Header Ads Widget

রং নাম্বারে পেম এর শেষ পরিনতি কেমন হয় এর শেষ কোথাই

 

রং নাম্বারে পেম, এর শেষ পরিনতি কেমন হয়, এর শেষ কোথাই?


শাইলা সারমিন, বাগমারা রাজশাহী :-   পেমের নামে প্রতারনার ফাদে ফেলে অসংখ্য  মেয়েদের জীবন নষ্ট করা হচ্ছে। বতমান সময়ে আমাদের সমাজ এবং  গ্রাম ও উপজেলা এবং জেলা সহ গোটা দেশটাই ভরে গেছে এসবে। আমরা প্রতিদিন খবরের কাগজ বা টিভিতে দেখি বা শুনে থাকি এসব প্রেমের ফাদে ফেলে  প্রতারণার খবর।এসবের কারনে অনেক মেয়েরাই সমাজ লজ্জার ভয়ে মৃত্যর পথ বেছে নিচ্ছে। ফাদে ফেলে  প্রতারণার খবর।এসবের কারনে অনেক মেয়েরাই সমাজ লজ্জার ভয়ে মৃত্যর পথ বেছে নিচ্ছে। ফাদে ফেলে  প্রতারণার খবর।এসবের কারনে অনেক মেয়েরাই সমাজ লজ্জার ভয়ে মৃত্যর পথ বেছে নিচ্ছে।


এই কাজ গুলো যারা করে, তাদের কাছে এটা যেন একটা  নেশার মতো হয়ে গেছে। আজ এখানে তো কাল সেখানে ভিন্ন ভিন্ন পরিচয় ব্যবহার করে সহজ সরল মেয়েদের সাথে গড়ে তুলছে পেমের সম্পক।এবং বিয়ে করবে বলে ওয়াদা করে থাকে, কিন্ত এসব তো শুধু তাদের মুখের কথা মনের কথা নই। তাদের মনের কথা হলো,  তারা এই পেমটা করে শুধু মাএ টাইম পাস ও নিজের মনবাসনা পূরন করার জন্য।২ বা ৩ মাস সম্পকের পরে যখন তাদের লক্ষ্যমাএা মনবাসনা পূরন করা হয়ে যায়। যখন মেয়ের পরিবার থেকে বিয়ের চাপ দেওয়া হয়। 



তখন সেই ভন্ড পেমিক বিভিন্ন অজুহাতে পালাইতে চাই এই পেমের সম্পক ভাঙ্গতে চাই। অবশেষে সেই পেমটা ভেঙ্গে যায়। মেয়েটা অসহায় হয়ে পরে এমন ভন্ড পেমিকের পাল্লাই পরে। এই পরিস্তিতি থেকে অনেকেই বের হতে পারে আবার অনেকেই বের হতে পারে না মৃত্যই তাদের শেষ ভরসা মনে করে মারা যায়।


কিন্ত সেই ভন্ড পেমিক কিন্ত থেকে নেই আবার তার শিকার খুজতে থাকে নতুন পরিচয়ে নতুন এলাকাই নতুন কোন মেয়ের সাথে। সেখানে এমন ভাবে ২ বা ৩ মাস সময় কাটিয়ে মনবাসনা পূরন পালিয়ে যাবে।


আমরা এর থেকে বের হতে পারছি না কেন :-

এই ঘটনা গুলোর সৃষ্টি হয় অনলাইনে বিভিন্ন সাইট বা আপছ এর মাধ্যমে অপরিচিত একজন ছেলে ও অপরিচিত একজন মেয়ে মাঝে। কারন চেনা জানা হলে তো এমন ভন্ডামির সুযোগ তৈরি করা যায় না। আমরা যখন দেখি কোন একটা ছেলে আমাকে পেমের অফার করছে। দেখতে হান্ডসাম, সরকারি ভালো জব করে। আমাকে অনেক অনেক টাকার উপহার কিনে দিচ্ছে।



