Header Ads Widget

গ্রামীণ ব্যাংক চাকরির ভাইভা পরীক্ষার প্রস্তুতি | গ্রামীণ ব্যাংকের চাকরির ভাইভা পরীক্ষায় যে ধরনের প্রশ্ন করা হয় | Grameen Bank Job Viva Exam Preparation

 

গ্রামীণ ব্যাংক চাকরির ভাইবা পরীক্ষার  প্রস্তুতি | গ্রামীণ ব্যাংকের চাকরির ভাইবা পরীক্ষায় যে  ধরনের প্রশ্ন করা হয় |


গ্রামীণ ব্যাংক বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠান । আমাদের দেশের অনেক ভাই-বোনেরা এর প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন ।বর্তমান সময়ে অনেকেই এই গ্রামীন ব্যাংক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার জন্য আগ্রহী অনেকেই জানতে চান যে গ্রামীণ ব্যাংক চাকরির ভাইভা পরীক্ষায় কি ধরনের প্রশ্ন করা হয়ে থাকে । অনেকেই বিষয়টা ভেবে ভয় পেয়ে থাকেন যে আমার তো এর আগে কোন প্রতিষ্ঠানে ভাইভা পরীক্ষা দেওয়ার অভিজ্ঞতা নেই সে ক্ষেত্রে আমি কি করবো বা আমাকে কি ধরনের প্রশ্ন করা হবে আমি তো জানিনা ।


ভাইভা পরীক্ষায় যদি আপনি একটু ভালো করতে পারেন তাহলে কিন্তু আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন যে চাকরিটা আপনার হয়ে গেছে ।ভাইভা পরীক্ষাই অনেক সময় খুবই সহজ সহজ কিছু প্রশ্ন করা হয় আবার মাঝে মাঝে কিছু কঠিন বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় । আপনার যদি ভাইভা পরীক্ষা নিয়ে কিছুটা প্রস্তুতি থাকে এবং কিছুটা জানাশোনা থাকে কিছু অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আপনি এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুব সহজেই দিতে পারবেন এবং খুব সুন্দর ভাবে খুব গোছালোভাবে  ।


আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে গ্রামীণ ব্যাংক এর চাকরির ভাইভা পরীক্ষায় কি ধরনের প্রশ্ন করা হয়ে থাকে সে বিষয়ে একটি রিয়েল ভাইবা নিয়ে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করবো আমাদের সাথে শেয়ার করব ।আশা করি যারা নতুন গ্রামীণ ব্যাংকে চাকরি পেতে আগ্রহী আপনারা এখান থেকে সুন্দর একটা ধারণা পেয়ে যাবেন আশা করি আপনারা সবাই বাস্তব জীবনে অর্জন করতে পারবেন । 


*** গ্রামীণ ব্যাংকের একটি রিয়েল ভাইভা প্রস্তুতি  :- 


চাকরি প্রার্থী : আসসালামু আলাইকুম, স্যার আমি কি ভিতরে আসতে পারি ?

ভাইভা বোর্ড :  ওয়ালাইকুম আস সালাম ,জ্বি ভিতরে আসুন বসুন ।


ভাইভা বোর্ড :  আপনার নাম কি ?

চাকরি প্রার্থী : মোঃ শহিদুল ইসলাম সেলিম .।


ভাইভা বোর্ড : আপনার পরিবারে কে কে আছেন ?

চাকরি প্রার্থী : আমার পরিবারে আমার বাবা ও মা এবং আমার ছোট ভাই এবং ছোট বোন  আছে ।


ভাইভা বোর্ড : আপনি কি  বর্তমানে কোন কাজের সাথে যুক্ত আছেন ?

চাকরি প্রার্থী : না স্যার  বর্তমানে আমি কোন কাজের সাথে জড়িত নেই ।পড়াশোনা শেষ করার পরে এটাই আমার চাকরির জন্য পরীক্ষা দেওয়া এবং এটাই আমার প্রথম ভাইভা পরীক্ষা ।





ভাইভা বোর্ড :  আচ্ছা আপনার কি কোন ধারনা আছে ব্যাঙ্কিং  প্রতিষ্ঠান এ কি ধরনের কাজ হয় বা আপনি যে পোস্ট এর জন্য আবেদন করেছেন যে পোস্টটা কি ধরনের কাজ করতে হবে ।

চাকরি প্রার্থী : জি স্যার আমি বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে ব্যাঙ্কিং  প্রতিষ্ঠান এ কি ধরনের কাজ করতে হয় সে বিষয়গুলো ধারণা নেওয়ার চেষ্টা করেছি এবং আমি যে পোস্টটার জন্য আবেদন করেছি সেখানে কি ধরনের কাজ করতে হবে সে বিষয়ে  আমি ধারণা নিয়েছি ।


ভাইভা বোর্ড :  আপনার কি গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠানে কোনো আত্মীয়-স্বজন আছে যে চাকরি করে ।

