পটুয়াখালীতে নিজের মেয়ের সাথে বাবার অবৈধ সম্পর্ক ।তারপরে জনগণের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়লো

 

              ছবি সংগৃহীত

আমাদের দেশে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে । এই ঘটনা গুলো আমরা সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে টিভি চ্যানেলের কল্যাণে আমরা দেখতে পারি জানতে পারি । আমরা অনেক ঘটনা শুনেছি যার মধ্যে হল জামাইয়ের সাথে শাশুড়ির অনৈতিক প্রেম , আবার শশুরের সাথে ছেলের বউয়ের অনৈতিক প্রেম আবার দেখেছি মামির সাথে ভাগনের অনৈতিক প্রেম আবার দেবরের সাথে  ভাবীর অনৈতিক প্রেম আবার  খালার সাথে ভাগ্নের অনৈতিক প্রেম আবার মামার সাথে ভাগ্নির অনৈতিক প্রেম ।

যাই হোক এই ধরনের ঘটনা আমাদের দেশে কম বেশি ঘটে এ বিষয় গুলোকে  আমরা মেনে নিয়েছি । কিন্তু আজকে আমি আপনাদের সাথে যে ঘটনাটি শেয়ার করবো সেই ঘটনাটি মেনে নেয়ার মত না কিন্তু এই ঘটনাটি ঘটেছে যে আপনাকে বিশ্বাস করতে হবে ।

৫০ বছর বয়সী বাবা তার ২০ বছরের মেয়ের সাথে অনৈতিক শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করেছে তার পরে গ্রামবাসীর হাতে ধরা পড়েছে ।

আসুন এবার আমরা দেখি আসলে কি ঘটেছিল তাদের মাঝে কিভাবে তারা জনগণের হাতে ধরা পরল :-

এই নেক্কার জনক ঘটনাটি এই জঘন্য ঘটনাটি ঘটেছে আমাদের দেশের পটুয়াখালী জেলার মনিপুর থানার ডাবলুগন্ঞ্জ  ইউনিয়নের খাপড়াভাঙ্গা গ্রামে । সেই লম্পট  পিতার নাম  দেলোয়ার তার বয়স ৫০ বছর ।  দেলোয়ারের বিবাহিত জীবনে দুই টা বউ । দেলোয়ারের পারিবারিক অবস্থা খুবই নিম্নবিত্ত নিম্নমানের । দেলোয়ারের একটা ২০ বছরের যুবতী মেয়ে আছে ।দেলোয়ারের বউ মানুষের বাড়িতে কাজ করে এবং মাঝে মাঝে ভিক্ষা করেন এভাবেই তাদের সংসারটা চলছিল ।  এই ধরণের ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটার ৭ দিন আগেই তার ওই মেয়েটার বিয়ে হয় ।অর্থাৎ গত ১৯ আগস্ট ২০২২ ইং , ঘটনাটি  ঘটে ২৬  তারিখে ২৭ তারিখে সেই মেয়েটিকে তার স্বামীর বাড়িতে পাঠানোর কথা ছিল । বিয়ের পর মেয়েটি তার বাবার  বাড়িতেই ছিল এই কয়দিন,।

স্থানীয় মানুষেরা বলেন যে আরও ১ মাস আগে থেকেই তাদের সন্দেহ ছিল তাদের বাবা এবং মেয়েকে নিয়ে । কিন্তু বাবা এবং মেয়ের একটি পবিত্র সম্পর্ক যার কারণে সরাসরি এ বিষয়টা নিয়ে কেউ কথা বলেনি কিন্তু গোপনে গোপনে বিষয়টা নিয়ে কথা হতো এবং এই বিষয়টা স্থানীয় প্রতিনিধিদের জানালে তিনি ওই বিষয়টা বিশ্বাস করেননি এবং তিনি বলেছেন যে এই ধরনের জঘন্য কথা নিয়ে যেন আলোচনা না হয় । কারণ বাবা মেয়ের সম্পর্ক একটি পবিত্র সম্পর্ককে  এই ধরনের ঘটনা কখনোই ঘটতে পারে না । যারা এই ধরনের নোংরা কথা বলেছিল স্থানীয় প্রতিনিধি তাদেরকে ধমক দিয়ে থামিয়ে দিয়েছিল এ ধরনের ঘটনা নিয়ে কেউ আলোচনা না করে কারণ এ ধরনের ঘটনা বিশ্বাস করার মতো না বা বিশ্বাসযোগ্য না ।

