Header Ads Widget

বাগমারার ভুতের গল্প । রাতের আধারে বিলে মাছ ধরতে গিয়ে ভূতের কবলে দাদা | The story of the ghost of Bagmara




 জিন ও ভূতের গল্প শুনতে অনেকেরই ভালো লাগে কিন্তু বর্তমান সময়ে আমরা এ ধরনের জিন এবং ভূতের ঘটনাগুলো আর দেখতে পায় না কিন্তু এই বিষয়গুলো কিছু বছর আগেও মানুষেরা দেখতে পেত। আগে  জিন ও ভূতেরা মানুষদেরকে ভয় দেখাতো রাতে আধারে । আগে গ্রাম এলাকায় অনেক গভীর বন জঙ্গল ছিল যার কারণে মানুষদেরকে ভয় দেখানো হতো । কিন্তু বর্তমান সময়ে বন জঙ্গল গুলো কেটে উজার করা হচ্ছে যার কারণে এখন জিন এবং ভূতের ঘটনা দেখা যাই না জিন এবং ভূতের শোনা যায় না ।


তো আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের সাথে একটি ভৌতিক ঘটনা শেয়ার করব যে ঘটনাটি আজ থেকে প্রায় ৬০ বছর আগের ঘটনাটি আমার দাদার সাথে ঘটেছিল যারা ভৌতিক গল্প না শুনতে পছন্দ করেন অবশ্যই ঠিক অবশ্যই ঘটনাটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন আশা করি আপনাদেরকে ভালো লাগবে




এই ঘটনাটি রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের একটি ঘটে যাওয়া ঘটনা এই ঘটনাটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভ করার ৭ বছর আগের একটি ঘটনা ।


আগের সময়ে গ্রাম এলাকায় অনেক গভীর বন জঙ্গল এ ভরা ছিল । তো একদিন আমার দাদা এবং তার চাচাতো ভাই তারা একটা দোকানে বসে গল্প করছিল যে কালকে তারা খুব ভোরবেলা সকালে পাশের  বিলে মাছ ধরতে যাবে। কারণ আগের সময়ে গ্রামের  বিলে প্রচুর পরিমাণ বড় বড় দেশি মাছ পাওয়া যেত । বিশেষ করে ভোর রাতে বেশি মাছ পাওয়া যেত । তাই তারা দুজনে মিলে এই পরিকল্পনা করে তারা খুব ভোর রাতেই দুজনে মিলে বিলে  মাছ ধরতে যাবে ।এই চিন্তা করে তারা যার যার বাড়িতে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করে শুয়ে পড়ে ।  কারণ তখন তো আর  এখনকার মতো মানুষের বিনোদনের জন্য কোন ব্যবস্থা ছিল না । মানুষেরা খাওয়া-দাওয়া করি খুব তাড়াতাড়ি সবাই ঘুমিয়ে পড়তো ।



আমার দাদা  ঘুমের মাঝে সে শুনতে পায় যে তাকে  তার চাচাতো ভাই জানালার পাশে এসে নাম ধরে ডাকছে যে ভাই ওঠ ভোর হয়ে এসেছে আমরা এখন মাছ ধরতে বিলে যাব ।এখন মাছ ধরতে না গেলে সকাল হয়ে যাবে তখন গেলে আর আমরা বেশি বড় বড় মাছ পাবো না । তাই এখনই তুই  বের হও আমরা এখনই রওনা দিব । আমার দাদা তার ওই চাচাতো ভাইয়ের কথা শুনে ঘুম থেকে লাফ দিয়ে ওঠে সে মাছ মারার জন্য যে জিনিসগুলো দরকার সেটা নিয়েই সে রেডি হয় । বাহিরে এসে দাদা তার চাচাতো ভাইয়ের সাথে ওই বিলের দিকে যাওয়ার জন্য রওনা হয় । তার চাচাতো ভাই আগের যাচ্ছে আমার দাদা পিছনে পিছনে যাওয়া শরু করলো ।



দাদা তার সাথে আস্তে আস্তে জঙ্গলের ধার ঘেঁষে হাতে হারিকেন হাঁটা শুরু করল ওই জঙ্গল টা পার হলেই সেই বিল ।  কিছুদূর যাওয়ার পর দাদা খেয়াল করল যে তার চাচাতো ভাই জঙ্গলের ভিতরে চলে যাচ্ছে তখন আমার দাদা জিজ্ঞেস করল যে এই বিলের ধার দিয়ে যাওয়া বাদ দিয়ে তই  জঙ্গলের ভিতরে কেন যাচ্ছিস । তখন দাদার ওই চাচাতো ভাই বলল যে জঙ্গলের ভিতর দিয়ে গেলে শর্টকাট রাস্তা এদিক দিয়ে গেলে খুব তাড়াতাড়ি বিলে যাওয়া যাবে ।দাদা তার কথা শুনে জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে যাওয়া শুরু করলো । জঙ্গলের ভেতরে কিছু দূর  যাওয়ার পর দাদা দেখল যে তার চাচাতো ভাই একবারে অন্য রাস্তা দিয়ে জঙ্গলের গভীরে যাওয়ার চেষ্টা করছে । তখন দাদার মনে একটা ভয় কাজ করল ঘটনা ,কারণ তখন চারিদিকে অন্ধকার আর চাচাতো ভাই ভুল রাস্তায় যাচ্ছে ।



