Header Ads Widget

কম দামে খাঁটি ও ভেজালমুক্ত মধু কেনার সহজ উপায় | জেনে রাখুন কাজে লাগবে bd pure honey

 

কম দামে খাঁটি ও ভেজালমুক্ত মধু কেনার সহজ উপায়  | জেনে রাখুন কাজে লাগবে  bd pure honey


আমরা সবাই জানি মধু অত্যান্ত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি খাবার ।মধুতে প্রচুর পরিমাণে মানব শরীরের জন্য উপকারী উপাদান বিদ্যমান । আপনি একজন সুস্থ মানুষ আপনি যদি নিয়মিত মধু সেবন করতে পারেন তাহলে আপনি এবং আপনার শরীর ফিট থাকবে  ।আবার আপনি যদি একজন অসুস্থ মানুষ হন আপনি যদি নিয়মিত মধু সেবন করতে পারেন তাহলে আপনি এবং আপনার শরীর সুস্থ হয়ে যাবে আপনি শারীরিকভাবে সুস্থ হয়ে যাবেন আপনি মানসিকভাবে সুস্থ হয়ে যাবেন । কিন্তু বর্তমান সময়ে  মধুর যে দাম যার কারণে আমাদের দেশের মানুষের পক্ষে এই মধু নিয়মিত খাওয়া সম্ভব হয় না কারণ আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষেই দরিদ্র  প্রকৃতির । তার পরেও আমরা যখন আমাদের শারীরিক সুস্থতার জন্য মধু খাওয়ার চিন্তাভাবনা করে মধু কিনতে চাই । 



বাজারে অনেক ধরনের মধু  পাওয়া যায় কিন্তু সেগুলোতে কেমিক্যাল ব্যবহার করা ভেজাল ব্যবহার করা হয়ে থাকে । আমরা টাকা দিয়ে মধু কিনে  নিয়ম করে মধু খাচ্ছি কিন্তু মধুতে ভেজাল এর ব্যবহার থাকার  কারণে আমাদের শরীরের জন্য উপকারী সাধন করতে পারছে না বরং উল্টা ভেজাল মধু  ব্যবহার করার কারণে আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতি সাধন করছে ।



 আজকের পোস্ট এ আমরা আলোচনা করব যে আপনি খাঁটি মধু কোথায় পাবেন । কোথা থেকে কিনবেন, কিভাবে সংরক্ষণ করবেন । এই বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আকারে কিছু আলোচনা করা হবে আশা করি সবাই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন ।


খাঁটি ভেজালমুক্ত মধু পাওয়া সহজ উপায় :- 



বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে এমন একটা অবস্থানে চলে গেছে যে আপনি একটা পণ্য  কিনবেন বা আপনি একটা খাদ্যদ্রব্য কিনবেন । আপনি কি বলতে পারবেন যেটার মধ্যে ভেজাল নেই কারণ আমাদের সবখানে ভেজালে পরিপূর্ণ । সেটা যেকোন পূর্ণ হোক না কেন ভেজাল আর ভেজাল । এখন হয়তো অনেকে মনে করেন যে আমি ভাল ব্র্যান্ডের কোন দোকান থেকে বা কোন প্রতিষ্ঠান থেকে বেশি দামি মধু কিনবো তাহলে তো এটা ১০০% পিওর এবং ভালো ভেজালমুক্ত হবে । হ্যাঁ আমিও সেটা বলছি যে ভালো ব্যান্ডের মধু গুলো অবশ্যই খাঁটি এবং পিওর হয় । কারণ তারা এগুলো সংগ্রহ করে সরাসরি একদম খামারিদের কাছ থেকে একদম পিওর ভাবে তাই তাদের পণ্যে কোন ভেজাল নেই । 

কিন্তু 



 এখানে একটা বিষয় রয়েছে টেলিভিশনের খবরে দেখেছি ,নিউস পেপারে দেখেছি যে আমাদের দেশে কিছু অসাধু লোক তারা কি করে জানেন ? তারা ভালো  প্রতিষ্ঠানের  ভালো ব্যান্ডের  ( সিল প্যাকেট নকল করে তৈরি করে )একদম হবহু । তারপর তারা ওই সব প্যাকেট ব্যবহার করে সেখানে ভেজাল পণ্য প্যাকেটজাত করে  মার্কেটে সরবরাহ করে । এখন আপনি মার্কেটে গেলেন মধু কিনার জন্য মার্কেটে গিয়ে দেখলেন দোকানে সাজানো রয়েছে হরেক রকমের মধু । 