 বিভিন্ন যায়গাতে বেড়াতে নিয়ে যাচ্ছে। এক কথাই একজন স্বামী যা দায়ীত্ব বউ এর পতি, সেই ছেলেটা বিয়ে না হতেই এসব করছে। তাহলে তো তাকে বিলিভ করাই যায়, তার সাথে পেম করাই যায়, তার মনবাসনা পূরন করাই যায়। তখন কিন্ত এসব দেখে আমাদের সমাজের সহজ সরল মেয়েরা এসব ধরনের ছেলেদের শিকারে পরিনত হয়।


ওই ছেলেটা শুধু মাএ মেয়েটার সাথে টাইম পাস করবে ইনজয় করবে বলেই টাকা ফুরিয়েছে মেয়েটার পিছনে। পক্ষান্তরে মেয়েটা ভেবেছে যে ছেলেটা আমাকে সত্যিই ভালোবেসে এসব করছে। এবং আমাকে বিয়ে করবে ১০০%। এসব দেখেই কিন্ত আমরা মেয়েরা পেমে পাগল হয়ে যায়। 



তখন মেয়েটা তার দেহকে বিয়ের আগেই সেই পেমিক রূপি ভন্ডের হাতে বিলিয়ে দেই। এর ফলে যখন মেয়েটা পেগনেট হচ্ছে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছে ছেলেকে। তখন মেয়েটা জানতে পারছে যে সে কি ভুলটাই না করেছে। একজন পতারকের সাথে এসব করেছে। তখন খোজ নিলে দেখা যায় যে ছেলেটার বাড়িতে বউ ও বাচ্ছা আছে। সে কোন সরকারি জব ও করে না এবং আরো জানতে পারেন যে এই ছেলেটা আর ও  জায়গাই এমন পেমের ঘটনা ঘটিয়েছে। 


এই ঘটনা টা রহরহ ঘটছে আমাদের চারেপাশে আমাদের দেশে।  আজ হয়তো আমার বোন শিকার হচ্ছে ফাদে পড়ছে। কাল হয়তো আপনার বোন ফাদে পড়বে।


এসব থেকে মুক্তির উপাই কি :-

এ ধরনের ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে চাইলে। নিজেকে সব সময় সচেতন রাখতে হবে। একটা অপরিচিত মানুষের সাথে  যখন আমাদের পরিচয় হবে অনলাইনে বা অফলাইনে তখন কিছুটা সময় নিয়ে তাকে জানতে হবে  বুঝতে হবে। যদি সম্পক টা পেমের দিকে এগতো থাকে, দেখছেন যে ছেলেটা আপনাকে বিভিন্ন ভাবে পটাতে চেষ্টা করছে, সরকারি বড় চাকরি করে, অনেক টাকা দিচ্ছে, অনেক উপহার দিচ্ছে। এসব পেয়েই কিন্ত খুশি হয়ে পেমে পড়বেন না। দেহ বিলিয়ে দিবেন না। আগে একটু তার বিষয়ে সঠিক ভাবে জেনে নিন তার আসল পরিচয় সহ সব কিছু।



 যদি তার তথ্য সঠিক হয় তখন পেমে পড়েন সমস্যা নেই। কিন্ত যদি দেখে সবই ফেক, তাহলে সব কিছু বিলিয়ে দেওয়ার আগে কেটে পড়ুন সেই সম্পক থেকে। এতে করে আপনি নিজে বাচবেন, আপনার পরিবার বাচবে সমাজের মানুষের কাছে কলঙ্কের হাত থেকে।


আমার এই লেখাটি সবাই পজেটিভলি নিবে আশা করি। সমাজের বাস্তব  প্রেক্ষাপট তুলে ধরলাম আপনাদের সাথে। কারো যদি কোন মতামত থাকে এই বিষয়ে তাহলে কমেন্ট এ জানিয়ে দিতে পারেন। আর লেখাটি যদি ভালো লাগে তাহলে পিল্জ সবাই নিজ নিজ বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন।

সবাইকে ধন্যবাদ ***

Post a Comment

1 Comments