Header Ads Widget

ফেসবুকের প্রেম কতটুকু সত্যি হয় দেখুন একটি বাস্তব ঘটনা facebook love story

ফেসবুকের প্রেম কতটুকু সত্যি হয় দেখুন একটি বাস্তব ঘটনা facebook love story


 বর্তমান সময়ে ফেসবুক আমাদের কাছে এমন একটি মাধ্যম হয়ে গেছেন যে আমরা ফেসবুকে না ঢুকলে মনে শান্তি পাই না । মনে হয় আমি কখন থেকে ফেসবুকে ঢুকি নি একটা অশান্তি কাজ করে । ফেসবুকে আমরা এমন ভাবে আটকে গেছি এই  ফেসবুকের এমন নেশা থেকেই আমরা  আমাদের বাস্তবিক প্রেম-ভালোবাসা এই ফেসবুকের মাধ্যমেই গড়ে উঠেছে । অনেক ছেলে মেয়েরা বর্তমান সময়ে ফেসবুকের মাধ্যমেই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলছে ।


আজকের পর্বে আমরা আলোচনা করব এবং আপনাদের একটি বাস্তব ঘটনা দেখানোর চেষ্টা করব যে ফেসবুকের এই প্রেমগুলো কতটুকু সত্য হয় বা এই প্রেমগুলো কতটুকু গ্রহণযোগ্য হয় ।আজকের পর্বে এই বিষয়ে আলোচনা হবে এবং এই বিষয়টি  বিস্তারিত আলোচনার জন্য আপনাদের সাথে একটি ফেসবুকের প্রেমের বাস্তব ঘটনা আপনাদের সাথে তুলে ধরব ।এই ঘটনা থেকে কিন্তু আপনারা একটি বাস্তবিক  ধারণা পেয়ে যাবেন যে ফেসবুকে প্রেম কতটা গ্রহণযোগ্য এবং ফেসবুকে প্রেম কতটা সত্যি হয়ে থাকে ।


মেয়েটির নাম রোজিনা বয়স 22 বছর । রোজিনা  রাজশাহীর একটি স্বনামধন্য কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশোনা করছে । রোজিনা  পড়াশোনার পাশাপাশি ফেসবুকে আসক্ত পড়াশোনার পরে অবসর সময়টুকু রোজিনার ফেসবুক নিয়ে কেটে যায় । রোজিনার  একটা বয় ফ্রেন্ড আছে যে  তৃতীয় শ্রেণীর সরকারি চাকরি করে । রোজিনার সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক প্রায় তিন বছর মোটামুটি ভালো একটি সম্পর্ক । কিন্তু যেহেতু সেই বয়ফ্রেন্ড অনেক দূরে থাকে চাকরি করে যার কারণে রোজিনার সাথে সেভাবে দেখা-সাক্ষাৎ হয় না যার কারণে শুধুমাত্র তাদের মোবাইলে কথা হয় বেশি এই কারণে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও সেটা বেশি গভীর হয় না দূরত্বের কারণে ।আবার ছেলেটি যেহতো চাকরি করে যার কারণে সেইভাবে চাইলে রোজিনার সাথে অনলাইনে তেমন সময় দিতে পারেনা ।


এমন যখন রোজিনার প্রেম কাহিনী চলছিল, ঠিক তখনই ফেসবুকে একদিন হঠাৎ একটা ছেলের সাথে পরিচয় হয়েছে   ছেলেটির নাম মিজান সেই ছেলেটির বয়স ৩০ বছর । মিজান ব্যবসা করে  মিজানের  বাড়ি বরিশাল । সেই প্রথম থেকেই মিজান রোজিনা কে পটানোর চেষ্টা করে অর্থাৎ সে রোজিনাকে  বুঝাতে চায় যে আমি তোমাকে খুবই পছন্দ করি আমি তোমাকে ভালোবাসি আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই ।  মিজান এর  মুখে এই ধরনের কথা শুনতে রোজিনার  ভালোই লাগতো । তাই সে মিজানকে  রোজিনা কিছু বলতো না মিজান প্রত্যেকদিন মেসেজ দিতে  থাকে এ ধরনের ভালোবাসার কথা রোমান্টিক কথা বলে যেত থাকে ।


