Header Ads Widget

প্রেমিকাকে নিয়ে সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখার বাস্তব অভিজ্ঞতা ঢাকা মিরপুর

প্রেমিকাকে নিয়ে সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখার বাস্তব অভিজ্ঞতা ঢাকা মিরপুর


                         ঢাকা মিরপুর



 প্রেমিকাকে নিয়ে সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখার একটা বাস্তব অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে আমি শেয়ার করব আশা করি আপনাদের আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা ভালো লাগবে ।



 আমি  রাজশাহী বিভাগের বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার  ছেলে ।আমার নাম নাইম  আমার বয়স ২৬ বছর ।আমি বগুড়া আজিজুল হক কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করার পর ঢাকাতে যাই চাকরির সন্ধানে । ঢাকায় আসার পর আমি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি জীবন শুরু করি এবং ঢাকা মিরপুরে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করি ।কিছুদিন পরে আমার একটি মেয়ের সাথে পরিচয় হয় মেয়েটির নাম ছিল লাবণী তার বয়স ছিল ২১ বছর ও মিরপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নার্সের জব করতো । আমাদের মাঝে প্রথম দিকে   বন্ধুত্বের সম্পর্ক থাকলেও আস্তে আস্তে সে সম্পর্ক বন্ধুত্ব থেকে আমাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক তৈরী হয়ে যায় তো আমরা মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় দেখা করতাম পার্কে দেখা করতাম ঘুরতাম রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করতাম ।




তো এভাবেই আমাদের ৬ মাস ১ বছর প্রেম কাহিনী কেটে গেল ।  লাবনী একদিন আমাকে বললো চলো আমরা একদিন ছুটির দিনে সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখি অনেকদিন সিনেমা দেখা হয় না । তখন আমি বললাম অনেক দিন ধরে সিনেমা দেখা হয় না । সেই  কলেজে পড়ার সময় বগুড়াতে সিনেমা দেখতাম বন্ধুদের সাথে অনেকদিন ধরে আমারও সিনেমা দেখা হয়নি তুমি খুব ভাল আইডিয়া করেছো ঠিক আছে আমরা সামনে ছুটির দিনে আমরা দুজন সিনেমা হলে যাব সিনেমা দেখার জন্য । 



লাবনীর কাছে আমি রাজী হয়ে গেলেও আমার মনে একটা খটকা লাগল  এই ভেবে যে না জানি এখানকার  সিনেমা হলের পরিবেশ কেমন হবে । আমি তো কখনো ঢাকার সিনেমা হলে যায়নি সে ক্ষেত্রে আমি আমার প্রেমিকাকে নিয়ে যাব সেখানে কি অবস্থা বা কি পরিস্থিতিতে পড়বো বিষয়টি নিয়ে একটু চিন্তিত ছিলাম । আমরা যখন বন্ধুবান্ধবরা  বগুড়াতে সিনেমা হলে সিনেমা দেখতে যাইতাম তখন যদি কেউ প্রেমিকা নিয়ে সিনেমা হলে সিনেমা দেখতে যেত সে ক্ষেত্রে অনেকেই তাদের ইফটিজি করতো এবং বিভিন্ন ধরনের বাজে কথা বলতো ।



তারপর  আমাদের ছুটির দিন শুক্রবার আমি আর লাবনী আমরা সিনেমা হলের  সামনে গেলাম ,সেখানে দেখলাম আমাদের মতো আরো অনেক জুটি । আমরা দুইটা টিকিট কাটলাম ৫০০ টাকা দিয়ে । তারপর  আমরা নিদিষ্ট  সময়ে সিনেমা হলের মধ্যে ঢুকে পড়লাম সিনেমা হলের ভলেন্টিয়ার আমাদের কাঙ্ক্ষিত সিটে বসিয়ে দিয়ে চলে গেলেন । তো দেখলাম পাঁচ মিনিটের মধ্যেই সিনেমা হলটা প্রায়ই ভরে গেল । তো বেশিরভাগই দেখলাম আমাদের মত জুটি অর্থাৎ প্রেমিক প্রেমিকা বা স্বামী-স্ত্রীর এরকমই হবে ।তো আমি যেটা ভেবেছিলাম পুরোপুরি উল্টো আমি ভেবেছিলাম হয়তো সিনেমা দেখতে গেলে অনেক বাজে পরিস্থিতিতে পড়তে হতে পারে কিন্তু না দেখলাম সেখানে বেশিরভাগই আমাদের মত কাপল জুটি যার কারণে কোন সমস্যা হয়নি ।



যথাসময়ে সিনেমা হলে সিনেমা শুরু হয়ে গেল সবাই আমরা সিনেমা  দেখা শুরু করলাম আমি একটা বিষয় খেয়াল করলাম দেখলাম যে আশেপাশে তাকিয়ে  যে সিনেমা হলে সিনেমা চলছে কেউ কেউ সিনেমা দেখছে অনেকেই দেখলাম জড়াজড়ি করে গলাগলি ধরে বসে সিনেমা দেখছি পরিবেশটা ভালো ছিল । অনেকের এই বিষয়গুলো দেখে আমারও ইচ্ছা হলো আমিও লাবনীকে  বললাম তারপর  আমি আর লাবনী  গলাগলি ধরে সিনেমাটা দেখে উপভোগ করলাম ।




আমিতো বগুড়াতে থাকতে সিনেমা হলে অনেক সিনেমা দেখেছি তখন তো বন্ধুদের সাথে সিনেমা দেকতাম আবার  কখনো একাকী দিয়ে সিনেমা দেখতাম । কিন্তু আজকে যখন লাবনীর সাথে সিনেমা হলে সিনেমা দেখতে আসলাম আজকের ফিলিংসটা অনেক মজার ছিল অনেক ভালো লেগেছিল । তো এরপর থেকে আমরা নিয়ম  করে প্রতি শুক্রবারেই বিভিন্ন সিনেমা হলে সিনেমা দেখা শুরু করি । কারণ প্রেমিকা কে পাশে নিয়ে সিনেমা দেখার একটা মজাই আলাদা । আর সিনেমা হল গুলোতে যেহেতু বেশির ভাগেরই কাপল ছেলে মেয়েরা আসে যার কারণে সিনেমা হলের পরিবেশ টা অনেক ভালো থাকে । কোন ধরনের ইভটিজিং বা অন্য কোন ধরনের ঝামেলায় পড়তে হয় না তবে বিষয়গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগে এগুলো আমরা খুব   ইনজয় করি ।




একাকী সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখা এবং বন্ধুদের সাথে গিয়ে সিনেমা হলে সিনেমা দেখা আর প্রেমিকা কে সাথে নিয়ে  সিনেমা হলে সিনেমা দেখার মধ্যে আকাশ-পাতাল ব্যবধান রয়েছে যা আমি লাবনীর এর সাথে সিনেমা হলে গিয়ে বুঝতে পেরেছি ।

Post a Comment

0 Comments