Header Ads Widget

প্রাইমারিতে চাকরি পাওয়ার সহজ উপায় । প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ টিপস Easy way to get job in primary


                পরীক্ষা কেন্দ্রের দৃশ্য


আজকের এই পোস্টের খুব সহজ-সরল ভাবে এবং বাস্তব পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে |আশা করি সবাই এই পোস্ট দেখে উপকৃত হবেন ইনশাআল্লাহ |

অনেককেই বলতে শোনা যায় যে প্রাইমারিতে চাকরি পাওয়া নাকি অনেক সহজ ব্যাপার । এই কথা বলার কারণ হলো বাংলাদেশের যে সকল সরকারি চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় তার মধ্যে পদের সংখ্যা হিসেবে প্রাইমারিতে অনেক বেশি সংখ্যক খালি পদে বিশাল  সার্কুলার ছাড়া হয় । আর অন্য জবের ক্ষেত্রে খালি পদের সংখ্যা অনেক কম থাকে এই বিষয়ের উপর ভিত্তি করেই অনেক মানুষ বলে থাকে যে প্রাইমারিতে চাকরি পাওয়া অনেকটাই সহজ এবং সোজা । উদাহরণ হিসেবে বলা যায় এবারের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সেখানে ৩২ হাজার শূন্য পদের বিপরীতে সার্কুলারটি ছাড়া হয় এবং পরবর্তীতে সেটা ৪৫ হাজার  হয়ে যাই  তাহলে বুঝেন প্রাইমারিতে চাকরি পাওয়া কত সহজ । একসাথে ৪৫ হাজার বেকার ছেলে মেয়েরা চাকরি লাভ করবে এবার এই কথার ভিত্তিতেই অনেক মানুষেরই বলে থাকে প্রাইমারিতে চাকরি পাওয়া খুবই সহজ ।


এই ধরনের কথা যারা বলেন মূলত তারা কিন্তু পরীক্ষা দিই না তারা আমাদের আশেপাশের কিছু অভিভাবক শ্রেণীর মানুষ তারাই মূলত এই ধরনের কথা বলে থাকে । প্রাইমারিতে খালি পদের সংখ্যা যেমন বেশি খালি পদের বিপরীতে কিন্তু অনেক মানুষই আবেদন করে থাকে যার কারণে প্রাইমারিতে চাকরি পাওয়াটা অনেক সহজ না ।বিশেষ করে প্রাইমারিতে মেয়েদের ক্ষেত্রে চাকরি পাওয়াটা অনেক সহজ কারণ তারা ৬০ পার্সেন্ট কোঠা পেয়ে থাকে এ ক্ষেত্রে মেয়েদের জন্য খুবই উপযোগী কিন্তু ছেলেদের প্রাইমারিতে চাকরি পাওয়া অনেকটাই কঠিন একটি বিষয় হয়ে দাঁড়ায় ।


তারা শুধু মুখে বলে যে প্রাইমারিতে চাকরি পাওয়া অনেক সহজ কিন্তু বাস্তবে প্র্যাকটিক্যালে হাতে-কলমে প্রাইমারিতে চাকরি পাওয়া অনেক কঠিন অনেক কঠিন অনেক কঠিন । কারণ প্রাইমারি জব এর জন্য এখানে অনেক পরীক্ষার্থী থাকে তাদের মধ্য থেকে যারা এই সর্বোত্তম ভালো ফলাফল করতে পারে মূলত তারাই ফাইনালে ভাবে সিলেক্টেড হয় । 


অনেকে বলে থাকেন প্রাইমারি নিয়োগ পরীক্ষা তে অনেক ধরনের দুর্নীতি হয়ে থাকে । হা সেটা ঠিক আছে অনেক সময় আমরা বিভিন্ন নিউজের মাধ্যমে দেখতে পাই যে বিভিন্ন জায়গায় প্রাইমারি সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার সময় অনেক ধরনের দুর্নীতি হয়ে থাকে । কিন্তু এই দুর্নীতি হয়তো হয় সামান্য পরিমাণে এটা স্বাভাবিক আমাদের দেশের প্রত্যেকটা চাকরির ক্ষেত্রে এই ধরনের হালকা পাতলা কিছু দুর্নীতি ঘটে থাকে ।এটা পরিসংখ্যান হিসেবে দেখতে গেলে দেখা যায় ১০০ভাগের ভিতর ১০ ভাগ হয়তো দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগ হয়ে থাকে । তাহলে দেখেন এখানে আরো ৯০ ভাগ বাকি থাকে তো যারা প্রকৃত মেধাবী তারা কিন্তু এই ৯০ভাগের মধ্যে থেকেই তাদের নিজ যোগ্যতার মাধ্যমে চাকরিটা অর্জন করতে সক্ষম হয় ।