মিজানের কাছে এ ধরনের কথা রোমান্টিক কথা ভালবাসার কথা শুনতে রোজিনার কখনো খারাপ লাগেনি বরং শুনতে ভালই লাগত তাই কখনো মিজানকে এই ধরনের কথা বলতে বারণ করেনি ।  রোজিনা মিজান কে বলে যে আমার বয় ফ্রেন্ড আছে সে সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে এবং আমার তার সাথে বিয়ে হবে ।এসব শোনেও  মিজান চেষ্টা করে যেতে থাকে যদি রোজিনার মন পাল্টে যাই  এই আশায় । মিজান নিয়িমিত রোমান্টিক কথা বলে রোমান্টিক ভিডিও দিয়ে রোজিনাকে প্রেমে ফেলার চেষ্টা করেতেই  থাকে ।


এভাবেই মিজান এবং রোজিনার কথাবার্তা হতেই থাকে প্রতিদিন  ।মিজান ভালবাসার চেষ্টা করে যাচ্ছে কিন্তু রোজিনা এ বিষয়টা কি এখনো সিরিয়াসলি নেয় না শুধু ভাবে এবং শুনতে ভালোলাগে এভাবেই চলছিল তাদের ঘটনাগুলো | এভাবে দুই তিন মাস কাটানোর পর রোজিনার মনে মিজানের জন্য একটা জায়গা তৈরি হয় ,রোজিনা  ভাবল মিজান আমাকে  এত ভালোবাসে আমার এত খোজ খবর রাখে মিজান মনে হয় অনেক ভালো হবে ।এই ভাবে মিজানের পতি  রোজিনা একটু একটু দুর্বল হওয়া শুরু করে এবং মিজানকে নিয়ে ভাবা শুরু করে  ।


রোজিনা ফেসবুকে নিজের ছবির পাশাপাশি তার বান্ধবীদের ছবি পোস্ট করতো ।তার মধ্যে একটা বান্ধবী ছিল যার নাম লায়লা । লায়লা রোজিনা খুব কাছের বান্ধবী খুব ঘনিষ্ঠ বান্ধবী । মিজান একদিন রোজিনাকে জিজ্ঞেস করে লায়লার বিষয়ে তখন মিজানকে রোজিনা লায়লার বিষয়ে সবকিছু বলে। এরপর রোজিনার অজান্তেই মিজান লায়লাকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠায় এবং লায়লার সাথে  মেসেজে কথা বলা শুরু করে এবং লায়লা কেউ প্রেমে পটানোর চেষ্টা করে । ঠিক রোজিনাকে যেভাবে এতদিন ধরে পটানোর চেষ্টা করছে ।  লায়লার বর্তমানে কোন বয়ফ্রেন্ড ছিল না লায়লা বর্তমানে সিঙ্গেল যার কারণে মিজানের জন্য আরও সুবিধা হল মিজান খুব উৎসাহ নিয়ে  লায়লাকে পটানোর চেষ্টা চালিয়ে যাই  । আর লায়লা জানেন যে রোজিনার মিজান খুব ভালো বন্ধু তাই লায়লা মিজানকে খুব তাড়াতাড়ি বিশ্বাস করে ফেলে এবং আস্তে আস্তে দুর্বল হতে থাকে মিজানের  প্রতি লায়লা ।


এদিকে মিজান প্রতিদিন নিয়ম করে লায়লা সাথেও রোমান্টিকতা জমানো শুরু করলো ।ও দিকে রোজিনার সাথে জমানো শুরু করলো । কিন্তু এই বিষয়টা রোজিনা কিছুতেই বুঝতে পারল না এবং জানতেই পারলো না । রোজিনা  সরল বিশ্বাসে আস্তে আস্তে মিজানের  প্রতি দুর্বল হওয়া শুরু হয়ে যাই  । ওদিকে লায়লা ও কখনোই বুঝতে পারেনি যে  মিজান এত চরিত্রহীন খারাপ প্রকৃতির ছেলে ,যে একসাথে দুই বান্ধবীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে যাচ্ছে ।এখন লায়লা মনে করছে মিজান সত্যি আমাকে ভালোবাসে আবার অপরদিকে রোজিনা মনে পড়ছে যে মিজান সত্যিই আমাকে ভালোবাসে ।