চাকরি প্রার্থী :  না স্যার  আমার আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে কেউ গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে না তবে আমাদের গ্রামের একজন পরিচিত বড় ভাই আছে তিনি  গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠানে  চাকরি করেন বর্তমানে তিনি খুলনায় পোস্টিং আছেন ।


ভাইভা বোর্ড : আপনি কি মোটরসাইকেল চালাতে পারেন এবং মোটরসাইকেল চালানো ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে ।

চাকরি প্রার্থী :  জি স্যার আমি মোটরসাইকেল চালাতে পারি আমার নিজস্ব মোটরসাইকেল আছে এবং আমার মোটরসাইকেল চালানোর জন্য বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে  ।

ভাইভা বোর্ড : আজকের ভাইভা পরীক্ষা দিতে আসার আগে কি বাংলাদেশের কোন পেপার-পত্রিকা পরে এসেছেন ?

চাকরি প্রার্থী : জি স্যার ,আমি পেপার-পত্রিকা নিয়মিত ভাবে পড়াশোনা করে থাকি ।




ভাইভা বোর্ড : গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতার নাম কি এবং কত সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হয় ?

চাকরি প্রার্থী : গ্রামীণ ব্যাংকের  প্রতিষ্ঠাতা ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস। তিনি ১৯৭৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত করেন ।


ভাইভা বোর্ড :  গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত করার মূল উদ্দেশ্য কি ছিল আপনি কি জানেন ?

চাকরি প্রার্থী : গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত করার মূল উদ্দেশ্য ছিল আমাদের দেশের গরীব অসহায় মানুষদের সহায়তা করার জন্য । মহান মুক্তিযুদ্ধের পর আমাদের দেশের অর্থনৈতিক কাঠামো খুবই দুর্বল হয়ে যায় যার কারণে ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস আমাদের দেশের মানুষের কথা চিন্তা ভাবনা করে তিনি এমন একটি মহৎ প্রতিষ্ঠান স্থাপনের উদ্যোগ নেন ।


ভাইভা বোর্ড : চাকরি হওয়ার ছয় মাস পরে আপনি চাকরি ছেড়ে পালাবেন না তো ?

চাকরি প্রার্থী :  না স্যার  চাকরিটা আমার খুব প্রয়োজন যার কারনে চাকরিটা যদি আমার হয়ে যায় আমি চেষ্টা করব এখান থেকেই আমার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ভালো একটা অবস্থানে নিয়ে যাওয়া নিজেকে।


ভাইভা বোর্ড : কাউকে ঋণ দেওয়ার আগে আপনি কোন বিষয়গুলো সম্পর্কে জানবেন ।

চাকরি প্রার্থী :   কাউকে ঋণ দেওয়ার আগে আমি সেই মানুষটা সম্পর্কে একটা ধারণা নেওয়ার চেষ্টা করব । আমি ওই মানুষটার আশেপাশের মানুষের থেকে তার বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে এবং অতীত সম্পর্কে কিছু তথ্য নেওয়ার চেষ্টা করব এবং তিনি কি কাজের সাথে জড়িত এবং তার ইনকাম সোর্স কি এ বিষয় গুলো জানবো তারপরে যদি আমার কাছে মনে হয় মানুষটি ভালো তাহলে আমি সেই মানুষটিকে ঋণ  দেব ।


ভাইভা বোর্ড : আপনি যে পোস্ট এর জন্য আবেদন করেছেন এই পোষ্টের কিন্তু অনেক প্রেসার নিয়ে কাজ করতে হয় আপনি কি পারবেন নিজেকে মানিয়ে নিতে সব কিছুর সাথে।


চাকরি প্রার্থী :   চাকরিটা আমার খুব দরকার যার কারণে আমি যেকোনো পরিস্থিতিতেই মানিয়ে নিয়ে কাজ করতে পারবো ইনশাআল্লাহ । আর আমি যেহেতু একজন কৃষক পরিবারের  সন্তান যার কারণে আমার বাস্তব কিছু অভিজ্ঞতা রয়েছে কিভাবে কষ্টকে জয় করতে হয় ।


ভাইভা বোর্ড :  ঠিক আছে আপনি এবার আসতে পারেন ।

চাকরি প্রার্থী : ধন্যবাদ ।আসসালামু আলাইকুম স্যার ।


আমরা আপনাদের সাথে একটি রিয়াল ভাইবা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি । আপনাকে যে এমন হুবহু প্রশ্ন করবে  বিষয়টা এমন না ।তবে বেশিরভাগ ভাইভা পরীক্ষা তে  এই ধরনের প্রশ্ন করা হয়ে থাকে । তবে টেনশন করবেন না যে প্রশ্নগুলো করবে খুব টেকনিক্যালি ভাবে সাজানো গোছানো হবে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবেন । 


আপনাদের মনে যদি কোন প্রশ্ন থাকে বা কোন বিষয়ে জানার আগ্রহ থাকে তাহলে আমাদেরকে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানান আমরা চেষ্টা করবো আপনাদের সেই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়ার ইনশাআল্লাহ । 

Post a Comment

0 Comments