং আপনি যদি বিয়ে করতে পারেন তাহলে কেবল আমরা ইসলামের পথে ফিরে আসবো ভালোর পথে ফিরে আসব আপনি কি এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে রাজি আছেন ।



যুবকদের কাছ থেকে এমন ধরনের একটা কথা শুনে হুজুর কিছুটা স্তব্ধ হয়ে গেল কিছুটা নিশ্চুপ হয়ে গেল যে এই বখাটে ছেলেগুলো হুজুরকে এমন একটা চ্যালেঞ্জ দিল যা জয় করা খুবই কষ্টসাধ্য । তখন যুবক ছেলেগুলো  হেসে হুজুরকে বলল কি হুজুর চ্যালেঞ্জ নিতে ভয় পাচ্ছেন । আপনি কি তাহলে এই সামান্য চ্যালেঞ্জটা জয় করতে পারবেন না একটা পতিতা মেয়েকে ইসলামের পথে ফিরিয়ে নিয়ে বিয়ে করতে পারবেন না ।



হুজুর তখন মনে মনে সংকল্প করলেন যে তাকে এই চ্যালেঞ্জটা জয় করতেই হবে ।তখন ওই হুজুর যুবকটি বখাটে ছেলেগুলোর উদ্দেশ্যে বলল ঠিক আছে তোমরা আমাকে চ্যালেঞ্জ দিয়েছো আমি চ্যালেঞ্জটা গ্রহণ করলাম । তোমরা আমাকে একটা মাস  সময় দাও আমি চ্যালেঞ্জ জয় করে দেখাবো ।তবে তোমরা যে আমাকে কথা দিয়েছো সেটা কিন্তু তোমাদের পালন করতে হবে সেটা যেন মনে থাকে । তখন বখাটে ছেলেগুলো হেসে হেসে বলল ঠিক আছে হুজুর আপনি আগে চ্যালেঞ্জটা জয় করে দেখান আমরা ওয়াদা পালন করব ।



এই ঘটনার পরের দিন থেকে যুবক হুজুরটি ওই আবাসিক হোটেলে যাওয়া শুরু করল এবং ওই সুন্দরী পতিতার সাথে দেখা করলো । এভাবে যুবক হুজুরকে প্রতিদিন ওই আবাসিক হোটেলে যায় এবং ওই পতিতা মেয়ের সাথে দেখা করে ।



এ অবস্থায় ওই বখাটে ছেলেগুলো কি করলো তখন ওই এলাকার যারা গণ্যমান্য ব্যক্তি ছিল তাদেরকে গিয়ে বলল যে ছি ছি আপনারা মসজিদে কেমন হুজুর রেখেছেন যে হুজুর ওই আবাসিক হোটেলে যায় আর পতিতা মেয়েদের সাথে সময় কাটায় ছি ছি ছি ছি । বখাটে ছেলেগুলো ওই গণ্য গণ্য মানুষদেরকে ডেকে এনে সরাসরি প্রমাণ দেখালো যে হুজুর প্রতিদিন আবাসিক হোটেলে পতিতা মেয়ের  কাছে যায় ।


হুজুর যখন প্রতিদিনের নেয় আবাসিক হোটেল থেকে পতিতা মেয়ের কাছ থেকে বের হয়ে আসলো তখন ওই গণ্যমান্য ব্যক্তিরা হুজুরকে ঘিরে ধরল এবং বলল  হুজুর ছি ছি আপনি এত নোংরা একটা কাজ করছেন আপনি আবাসিক হোটেলে পতিতা মেয়েদের সাথে সময় কাটাচ্ছেন । আপনি তো আমাদের মান-সম্মান নষ্ট করে দিলেন আপনি তো ইসলামটাকে শেষ করে দিলেন । তখন ওই যুবক হুজুরটি গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কে উদ্দেশ্য করে বললেন যে প্লিজ আপনারা আমাকে ভুল বুঝবেন না আমাকে আপনারা  একটা মাস  সময় দেন এরপরে আমি আপনাদেরকে এই ঘটনার বিস্তারিত তথ্য জানাবো ।তখন যদি আপনাদের মনে হয় যে আমি পাপ কাজ করেছি তাহলে আপনারা আমাকে পাথর নিক্ষেপ করে মেরে ফেলবেন আমার কোন আপেক্ষা থাকবেনা  ।হুজুরের কাছ থেকে এমন কথা শুনে গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বলল ঠিক আছে হুজুর আমরা আপনাকে সম্মান করি তার জন্য একমাস সময় দিলাম ।আপনার এই আবাসিক হোটেলে যাওয়া এবং পতিতা মেয়েদের সাথে সময় কাটানোর কি রহস্য অবশ্যই আমরা শুনবো ।




এভাবে হুজুর প্রতিদিন ওই সুন্দরী মেয়ের কাছে আবাসিক হোটেলে যাওয়া শুরু করল । হুজুর ওই মেয়েটির কাছে যেয়ে ইসলামের বিষয়গুলো বোঝা তো এবং তাকে ভালোর পথে ফিরে আসার জন্য বোঝা তো এবং হুজুর ঐ মেয়েটিকে বিয়ে করবে এই বিষয়টাও বোঝাতো । এভাবে দীর্ঘ এক মাস একটানা যখন ওই হুজুরটি পতিতা  মেয়ের সাথে সময় কাটালো এতে করে পতিতা সুন্দরী মেয়েটিও হুজুরের প্রতি দুর্বল হতে থাকে এবং হুজুরের কথা শুনতে থাকে এবং পতিতা মেয়ে  অনুভব করে যে একজন হুজুর মানুষ কতটা ভালো হতে পারে কত সুন্দর তার ব্যবহার হতে পারে ।