প্রাইমারিতে চাকরি পাওয়ার সহজ উপায় :-


অনেকেই বলে থাকেন যে প্রাইমারিতে মেয়েদের জন্য ৬০ পারসেন্ট কোটা থাকার কারণে মেয়েরা অনেক সুযোগ বেশি পেয়ে থাকে কিন্তু এখানে একটা বিষয় প্রাইমারিতে আগে যেহতো ছিল মেয়েরা এইচএসসি পাশ করলেই আবেদন করতে পারতো কিন্তু বর্তমান সময়ে যেহেতু মেয়েদের ক্ষেত্রেও অনার্স ডিগ্রী সমমান পাস হতে হবে এই নিয়মটা হয়েছে । যার কারণে অনেক মেয়েরাই  অনার্স পাশ করার আগেই বিয়ে হয়ে যায় । তারা নতুন সংসার  কারো আবার বাচ্চা কাচ্চা হয়ে যায় ।তো সংসার এবং বাচ্চাকাচ্চা সামলাতে সামলাতে তারা অনেকেই  কিন্তু অনার্স পাশ করে ফেলেন কিন্তু একটা জব পাওয়ার জন্য  যে পরিমাণ পড়াশোনা করতে হয় যে পরিমাণ প্রস্তুতি নিতে হয় সেই বিষয়গুলো তারা সঠিকভাবে নিতে পারে না । যার ক্ষেত্রে দেখা যায় যখন জবের mcq পরীক্ষা হয় তখন বেশি ভাগ মেয়েরাই ফেল করে আমরা গত নিয়োগে দেখেছি যে কাগজে-কলমে ৬০ পার্সেন্ট মেয়েদের কোঠা থাকলেও ফাইনালে কিন্তু ৬০ পার্সেন্ট মেয়ে পাওয়া যায়নি মানে তারা mcq পরীক্ষাপাশ করতে পারেনি যার ক্ষেত্রে কিন্তু ছেলেদেরকে দিয়ে সেই কোটা পূরণ করেই ফাইনালি ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে ।



              পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরের দৃশ্য


উদাহরন (1): আপনার সাথে একটা ঘটনা শেয়ার করি আমি যখন পরীক্ষা শেষ করে রাজশাহী থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে আসতে ছিলাম ।তখন আমি যে বাস উঠছিলাম তখন দেখলাম যে সেই বাসে প্রায় ১৫-১৬  জন মেয়ে বসা ছিল তারা সবাই প্রাইমারিতে পরীক্ষার্থী ছিল । তারা প্রত্যেকেই বিবাহিত এবং তারা গল্প করছে নিজেদের মধ্যে যে সংসার-সন্তান স্বামী সবকিছু সামলাতে গিয়ে তাদের কোন প্রিপারেশন ঠিকমতো নেয়া হয় নাই |

এখন আবেদন করা ছিল যার কারণে তারা পরীক্ষা দিতে  এসেছেন ।অনেককেই বলতে শোনলাম  বলছে যে ভাগ্যের উপর নির্ভর করে পরীক্ষা দিতে আসছি যেহতো  প্রিপারেশন আমাদের ভালো না সে ক্ষেত্রে আমি সবগুলোতেই দাগাইছি যদি ভাগ্যে থাকে তাহলে পাশ হতে পারে আর না হলে তো ফেল এটা জানতে পারছি ।এই  ধরনের ঘটনা বিবাহিত বেশিভাগই মেয়েদের মধ্যে তাহলে বুঝেন তারা কিভাবে পরীক্ষায় পাস করবে আর তাদের ৬০ পারসেন্ট কোটা থাকলে তাদের কোটা পূরণ হবে কিভাবে ।



উদাহরন (1): আরেকটা ঘটনা আপনার সাথে শেয়ার করি যখন  আমি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য সেন্টারে গেলাম তখন সেখানে দেখলাম অনেক ছেলেরাই তারা বিভিন্ন পেশায় কর্মজীবী অনেকের বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে কেউ কোন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করছেন কেউ কোম্পানিতে চাকরি করছে কেউ ফ্রিল্যান্সিং করছে আবার কেউ সিরিয়াস ভাবে পড়াশোনা করছে । তো যেহেতু আবেদন করা ছিল আর পরীক্ষার দিন ছুটির দিনে সে ক্ষেত্রে তারা পরীক্ষায় অ্যাটেন্ড করার জন্য আসছে যে দেখি কি হয় কিন্তু তাদের সাথে কথা বলে জেনে দেখলাম যে তাদের সেইভাবে সিরিয়াসলি ভাবে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি বেশিরভাগেরই নেই ।তাহলে একবার ভাবেন সেক্ষেত্রে আপনার যদি পরিপূর্ণভাবে একটা প্রস্তুতি নেওয়া থাকে তাহলে আপনি এদের থেকে কতখানি এগিয়ে থাকবেন আর আপনার জন্য চাকরি পাওয়াটা কতটা সহজ হবে ।



