Header Ads Widget

সেনাবাহিনীর সৈনিক পদে চাকরির ভাইভা পরীক্ষার রিয়েল প্রস্তুতি Real Preparation for Army Soldier Job Viva Exam

 

সেনাবাহিনীর সৈনিক পদে চাকরির  ভাইভা পরীক্ষার রিয়েল প্রস্তুতি Real Preparation for Army Soldier Job Viva Exam

বর্তমান সময়ে সরকারি চাকরি পাওয়া আর সোনার হরিণ পাওয়া একই কথা ।বর্তমান সময়ে সরকারি চাকরি পাওয়ার জন্য অনেক ধরনের   ধাপ পার হতে হয় ।সরকারি চাকরি ছোট হোক বা বড় হোক সরকারি চাকরি পাওয়ার জন্য আমাদের দেশের হাজার হাজার বেকার ছেলেরা অপেক্ষা করছে কিন্তু সবার ভাগ্যে  সরকারি চাকরি চাকরি জোটে না ।


আজকের পোষ্টে আমরা আলোচনা করব বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর  চাকরিতে কি ধরনের ভাইবা হয়ে থাকে এবং ভাইভা প্রস্তুতি নিয়ে আমরা আলোচনা করব । আমরা অনেকেই জানি যে  সেনাবাহিনী চাকরি পাওয়ার জন্য সর্বপ্রথম  ধাপ হচ্ছে শারীরিকভাবে ফিটনেস,  যারা এই শারীরিকভাবে ফিট থাকে তাদেরকে মূলত লিখিত পরীক্ষার জন্য ডাকা হয় তারপরে লিখিত পরীক্ষা  অনুষ্ঠিত হয় । লিখিত পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করে তাদেরকে পরবর্তীতে ভাইভা পরীক্ষার জন্য ডাকা হয় । তারপরে মৌখিক পরীক্ষা হয়  এর পরে যারা চূড়ান্তভাবে  মৌখিক পরীক্ষায় সফলতার সাথে উত্তীর্ণ হয় সর্বশেষ ধাপ তাদেরকে মেডিকেল টেস্ট করা হয় । তো সর্বোপরি যারা মেডিকেল টেস্টে উত্তীর্ণ হয় তাদেরকে মূলত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে একজন সৈনিক হিসেবে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয় ।


 আমার যে সকল ভাইয়েরা সেনাবাহিনীর চাকরি করতে ইচ্ছুক তাদের মনে একটা ভয় থাকে যে ভাইভা পরীক্ষায় কি ধরনের প্রশ্ন করা হতে পারে । আমি কি পারব কি যানি কি প্রশ্ন করবে । আমি কি  উত্তর দিতে পারবো ।  আজকে আমি সেসব ভাইদের জন্য কিছু বিষয় আলোচনা করবো  যেগুলো জানা  থাকলে আপনি এই ভাইভা পরীক্ষায় খুব সফলতা সাথেই উত্তীর্ণ হতে পারবেন । 



সেনাবাহিনীর চাকরির ভাইভা প্রস্তুতি : -


সেনা অফিসার : আপনার নিজের বিষয়ে কিছু বলুন? 

চাকরিপ্রার্থী : আমি মোঃ রফিকুল ইসলাম, আমার বাসা রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলায় ,আমি আমাদের স্থানীয় হাই স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেছি এবং স্থানীয় কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করছি ,আমার পরিবারে বাবা-মা ছোট ভাই এবং ছোট এক বোন রয়েছে এবং দাদা ও দাদি  রয়েছে আমার বাবা একজন কৃষক এবং আমার মা গৃহিণী ।


সেনা অফিসার :  আপনি আরো পড়াশোনা করা বাদ দিয়ে হঠাৎ চাকরির জন্য কেন আসলেন ?

চাকরিপ্রার্থী :  স্যার আমার পারিবারিক অবস্থা খুবই খারাপ যার কারণে আমার বাবা কে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য আমি চাকরি করার জন্য উৎসাহী হয়েছি ।  আমি যদি চাকরি পাই তাহলে আমি আমার পরিবারকে সাপোর্ট করতে পারবো বাবা-মাকে সাহায্য করতে পারব । আমার যদি চাকরিটা হয় ইনশাল্লাহ আমি এই পেশা থেকে আমি উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করার চেষ্টা করব ।


সেনা অফিসার : বাংলাদেশের এত বাহিনী এবং আরও বিভিন্ন ধরনের চাকরি থাকতে আপনি কেন সেনাবাহিনীর চাকরি করতে উৎসাহী?