একদিন হঠাৎ করে লায়লা রোজিনাদের বাড়িতে বেড়াতে আসে এবং রাতের বেলা তারা বসে গল্প করছিল যে কার কেমন কি প্রেম চলছে বয়ফ্রেন্ডের কি খবর এসব নিয়ে । তখন রোজিনা বলে আমার তো প্রেম কাহিনী ভালোই চলছে আবার  একটা ছেলের সাথে ফেসবুকে অনেক দিন ধরে পরিচয় তার প্রতি অনেকটা দুর্বল হয়ে গেছি আমার ভালোলাগা কাজ  করছে  তার পতি  আমার প্রেম বেড়ে যাচ্ছে ।এই কথা শুনে লায়লা  বলে আমারও তেমন ঘটনা ঘটেছে আমারও তো ২ মাস থেকে ফেইসবুক এ একটা ছেলের সাথে প্রেম হয়েছে  । কারণ ছেলেটার প্রতি আমি খুবই তাড়াতাড়ি দুর্বল হয়ে গেছি  ছেলেটা অনেক রোমান্টিক অনেক ভালো লাগে আমার । এরপর তারা দুজনেই ফেসবুকে ঢুকে তারপর সেই কাঙ্খিত প্রেমিক মিজান এসএমএস শুরু করে মিজান । মিজান রোজিনা  কেও এসএমএস করছে রোমান্টিক মেসেজ পাঠাচ্ছে রোমান্টিক ভিডিও পাঠাচ্ছি আবার অপরদিকে মিজান লায়লাকে রোমান্টিক ম্যাসেজ পাঠাচ্ছে রোমান্টিক ভিডিও পাঠাচ্ছি ।



তখন লায়লা রোজিনাকে বলে দেখ আমার প্রেমিক আমাকে কি রোমান্টিক সুন্দর ভিডিও পাঠিয়েছে দেখ । তখন রোজিনা মোবাইলটা হাতে নিয়ে দেখে যে এই লায়লার প্রেমিক আর কেউ নয়  সেই তারই প্রেমিক মিজান ।রোজিনা অবাক হয়ে যায় এটা কিভাবে সম্ভব আমি যাকে এতো বিশ্বাস করি আমি তার প্রতি দুর্বল হয়ে যাচ্ছি দিন দিন যাকে এত ভালো মনে করি । সেই ছেলেটাই আমাকে এবং আমার কাছের বান্ধবী দুজনকে একসাথে প্রেমে ফেলে  দুজনের সাথে ইনজয় করছে দুজনকে বিয়ে করবে বলে আশা দিয়েছে  ।



তখন আমি আর চুপ থাকতে পারলাম না লায়লাকে বললাম যে দেখ এই ছেলেটা একসাথে তুই   আর আমাকে কিভাবে বোকা বানিয়েছে আমাদের দুজনাকে প্রেমের ফেলেছে এবং আমাদের সাথে মজা নিচ্ছে তখন লায়লা আমার মোবাইলটা হাতে নিয়ে দেখলে ঘটনা সত্যি ছেলে একটাই কিন্তু তাদের দুই বান্ধবীর সাথে কিভাবে মজা নিচ্ছে ।



তখন লায়লা রোজিনাকে বললো মিজান একটা চরিত্রহীন খারাপ ছেলে আমি বুঝতে পেরেছি । লায়লা বললো  শোন রোজিনা আমি একটা বুদ্ধি করতে চাই ,মিজান যে আমাদের সাথে এমন করলো আর একটা পরীক্ষা করি । রোজিনা মন খারাপ করে  বলে তোর যা খুশি তাই কর ।তখন লায়লা বলে যে শোন আমি মিজান কে বলবো যে আগামী মাসের ২০ তারিখে আমার বাসা ফাঁকা থাকবে , আমার বাসায় মিজানকে আসতে বলব ।তখন দেখবো মিজান কি করে বা কি বলে ।



সেই প্ল্যান  থেকে লায়লা মিজানের কাছে মেসেজ করলো যে দেখো  মিজান  ২০ তারিখে আমাদের বাসা ফাঁকা থাকবে সবাই বেড়াতে যাবে আমি বাড়িতে একা থাকবো ।তোমার হাতে যদি সময় থাকে তুমি আমাদের এখানে চলে আসো আমরা পাশাপাশি পার্সোনাল সময় কাটাবে তাহলে আমাদের প্রেম আরো  গভীর হবে । এই কথা শুনে  মিজান  তো মহাখুশি ।মিজান কোনো কিছু না ভেবেই বললো আমি রাজি তুমি সব প্রস্তুতি করো আমি যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্চি ।



এর কিছুক্ষণ পরে রোজিনা ও মিজানের কাছে মেসেজ করল যে তুমি কি ২০ তারিখে এই দিন আমাদের এখানে আসতে পারবে তাহলে আমার বাসা ফাকা আছে আমরা আরো ঘনিষ্ঠ হতে পারব পার্সোনাল সময় কাটাতে পারব । তুমি যদি আসতে চাও রাজি হও তাহলে আমি ব্যবস্থা করব। মিজান একথা শুনে মহা খুশি বলল ঠিক আছে আমি তোমার সাথে দেখা করবো তোমার সব আশা পুরন করবো আমি রাজি আমি তোমাদের ওখানে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করলাম ।