এখন আপনি হয়তো বলতে পারবেন যে প্রাইমারিতে তো অনেক আবেদন করে কিন্তু ভাই দেখেন প্রাইমারিতে আবেদন করে বেশিভাগই কোন না কোন কর্ম ক্ষেত্রে তারা লেগে আছে  ।  যখন দেখে একটা বিশাল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে তাই তারা মনের হুতাশে এই  চাকরিতে আবেদন করে কিন্তু মূলত বেশির ভাগেরই কিন্তু প্রিপারেশন থাকেনা প্রস্তুতি থাকে না যার কারণে তারা পরীক্ষাতে কখনোই ভালো ফলাফল করতে পারে না । যারা বেসরকারি লেভেলের জব করে তারা এ বিষয়টা বুঝে যে সারাদিন ডিউটি করা করে পড়াশোনা করার জন্য তেমন কোনো সুযোগই থাকেনা যার কারণে তারা  আবেদন করলেও পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে পারে না ।



তো এই হিসেবে দেখতে গেলে যদি প্রাইমারিতে অনেক আবেদন প্রার্থীও থাকে বেশিরভাগেরই কিন্তু সেই প্রিপারেশন টা থাকেনা যার কারণে আপনি যদি একজন ছাত্র হয়ে থাকেন এবং আপনি পড়াশোনা নিয়েই ব্যস্ত আছেন আপনি কোন জব এর সাথে যুক্ত না আপনি খুব দক্ষতার সাথে খুব পরিকল্পনামাফিক একটা যদি স্ট্রং প্রস্তুতি নিতে পারেন এবং আপনি পরীক্ষায় ভালো দক্ষতার সাথে অ্যাটেন্ড করতে পারেন তাহলে কিন্তু চাকরি পাওয়ার জন্য খুবই সহজ । 



mcq পরীক্ষা সংখ্যায় পরীক্ষার্থীর অনেক হলেও বাস্তবে হাতে-কলমে তারা শুধুমাত্র পরীক্ষায় এটেন্ট  করে । মূলত তাদের ভালো প্রস্তুতি না থাকার কারণে তারা এমসিকিউ পরীক্ষায় ভালো করতে পারে না । এক্ষেত্রে আপনার যদি ভালো একটা প্রস্তুতি থাকে তাহলে কিন্তু আপনি এমসিকিউ পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে পারবেন আর ভাইভাতে যেহতো ৩ জনে ১ জন সিলেক্টেড হয় সে ক্ষেত্রে আপনি যদি রিটেন পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে পারেন এবং ভাইভাতে যদি একটু ভালো দক্ষতা দেখাতে পারেন তাহলে কিন্তু চাকরি আপনার  নিশ্চিত ।



তাই অবশ্যই আপনি যদি সিরিয়াসলি ভাবে প্রাইমারিতে চাকরি পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে একটা সাজানো-গোছানো ভাবে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে একটা পরিকল্পনা মাফিক পড়াশোনা করতে হবে তাহলে দেখবেন প্রাইমারি চাকরিতে আপনার হাতে এসে ধরা দেবে । এই ধরনের বিষয়গুলো বিবেচনা করলে দেখা যায় যে অন্য অন্য চাকরি থেকে প্রাইমারিতে চাকরি পাওয়াটা অনেকটাই সহজ মূলত যারা ভালো প্রস্তুতি নিচ্ছে পরিকল্পনামাফিক ভাবে এই সূত্রটা শুধুমাত্র তাদের জন্যই । তো আপনি যদি চাকরি পেতে চান তাহলে অবশ্যই খুব সিরিয়াস ভাবে পড়াশোনা করে একটা পরিকল্পনামাফিক পড়াশোনা করুন তাহলে দেখবেন এমসিকিউ পরীক্ষা আপনার জন্য খুবই সহজ হয়ে যাবে আপনি সুন্দর ভাবে পাশ করতে পারবেন ।







Post a Comment

0 Comments