প্রাইমারিতে 50 হাজারের শিক্ষক নিয়োগের বিশাল সার্কুলার ২০২৩ । Primary Job Circular 2023

 

দেশে দিন দিন বেকারের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে কিন্তু সেই অনুযায়ী চাকরির ব্যবস্থা হচ্ছে না । বেকার ভাই-বোনদের জন্য বিশাল সুখবর নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয় তারা জানিয়েছে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে তারা বিশাল পদ সংখ্যার একটা সার্কুলার পাবলিস্ট করবে বলে একটা খবর শোনা যাচ্ছে ।  কারণ সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রাইমারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখনো অনেক পদ শূন্য রয়েছে যার কারণে একটা বিশাল আকারের নিয়োগ সার্কুলার খুবই জরুরী। বেকারত্বের এই হাহাকার অবস্থা  নিয়ে আমরা লক্ষ লক্ষ শিক্ষিত বেকার ভাই ও বোনেরা অসহায় জীবন যাপন করছি  | 

সাম্প্রতিক সময়ে যে নিয়োগ হয়ে গেল সেখানে প্রথম অবস্থায় শোনা গিয়েছিল যে ৩২ হাজার এর সার্কুলার হলেও পরবর্তীতে ৫৮ হাজার নিয়োগ করার কথা ছিল ।কিন্তু সর্বশেষ আমরা দেখতে পেলাম যে ৩৭ হাজার জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে । যদি ৫৮ হাজার হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হতো তাহলে অনেক শিক্ষিত বেকার ভাই-বোনদের ভাগ্যের চাকা ঘুরে যেত। যাই হোক দুর্ভাগ্যবশত সেটা সম্ভব হয়নি যার কারণে আবারো আমরা ২০২৩ সালে একটা বিশাল বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পেতে যাচ্ছি । যেটার মাধ্যমে আমাদের দেশের অনেক বেকার ভাই-বোনদের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে এবং কিছুটা হলে বেকার সমস্যার সমাধান ঘটবে ।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক সূত্রে জানা যায় তারা ২০২৫ সালের মধ্যে প্রায় এক লক্ষ শিক্ষক নিয়োগ করবে প্রাথমিকে।  যার মধ্যে তারা ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি শেষের দিকেই ৫০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের জন্য সার্কুলার পাবলিস্ট করবে খবরটা অবশ্যই বেকার ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য খুশির একটি সংবাদ। এই সার্কুলারের মাধ্যমে অনেকেরই কর্মসংস্থানের একটা ব্যবস্থা হবে বেকার যে তকমা ছিল সেটা দূর হবে ।

এই পঞ্চাশ হাজার বিশাল সার্কুলার দেখে আসলে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের এতটা খুশি হওয়ার কিছু নেই । যাদের কোঠা আছে আলহামদুলিল্লাহ তাদের জন্য এটা বিরাট খুশির সংবাদ । যদি ৫০ হাজারের  নিয়োগের জন্য সার্কুলার দেওয়া হয় তাহলে সেখানে দেখা যাচ্ছে কোঠা খেয়ে নেবে ৪০ হাজার আর সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য থাকবে ১০ হাজার । আমরা এই কোঠা  সিস্টেমটা  বিগত সকল প্রাইমারি সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা গুলোতে দেখেছি । যেখানে প্রায় ৬০পার্সেন্ট মহিলা কোটা এবং ২০ পার্সেন্ট পোষ্য কোটায়  মোট  ৮০ পার্সেন্ট কোঠার  সিস্টেম চালু রয়েছে আমাদের দেশে । যার কারণে আমাদের  মত সাধারণ ছাত্রছাত্রী যাদের কোন কোঠা নেই তাদের জন্য কিন্তু প্রাইমারিতে চাকরি পাওয়া অনেক কঠিন একটি বিষয় । যাদের পরিবারে একজন সরকারি চাকরিজীবী রয়েছে তাদের পরিবার স্বাবলম্বী হয়েছে । যাদের পরিবারের কোন চাকরিজীবী নিয়ে সরকারের উচিত তাদের পরিবারে চাকরি গুলো দেওয়ার । কিন্তু প্রাইমারিতে আমরা কি দেখি যে ২০পার্সেন্ট পোষ্য কোটা রাখা হয় । 

 আমাদের মত যারা সাধারণ কোঠা বিহীন বেকার ছাত্র ছাত্রী  সবার একটাই দাবি যেন প্রাথমিকে কোঠার সিস্টেমটা বাতিল করা হয় এবং মেধার মাধ্যমে যেন এ নিয়োগ পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হয় এটাই আমাদের চাওয়া এটাই আমাদের কাম্য সরকারের কাছে ।