আপনি দেখলেন একটা ভালো ব্র্যান্ডের মধু কারণ এ মধু এর আগেও আপনি খেয়েছেন । আপনি শিওর হয়েছেন  যে এই ব্যান্ডের মত ভাল হয় । তাই আপনি সেই মধুটি ক্রয় করলেন কিন্তু এই মধুটি ওই অসাধু ভেজাল চক্রের তাদের বানানো সেখানে তারা ব্যবহার করছে ভালো ব্যান্ডের মধুর সিল ও প্যাকেট কিন্তু তারা ভিতরে দিয়েছে ভেজাল মধু । কিন্তু আপনি তো আর সেটা জানেন না আপনি এটা ক্রয় করে নিয়ে এসে খাওয়া শুরু করলেন কিন্তু আপনি কোন ফলাফল পাচ্ছেন না এমন ঘটনা কিন্তু অনেকের সাথে ঘটছে ।



এই ধরনের কিছু ঘটনার প্রেক্ষিতে আমাদের বর্তমান সময়ে এখন ভাল প্রতিষ্ঠান ব্র্যান্ডের উপর মানুষের বিশ্বাস টা হারিয়ে গেছে । মানুষ এখন বাজারে গেলে দ্বিধায়  পড়ে যায় । বাজারে কোন কিছু কিনতে গেলে যে আমি যে পণ্যটি কিনবো সেটা কি আসল না নকল পণ্য । কারণ পন্যটি হাতে নিয়ে দেখার বা বুঝার উপায় নেই যে এটা আসল প্রতিষ্ঠানের পণ্য না কোন ভেজাল প্রতিষ্ঠানের পণ্য । কিছু অসাধু শ্রেণীর মানুষের জন্য আমরা যারা সাধারন মানুষ আমরা যারা ক্রেতা আমরা যারা  ভোক্তা আমারা  তো বিপদে পড়ে যায় ।



যাই হোক অবশ্যই যেসব প্রতিষ্ঠান ব্র্যান্ডের যাদের অনেক নামডাক আছে তারা অবশ্যই ভালোমানের খাঁটি মধু সাপ্লাই দেয় তাদের থেকে যদি আপনি মধু সংগ্রহ করেন তাহলে অবশ্যই আপনি ভালো পণ্য পাবেন ।  আপনি তাদেরকে বেশি দাম দেবে  তারা আপনাকে ভালো পণ্য দিবে । কিন্তু আপনি যখন ফুটপাত থেকে বা নতুন কোন ব্র্যান্ডের মধু কিনবেন সেখানে কিন্তু আপনি অনেক কম দামে মধু পাবেন কিন্তু সেটা ভেজাল পাবেন ।


কম দামে খাঁটি ভেজালমুক্ত মধু পাওয়া সহজ উপায় :- 

এখন কথা হল আপনি কম দামে খাঁটি ভেজালমুক্ত মধু কোথায় পাবেন । আপনি যদি একদম পিওর খাঁটি ভেজালমুক্ত মধু সংগ্রহ করতে চান তাহলে আপনাকে যা করতে হবে :
আপনি নিজে একটু কষ্ট করে একটা দিন সময় নষ্ট করে আপনি সরাসরি কোনো খামারি কাছে চলে যান বা আপনার এলাকায় যারা মৌমাছির চাক থেকে মধু সংগ্রহ করে তাদের কাছে চলে যাবেন । তারা যখন সরাসরি মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ করবে আপনি তাদের সেখানে দাঁড়িয়ে থেকে সেই মধুর তাদের থেকে ক্রয় করুন । তাহলে দেখবেন আপনি একদম পিওর ভেজাল মুক্ত মধু পাবেন । আপনি যখন তাদের কাছ থেকে সরাসরি গিয়ে মধু কিনবেন তখন কিন্তু বাজারের মধুর থেকে আপনি তাদের কাছে কিন্তু কম দামের মধ্যে পাবেন এবং খাঁটি মধু পাবেন এটা ১০০% নিশ্চিত ।