পতিতা ঐ মেয়েটি তার জীবনে খারাপ মানুষদেরকেই দেখেছে যে যে মানুষগুলো তার কাছে এসেছে সবাই তার দেহকেই ভোগ করেছে কিন্তু এই হুজুর ব্যতিক্রম দীর্ঘ একটা মাস টানা  হোটেল রুমে এসে পতিতার সাথে সময় কাটেছে কিন্তু কখনোই মেয়েটির দিকে  তাকিয়ে চোখে চোখ রেখে কখনোই কথা বলেননি হুজুরের এমন সুন্দর এবং অমায়িক ব্যবহার দেখে ইসলামের সুমহান কথাগুলো শুনে দীর্ঘ এক মাস হুজুরের এমন পরিশ্রমের কারণে অবশেষে সেই সুন্দরী পতিতা মেয়েটি আবাসিক হোটেলের কাজ ছেড়ে দিয়ে হুজুরের সাথে বিয়ে বসতে রাজি হয় ।



হুজুর যখন সেই সুন্দরী পতিতা মেয়েকে বিয়ে করলো ।তখন ওই বখাটে যুবকরা এলাকায় ছড়িয়ে দিল যে ছি ছি ছি ছি ছি একটা মসজিদের ইমাম আবাসিক হোটেলের পতিতা মেয়েকে বিয়ে করেছে একে সবাই পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করুন । বখাটে যুবকদের এমন কথা শুনে ওই এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এবার আজ চুপ থাকতে পারলেন না তারা রেগে গিয়ে বললেন যে হুজুর তো এবার সীমা সেরে গেছে ।হোটেলের পতিতা মেয়েকে বিয়ে করেছে একে তো পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করতে হবে ।তখন সবাই এসে হুজুরের বাসা ঘেরাও করলো এবং বলল হুজুর বেরিয়ে আসুন আমরা আপনার বিচার করব ।



তখন হুজুর সবার সামনে আসলো এবং বলল আজকে আমি আপনাদের এই ঘটনার বিস্তারিত বলবো এরপরে যদি আপনাদের মনে হয় আমি পাপ কাজ করেছি তাহলে আপনার আমাকে এখানেই পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করবেন। হুজুর তখন বলল যে আমি এই বখাটে ছেলেদেরকে ইসলামের দাওয়াত দিতাম তারা আমাকে একটা চ্যালেঞ্জ দিল যে আমি যদি ওই আবাসিক হোটেলের এই সুন্দরী মেয়েকে ইসলামিক বিধান এনে বিয়ে করতে পারি তাকে পাপের জীবন থেকে ফেরাতে পারে তাহলে তারাও বখাটেপনা ছেড়ে ইসলাম ধর্ম পালন করবে এবং ইসলামের পথে চলবে ।আমি আমার চ্যালেঞ্জের জয় লাভ করেছি আমি একটা পতিতা মেয়েকে পায়ের  জীবন থেকে ফিরিয়ে এনে ইসলামিক নিয়মে বিয়ে করে নতুন জীবন দান করেছি ।



এখন এলাকার মুরুব্বীরা গণ্যমান্য ব্যক্তিরা আমার এই কাজ যদি পাপ হয়ে থাকে আমি যদি কোন জঘন্য পাপ করে থাকি তাহলে আমাকে এখানে পাথর নিক্ষেপ করে আপনার হত্যা করতে পারেন । তখন এমন ঘটনা শুনে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অবাক হয়ে গেল যে একটা হুজুর ইসলামের জন্য মানুষকে হেদায়েতের জন্য কত বড় রিক্স নিয়ে কাজ করেছে ।



একটা আবাসিক হোটেলের পতিতা মেয়েকে বিয়ে করেছে শুধুমাত্র ইসলামের জন্য । তখন গণ্যমানও  ব্যক্তিরা  বলল হুজুর আমাদেরকে ক্ষমা করে দিবেন আমরা আপনাকে ভুল বুঝেছিলাম আপনি এত বড় একটা উত্তম কাজ করেছেন এর জন্য আমরা আপনাকে পুরস্কৃত করব ।



এই ঘটনা থেকে একটি বিষয়ে আমরা শিখতে পারি সেটা হচ্ছে আপনি যখন কোন ভাল কাজ করবেন তখন কিন্তু মানুষ আপনাকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করবে আপনার কাজের সমালোচনা করবে আপনি অনেক বিপদে সম্মুখীন হবেন ।তবে আপনি যদি এই বাজে কথা এবং বিপদকে মোকাবেলা করে ওই কাজের সফলতা অর্জন করতে পারেন তাহলে কিন্তু পরবর্তীতে আপনি মানুষের কাছে প্রশংসিত হবেন এবং মানুষ আপনাকে সম্মান করবে ভালবাসবে ।

Post a Comment

0 Comments