তারপর থেকে মানুষেরা সন্দেহ থাকলেও কেউ আর এই বিষয়টা নিয়ে কথা বলেননি ।  গত ২৬ আগস্ট ঘটে যায় ইতিহাসের নেক্কারজনক একটি ঘটনা ,যেহেতু একদিন পরেই মেয়েটিকে স্বামীর বাড়িতে পাঠানো লাগবে তাই   জামাই বাড়ি আত্মীয়  সজন  আসবে বাড়িতে তাই বাজার করার দরকার ।সেই কারণে মেয়েটির মা স্থানীয় বাজারে যাই  বাজার করতে ।তো কিছুক্ষণ পরে তাদেরই বাড়ির পাশের একজন প্রতিবেশী মহিলা তার নাম জান্নাতুল তিনি তাদের বাড়িতে আসে এবং বাড়িতে আসার পর তিনি শুনতে পান  ঘরের মধ্যে ফিসফিস করে কথা হচ্ছে তার মনে একটু সন্দেহ জাগে তাই তিনি দরজার কাছে যে জোরে ধাক্কা দেয় দরজাটি খুলে যায় তারপর তিনি ঘরের মধ্যে ঢুকে আর ঘরের মধ্যে ঢুকে তিনি তাদের বাবা মেয়েকে বিছানার উপর উপর আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান । 

তিনি তারপর চিৎকার করে ওঠেন তখন আশেপাশের লোকজন বাড়িতে আসে এবং তাদের আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে তারপর এই বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে এলাকাজুড়ে । তারপর তারা স্থানীয় প্রতিনিধিকে বলেন যে আপনি তো সেবার বিশ্বাস করেছিলেন না কিন্তু আজকে আমরা তাদের কে হাতেনাতে ধরে ফেলেছি আপনি আসুন দেখুন এর বিচার করুন । তারপর তিনি ঘটনাস্থলে আসে এবং  অপরাধী দেলোয়ারকে দড়ি দিয়ে গাছের সাথে বাধা হয় তারপর স্থানীয়রা তাকে জিজ্ঞেস করলে দেলোয়ার সব কথা স্বীকার করে এবং তার মেয়েও সব কথা স্বীকার করে  ।

দেলোয়ারকে যখন এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হয় তখন দেলোয়ার বলেন যে তার মেয়ে নাকি এই ধরনের কাজ করার জন্য তাকে উৎসাহ দিতে বাধ্য করতো তার মেয়ের ইচ্ছাতেই তিনি নাকি এধরনের কাজ করেছে মেয়ের সাথে ।

আবার যখন মেয়েকে জিজ্ঞেস করা হয় তখন মেয়ে বলে যে তার বাবাই নাকি তাকে কাজ করার জন্য বলেছিল যার কারণে তিনি বাবার সাথে এধরনের কাজ করতে রাজি হয়েছেন ।

পরে তাদের দুজনকে স্থানীয়দের সহায়তায় স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় ।একদিন পরেই মেয়েটিকে তার শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু এমন ধরনের একটা নেক্কারজনক জঘন্যতম ঘটনা ঘটে যার কারণে এলাকায়  থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে |

আসলে বাবা মেয়ের একটি পবিত্র সম্পর্ক একটি বিশ্বাসের সম্পর্ক একটি রক্তের সম্পর্ক কিন্তু এই লম্পট একজন দেলোয়ার যে সম্পর্কটাকে নষ্ট করেছে | আমরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করি লম্পট দেলোয়ারের |তার যদি একটু কঠোর শাস্তি হয় তাহলে হয়তো আর কেউ কখনও এমন জঘন্যতম কাজ করার সাহস পাবে না একটু হলেও তার মনে ভয় করবে |আমাদের দাবি একটাই এই নিৎকৃষ্ট দেলোয়ারের খুবই কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক ।

এই ধরনের ঘটনা গুলো দেখলে আসলেই ভয় হয় আর মনে হয় যে হয়তো আমাদের দুনিয়ায় আর বেশিদিন টিকবে না সামনে হয়তো কিয়ামত অপেক্ষা করছে কারণ এই ধরণের ন্যাক্কারজনক ঘটনা যখন ঘটবে তখন খুব নিকটবর্তী হবে কেয়ামত ।

আল্লাহ তা'আলা আমাদের সবাইকে হেদায়েত দান করুন আমরা যেন ভালো কাজ করতে পারি ইসলামের পথে চলতে পারি আর যেগুলো হারাম কাজ অন্যায় কাজ এই কাজ গুলো থেকে যেন আমরা সবাই দূরে থাকতে পারি ।