এই ধরনের মেসেজ দেখে লায়লা বুঝতে পারলো  যে আসলে মিজান কোন প্রকৃতির ছেলে । মিজানের  এমন খারাপ উদ্দেশ্য দেখে লায়লা খুব কষ্ট পেলো  কারন লায়লা মিজানকে সত্যি সত্যি ভালোবেসে ফেলেছিল । কিন্তু মিজান যে কাজটা করলো একসাথে ঘনিষ্ঠ দুই বান্ধবীর সাথে প্রেম করে এটা দেখার পরে কোন মেয়ের পক্ষে কি আর মিজানকে মেনে নেওয়া সম্ভব । লায়লা মিজান কে ভালবাসলেও মিজানের এমন খারাপ চরিত্রের কারণে মিজানকে ফেসবুক থেকে ব্লক করে দিলো  আর কখনোই মিজানের  সাথে লায়লা কথা বলে নি ।




এদিকে রোজিনা ও বুঝতে পারল যে আসলে সেই মিজানের চরিত্র কেমন এবং এতদিন ধরে এই ধরনের মিথ্যা কথা বলে আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছিল । এদিকে রোজিনা ও মিজানকে  ভালোবেসে ফেলেছিল এবং অনেক বিশ্বাস করে ফেলেছিল কিন্তু মিজানের এমন কাজ থেকে রোজিনা খুব কষ্ট পেলাম মনে মনে । এই ঘটনার পর থেকে রোজিনা আর মিজানের সাথে কথা বলে না ।


এই ঘটনা থেকে তাহলে দেখা যায় যে ফেসবুকে আপনি একটা ছেলেকে একটা মেয়েকে কিভাবে বিশ্বাস করবেন । যে ওই  মেয়েটা বা ওই ছেলেটা   আপনার সাথে সত্যি সত্যি প্রেম করছে বা আপনার সাথে প্রেম করে আপনাকে বিয়ে করবে এটা কখনো সম্ভব না । যদি ফেসবুকে ১০০টা প্রেমের ঘটনা ঘটে তাহলে দেখবেন ৯৫% টা  প্রেম  প্রতারণা ধান্দাবাজি মজা নেওয়ার জন্য,টাইম পাস্ করা প্রেম  । ৫ %প্রেম হয়তো  সঠিক হয় খাটি হয় এবং তাদের মধ্যে বিবাহ সংঘটিত হয় । আর  ধরনের মিথ্যা টাইমপাস প্রেমের সম্পর্ক গুলোর  ফলাফল কখনোই ভালো হয় না ।



আপনি একটা সুন্দরী মেয়ে আপনাকে দেখে হাজারো ছেলেই প্রেমের প্রস্তাব দিবে ভালোবাসার স্বপ্ন দেখাবে বিয়ে করার অফার করবে কিন্তু বাস্তবে দেখতে গেলে দেখবেন তারা মন থেকে আপনাকে ভালোবাসে না । একটু খোঁজ নিয়ে দেখবেন ওই ছেলেটা আরও পাঁচটা  দশটা মেয়েকে ওই একই ধরনের কথাই বলছে তাদের কেউ প্রেমে পটানোর জন্য চেষ্টা করছে ।


তাই সবার উচিত এ ধরনের  ফেসবুকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে কষ্ট পাওয়া দুঃখ পাওয়া খুবই হতাশাজনক বিষয় । কারণ এ ধরনের ফেসবুকে প্রেম গুলো বেশিভাগই ভন্ডামি হয় প্রতারণার হয় শুধুমাত্র টাইম পাস করার জন্যই হয় তাই এ ধরনের প্রেম নিয়ে সিরিয়াস হয়ে নিজে কষ্ট পাওয়া ঠিক নয় ।

আর অনলাইনে আপনি কাকে বিশ্বাস করবেন কিভাবে বিশ্বাস করবেন আপনার সাথে কথা বলছে আমার দেখা গেল পাশাপাশি আরও ৫ জনের সাথে কথা বলছে তাহলে আপনি সেই মানুষকে কিভাবে বিশ্বাস করবেন আপনি ছেলে হোন বা মেয়ে হন এটা খুবই কমন সমস্যা তাই এ ধরনের প্রেম থেকে বিরত থাকা সবার জন্যই উচিত |

Post a Comment

0 Comments