অনেক কম দামেই পাবেন । আপনি সেখান থেকে ৪ বা ৫ কেজি মধু ক্রয় করে নিয়ে আসেন । বাড়িতে নিয়ে এসে আপনি একটি পাত্রে সংরক্ষণ করে রেখেদিলেন । মধু যত্ন করে রেখে দিলে কিন্তু নষ্ট হয় না অনেক দিন সংরক্ষণ করা যাই। এটা যেহেতু একদম নির্ভেজাল প্রাকৃতিক এবং পিওর খাঁটি মধু আপনি অনেকদিন আপনার বাড়িতে সংগ্রহ করে রাখতে পারবেন আপনার প্রয়োজন মত আপনি সেখান থেকে নিয়ম করে মধু খাবেন ।




এখন হয়তো অনেকেই বলতে পারেন যে যারা শহরে বসবাস করে তারা কিভাবে খামারিদের দেখা পাবে  বা যারা গ্রামে গ্রামে মৌচাক সংগ্রহ করে মধু সংগ্রহ করে তাদের দেখা কোথায় পাবে ।  আমি তাদের বলতে চাই যারা শহরে বসবাস করে চাকরিজীবী তাহলে তো অবশ্যই গ্রামের বাড়ি রয়েছে । যাদের গ্রামে গ্রামের বাড়ি রয়েছে তারা অবশ্যই ছুটিতে যখন বাড়িতে আসবেন । তখন আপনাদের এলাকায় যারা মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ করে তাদের সাথে কথা বলে তারা যখন মৌচাকে মধু সংগ্রহ করতে যাবেন । আপনিও  ২ ঘণ্টা সময় নষ্ট করে তার সাথে সরাসরি মৌচাকের কাছে যান এবং নিজ চোখে তাদের মধু সংগ্রহ করা দেখুন এবং সেখান থেকে সরাসরি ৩ থেকে৫কেজি সংগ্রহ মধু  কিনে নিন ।


 তাহলে দেখবেন আপনি একদম  খাঁটি মধু পাচ্ছেন এবং বাজারের দাম থেকে অনেক কম দামে ।  আপনি যখন এই খাঁটি মধু সেবন করবেন নিয়মিত তখন অবশ্যই আপনি  সঠিক ফলাফল পাবেন ।



আর যাদের শহরেই  বাসা শহরে চাকরি করেন যাদের  গ্রামে বাড়ি নেই তারা কি করবেন ।  তারা যে কাজটা করতে পারেন আপনারা একটা দিন অফিস থেকে ছুটি নিয়ে বা ছুটির দিনে আপনারা গ্রাম এলাকায় চলে আসুন বা যেখানে মোমাছির খামার রয়েছে মধু চাষ করা হয় সেখানে সরাসরি চলে আসেন ।এসে সেখান থেকে নিয়ে চোখে দেখে খাঁটি মধু ভেজাল মধু সংগ্রহ করুন । তারপরে বাড়িতে নিয়ে যে একটা পাত্রে সংরক্ষণ করে রেখে দিন ।আপনি যদি একটা দিন সময় ব্যয় করে ৩  কেজি ৫ কেজি মধু কিনে রেখে দেন । আপনার সারাবছর চলে যাবে নিশ্চিত হতে পারবেন এবং যে আপনি যেই জিনিসটা সেবন করছে সেটা ১০০% খাঁটি মধু  সেবন করবেন অবশ্যই আপনার শরীরের পক্ষে উপকার হবে । আর আপনি কিন্তু বাজার থেকে অনেক কম দামে তাদের থেকে মধু ক্রয় করতে পারবেন ।