তখন দাদা আর সামনে গেল না থমকে দাঁড়িয়ে গেল এবং তার মনে একটা ভয় হলো যে এটা তার চাচাত ভাই নয় এটা অন্য কেউ তাই দাদা আর এক মুহূর্ত দেরি না করে পিছনে ফিরে দৌড় শুরু করল এবং এক দোড়েই বাড়ি চলে আসলো । তখন দাদা আর সামনে গেল না থমকে দাঁড়িয়ে গেল এবং তার মনে একটা ভয় হলো যে এটা তার চাচাত ভাই নয় এটা অন্য কেউ তাই দাদা আর এক মুহূর্ত দেরি না করে পিছনে ফিরে দৌড় শুরু করল এবং বাড়ি চলে আসলো তখন দাদা আর সামনে গেল না থমকে দাঁড়িয়ে গেল এবং তার মনে একটা ভয় হলো যে এটা তার চাচাত ভাই নয় এটা অন্য কেউ তাই দাদা আর এক মুহূর্ত দেরি না করে পিছনে ফিরে দৌড় শুরু করল এবং বাড়ি চলে আসলো । বাড়িতে এসে এ বিষয়টা দাদা কারো সাথে শেয়ার করলো না নিজে নিজে আবার তার ঘরে গিয়ে শুয়ে পরলো ।



কিন্তু দাদার চোখে ঘুম নেই কারণ তার বারবার সেই ভয়াবহ মুহূর্তের কথা মনে হচ্ছিল । এভাবে কিছুক্ষন সময় কাটার পর তার জানালায় আবারো  দাদার নাম ধরে কেউ ডাকছে যে ভাই উঠ ভোর হয়ে গেল এখন মাছ ধরতে যেতে হবে । এখন যদি মাছ ধরতে না যায় তাহলে সূর্য উঠে যাবে আমরা বিলে  গেলে আর মাছ পাবো না ।



দাদা তখন ভয় পেয়ে গেল যে এটা আবার কে  এলো  । দাদা ভয় পেলো তখন দাদা বাড়ির সবাই ডাকলো  এবং তাদেরকে নিয়ে তার জানালার কাছে গিয়ে দেখল তার ওই চাচাতো ভাই দাঁড়িয়ে আছে । তখন দাদা সবার কাছে দাদার সাথে একটু  আগে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি শেয়ার করলো ।



দাদার মুখে এমন ঘটনা শুনে দাদার বাবা বলল যে এর আগে তোকে যে ডাকতে এসেছিল এবং জঙ্গলে নিয়ে যেতে চেয়েছিল ওইটা আসলে ভূত ছিল ওই ভূত তোর চাচাতো ভাইয়ের রূপ ধরে এসে ছিল কিন্তু তুই তাও বুঝতে পারিস নি । ভাগ্য ভালো যে তুই গভীর জঙ্গলে যাওয়ার আগে বুঝতে পেরেছিস তুই যদি বুঝতে না পেরে তার পিছু পিছু ওই গভীর জঙ্গলের ভিতরে চলে যেতি  তাহলে তোকে ওখানে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলত ওই ভুত । আমাদের ভাগ্য ভালো যে তুই বিষয়টা বুঝতে পেরে বাড়িতে চলে আসতে পেরেছিস ।



দাদার বাবা তখন সবার উদ্দেশ্য করে বলল যে এমন ঘটনা আরো অনেক কয়জনের সাথে ঘটেছে ।কারণ আমরা রাতের বেলা যে কারো সাথে কোন গল্প করি বা কোন পরিকল্পনা করি তখন ঐ ভূতেরা এটা শুনে ওই মানুষের রূপ ধরে ভোর রাতে এসে মানুষকে ডাকে এবং তাদেরকে ওইভাবে গভীর জঙ্গলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে । দুই একজন এভাবে ওই গভীর জঙ্গলে গিয়ে মারা গিয়েছে আবার অনেকে বুঝতে পেরে পালিয়ে এসেছে ।



তাই তোমরা আজকে পর থেকে সবাই সাবধান হয়ে যাবে এই ধরনের কেউ ডাকতে এলে  তার সাথে একাকী যাবে না । আর সব সময় বেশি মানুষ নিয়ে এ ধরনের কাজে যাওয়ার চেষ্টা করবে তাহলে এ ধরনের ভূতের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে ।এই ঘটনার পরে আমার দাদা আর কখনো ওইভাবে ভোররাতে মাছ ধরার জন্য কখনো আর বিলে যায়নি ।মাছ ধরতে গেলে সকালে দিনের আলোতে গিয়েছিল ।



বিশেষ দ্রষ্টব্য : এই ধরনের ঘটনা আমি আরো আমার গ্রামের কয়েকজন দাদার কাছ থেকে শুনেছি তারা বলেছে যে ওই সময় ওই ভূতেরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন  মানুষের রূপ ধরে এসে মানুষকে এমন বিপদে ফেলতে ।তো যারা তাদের ফাঁদে পা দিত তাদের কে  ভূতেরা গভীর জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে  মেরে ফেলত ।



এই ঘটনাটি আমার দাদার মুখে শোনা একটি ঘটনা ।এ ঘটনাটি যারা শেষ পর্যন্ত শুনলেন আশা করি ভালো লেগেছে আপনাদের । সবাইকে ধন্যবাদ

Post a Comment

0 Comments