চাকরিপ্রার্থী : সেনাবাহিনীর চাকরিতে আসার কারণ  হলো আমি ছোট থেকেই এই পেশাটা কে খুব ভালোবাসি এবং আমার ছোটবেলা থেকে খুব ইচ্ছা সেনাবাহিনীতে চাকরি করার এবং সেনাবাহিনীতে চাকরি করলেদেশ  সেবা করার একটা সুযোগ পাওয়া যায় । তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমি সেনাবাহিনীর চাকরি করতে চাই ।


সেনা অফিসার :  সেনাবাহিনীর চাকরিতে ট্রেনিং  তো অনেক কষ্টের হয়  ট্রেনিংয়ের সময় কিন্তু অনেকেই পালিয়ে যায় এই বিষয়ে কি আপনার কোন ধারনা আছে ?

চাকরিপ্রার্থী : হ্যাঁ স্যার আমি এ বিষয়ে শুনেছি অনেক ভাইয়েরা ট্রেনিং এর সময় কষ্টের কারণে পালিয়ে চলে যায় । কিন্তু স্যার আমরা ছোট থেকে অভাবের সাথে বড় হয়েছে আমরা কৃষক পরিবারের সন্তান তাই আমরা বিভিন্ন ধরনের পরিস্থিতিতে মানিয়ে  কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে আমার বিশ্বাস যতই কষ্ট হোক আমি ট্রেনিং সম্পন্ন করতে পারব ইনশাল্লাহ ।



সেনা অফিসার : আপনার জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত এবং আপনার জেলার একজন বিখ্যাত ব্যক্তির নাম বলুন ?


চাকরিপ্রার্থী :আমাদের রাজশাহী জেলা আমের জন্য বিখ্যাত এবং আমাদের রাজশাহী জেলার একজন বিখ্যাত ব্যক্তির নাম এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন মাননীয় বর্তমান মেয়র রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন ।


সেনা অফিসার :  আপনার কমান্ডার যদি আপনাকে অর্ডার করেন যে জঙ্গলের ওপাশে দশজন দেশদ্রোহী রয়েছে তোমাকে একাই গিয়ে সেখানে মোকাবেলা করতে হবে তখন আপনি কি করবেন ?


চাকরিপ্রার্থী : স্যার আমি শুনেছি ট্রেনিং এর সময় কোরআন শরীফ ছুঁয়ে প্রতিজ্ঞা করানো হয় যে আমরা দেশের জন্য যেকোনো সময় জীবন দিতে প্রস্তুত থাকব ।তাই আমার কমান্ডার যদি এমন আদেশ করে আমি কোন কিছু না ভেবেই আমি একাই চলে যাব সেই ১০ জন দেশদ্রোহীর সাথে মোকাবেলা করার জন্য ।


এরপর আপনাকে ছোটখাটো পড়াশোনা বিষয়ক কিছু প্রশ্ন ধরতে পারে এবং কিছু সাধারণ জ্ঞান বিষয় প্রশ্ন ধরতে পারে এই প্রশ্নগুলো অনেকটাই সহজ হয় । আপনি যদি একটু সাহসী হয়ে ভয় না পেয়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে পারেন তাহলে কিন্তু আপনি খুব সহজেই সেনাবাহিনী চাকরির ভাইভা পরীক্ষায় সফলতার সাথে উর্ত্তীন্ন হতে পারবেন ।


আমিও সবার উদ্দেশ্যে বলতে চাই ভাইভা পরীক্ষায় কিন্তু অত বেশি জটিল প্রশ্ন করা হয় না ভাইভা পরীক্ষায় মূলত আপনার কথা বলার ধরন আপনার বাহিক আচরণ এই বিষয়গুলোই বেশিরভাগ ফলো করা হয়ে থাকে আপনার মানসিক দক্ষতা আপনার মানসিক মনোবল আর সাথে কিছু সাধারণ জ্ঞান এবং পড়াশোনা বিষয়ক কিছু প্রশ্ন এবং আপনার নিজের সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন করা হয়ে থাকে এ ধরনের ভাইবা পরীক্ষায়  গুলোতে ।


এই ভাইভা প্রস্তুতি থেকে যদি আপনারা একটু হলেও উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই পোষ্টটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিন যেন তারাও এই বিষয়গুলো জেনে তারাও জীবনে সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হয় |

আরো পড়ুন : সেনাবাহিনীর চাকরি পেতে কি আসলে টাকা লাগে  বিস্তারিত পড়ুন এবং সাবধান হন অযথা টাকা পানিতে ফেলবেন না

Post a Comment

0 Comments