কেমন কম দামে মধু কিনতে পারবেন একটু বিস্তারিত জানুনঃ

এখানে একটা বিষয় বলে রাখি যে আপনি যেহেতু শহরে থাকেন আপনি মৌচাকের খামারে যাবেন বা গ্রামে যাবেন সেক্ষেত্রে আপনার গাড়ি ভাড়া লাগবে । অনলাইনে যদি এক কেজি মধুর দাম ১০০০ টাকা হয় । আপনি সেটা তাদের কাছ থেকে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় ক্রয় করতে পারবেন । তাহলে এভাবে যদি আপনি ৫ কেজি মধু কিনেন তাহলে দেখেন ৫০০ টাকা কেজি হলে ২৫০০ টাকা   আর ৬০০  টাকা কেজি হলে ৩০০০ হাজার টাকা । আপনার ৩০০০ হাজার টাকা  সেভ হয়ে যাচ্ছে আপনার কিন্তু ৩০০০হাজার  টাকা গাড়ি ভাড়া খরচ হবেনা বরং আপনার কিছু টাকা সেভ হবে ।আবার আপনি যদি ৩ কেজি মধু কেনেন তাহলে তিন কেজি মধুর দাম ৬০০ টাকা কেজি হলে ১৮০০  টাকা এতেও আপনার ১২০০ টাকা সেভ হচ্ছে । তাহলে এবার দেখেন আপনি যদি ৫ কেজি মধু কিনেন তাহলে আপনার ২০০০ হাজার টাকা সেভ হচ্ছে আবার আপনি যদি ৩  কেজি মধু কেনেন তাহলে আপনার ১২০০টাকা সেভ  হচ্ছে ।তো আপনি এই টাকা দিয়ে গাড়ি ভাড়া যাওয়া-আসা বাবদ খুব আরামে খরচ করতে পারবেন এবং আপনি  মানুষদের মধু সংগ্রহ করা চিত্রটি নিজ চোখে উপভোগ করতে পারবেন । 


এখন আপনি হয়তো বলতে পারেন যে যদি গ্রাম এলাকায় মধু ৫০০বা  ৬০০ টাকা কেজি হয় তাহলে অনলাইনে ১০০০টাকা বা ১২০০ টাকা কেজি কেন । এ কথার উত্তর হলো ভাই তারা কষ্ট করে গাড়ি ভাড়া করে গ্রাম এলাকায় আসেন তারা বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে মধু সংগ্রহ করে তারপর সেগুলো তারা আবার গাড়ি ভাড়া করে ঢাকা শহরে নিয়ে যায় ।তারপর তাদের প্যাকেজিং খরচ তাদের জনবল খরচ তাদের রুম ভাড়া খরচ তাদের ডেলিভারি খরচ সব মিলিয়ে এই পণ্যের দাম বেশি রাখতে হয় । কারণ তাদের এত সব খরচ করার পরে তো তাদের লাভ করতে হবে তাই না এটাই মূল কারণ । তারা এত কষ্ট করার পরে আপনার কাছে এক কেজি মধু বিক্রি করে যদি কিছু টাকা লাভ না করে তাহলে তাদের ব্যবসা কিভাবে চলবে বলেন |


আর আপনি যদি মনে করেন যে আমার হাতে সময় নেই আমি অনলাইনে অর্ডার করে দিলাম বা রাস্তার ধারের একটা দোকান থেকে মধু কিনে নিলাম এখানে কিন্তু ভেজাল থাকতে পারে এটা কিন্তু আপনি শিওর হতে পারবেননা ।আমাদের দেশের যে অবস্থা যেখানে ভেজালে চারিদিকে পরিপূর্ণ ভেজাল থাকতে পারে তাই যদি আপনি একটু খাঁটি পণ্য খাঁটি মধু পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে একটা দিন কষ্ট করতেই হবে । 


বিশেষ দ্রষ্টব্য:-  আমি আবারো বলছি  অনেক অনলাইন প্রতিষ্ঠান রয়েছে অনেক ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা কিন্তু খাঁটি মধু সাপ্লাই করে থাকে । তবে আপনি যদি তাদের থেকে নিতে পারেন তাহলে তো খুবই ভালো । আপনি ভালো পণ্য পাবেন তারা খাঁটি পণ্য সরবরাহ করে ।



আমার এই পোস্টটি যদি আপনাদের কাছে উপকারী মনে হয় তাহলে অবশ্যই সবার সাথে শেয়ার করে দেবেন । যেন  এই তথ্যগুলো সবাই সবার বাস্তব জীবনে কাজে লাগায় এবং সবাই যেনো খাঁটি মধু সেবন করার মাধ্যমে সবাই উপকৃত হতে পারে ইনশাল্লাহ ।

Post a Comment

0 Comments